রাজিব হত্যা মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ব্লগার রাজিব হায়দার শোভন হত্যা মামলা ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে ঢাকার তিন নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকেলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহম্মেদ সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ ঠিক করে দেবেন বলে এ আদালতের বিশেষ আইনজীবী মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন। এ মামলায় রাষ
্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য শুরুর জন্য রাজিবের বাবা ডা. নাজিমউদ্দিনসহ তিনজন সকালে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হন। অন্য দুজন হলেন- নিহত ব্লগারের ছোট ভাই নেওয়াজ মোর্তুজা হায়দার এবং খালাতো ভাই কাজী গালিব। পলাতক আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানা ছাড়া বাকি আসামিদেরও কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু আদালত বদলে যাওয়ায় পুরনো আদালতে আর শুনানি হয়নি। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে রাজিবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাজিব হায়দার শোভন গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। থাবা বাবা নামে তিনি লেখালেখিও করতেন। এ ঘটনায় দায়ের মামলায় গত ১৮ মার্চ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলার প্রধান আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানা ছাড়া সবাই এ মামলায় কারাগারে আছেন। এরা হলেন- নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশনস বিভাগের বহিষ্কৃত ছাত্র সাদমান ইয়াছির মাহমুদ, ফয়সাল বিন নাঈম দীপ, এহসান রেজা রুম্মান, মাকসুদুল হাসান অনিক, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজ এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মো. জসীমউদ্দিন রাহমানী। অভিযোগ গঠনের পর ২১ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রাখা হলেও আসামি মাকসুদুল হাসান অনিকের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ায় সাক্ষ্য পিছিয়ে যায়। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment