বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্মাননা পাচ্ছেন বাজপেয়ি নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়িকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা এ খবর দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরের সময় তার হাতে বাজপেয়ির জন্য সম্মান
না ক্রেস্ট তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১১ সালের জুলাইয়ে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘স্বাধীনতা সম্মাননা’ দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল হান্নান মঙ্গলবার বলেন, ‘অটল বিহারি বাজপেয়িকে সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাজপেয়ি ভারতের লোকসভায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সংহতি জানাতে প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন। তিনি ছিলেন তৎকালীন ভারতীয় জনসংঘ (বর্তমানে বিজেপি) পার্টির নেতা। তাই স্বাধীনতার ৪৪ বছরে এসে সেই অটল বিহারি বাজপেয়িকে ‘স্বাধীনতা সম্মাননা’ দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। খবরে আরো উল্লেখ করা হয়, ৬ জুন বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি। ৯০ বছর বয়সী প্রবীণ নেতা অটল বিহারি বাজপেয়ি অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে নরেন্দ্র মোদি ওই ‘স্বাধীনতা সম্মাননা’ গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সম্মাননা তুলে দেবেন। এর আগেও মুক্তিযুদ্ধে বহির্বিশ্বের যেসব দেশ, সরকার, দল সহায়তা করেছে তাদের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তিন ধরনের সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর সর্বপ্রথম ২০১১ সালে বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা জানাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে ক্রেস্টে স্বর্ণ জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হলে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment