ঢাকা: রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় চলন্ত মাইক্রোবাসে গারো তরুণীকে গণধর্ষণ করার আলামত মিলেছে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষায়। তবে ঘটনার দুই দিন পার হতে চললেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী জানান, মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আল
ামত পাওয়া গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে চুড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হবে। তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সিনিয়র সহকারী কমিশনার লাকী আক্তার জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আইনিব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি। আদিবাসী ওই তরুণীকে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ভাটারা থানা থেকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পাঠানো হয়। অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ যুবক বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণীকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে চলন্ত মাইক্রোবাসে ধর্ষণ করে। তার বাড়ি বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ি উপজেলায়। পরদিন শুক্রবার তরুণী নিজে অজ্ঞাতনামা পাঁচজনকে আসামি করে ভাটারা থানায় মামলা করেন। থানার পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার বলেন, “ধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণী যমুনা ফিউচার পার্কের একটি শপিংমলে চাকরি করেন। ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার জন্য বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় পাঁচ যুবক তার মুখ চেপে ধরে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে গাড়িতেই ধর্ষণ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরার জসিম উদ্দিন রোডের মাথায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।” নতুন বার্তা/কেএমআর
No comments:
Post a Comment