Thursday, April 30, 2015

বাতিল ভোটের রেকর্ড, ডাল মে কুচ কালা হ্যায়:আরটিএনএন

বাতিল ভোটের রেকর্ড, ডাল মে কুচ কালা হ্যায় আব্দুল আলীম আরটিএনএন ঢাকা: জালিয়াতির সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাতিল ভোটের সংখ্যা নতুন রহস্যের সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরাও হতবাক হয়েছেন বাতিল ভোটের সংখ্যা দেখে। তাৎক্ষণিকভাবে এর কারণ বলতে না চাইলেও তাদের মতে, ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’। মঙ্গলবারের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম, কারচুপি ও ভোট চুরির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার নতুন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বাতি
ল ভোটের সংখ্যা। নির্বাচন কমিশনই বলছে, এর আগে কখনো এত ভোট বাতিল হয়নি। বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে মঙ্গলবারের নির্বাচনে ১ লাখ ২১ হাজার ৩টি ভোট বাতিল করেছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা, যা কমিশনের দাবি মতে মোট গণনা করা ভোটের ৪.৫৬ শতাংশ। বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকদের মতে এতটা খারাপ নির্বাচন আগে কখনো হয়নি। যে পরিমাণ ভোট দেখানো হয়েছে আসলে অতটা মানুষ ভোট দিতে আসেনি। ভোট ‘অন্যরকমভাবে’ হয়ে গেছে। জানতে চাইলে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ডেমোক্রেসি ওয়াচের চেয়ারম্যান তালেয়া রেহমান টেলিফোনে আরটিএনএন-কে বলেন, ‘যে পরিমাণ ভোট বাতিল হয়েছে সেটা নজিরবিহীন। এর আগেই অনেক নির্বাচনে অস্বাভাবিক ভোট বাতিল হয়েছে। তবে শতকরা হিসেবে এই নির্বাচনের মত এত বেশি ভোট বাতিল হয়নি কখনো।’ তিনি বলছিলেন, ‘আমরা যা পর্যবেক্ষণ করেছি তাতে এতটা খারাপ নির্বাচন আগে কখনো হয়নি। যে পরিমাণ কারচুপি, ব্যালট পেপার চুরি ও বাক্স ছিনতায় হয়েছে তা নজিরবিহীন।’ তালেয়া রেহমান বলেন, ‘আসল ভোট বাক্সে পড়েনি, অন্যরকমভাবে ভোট হয়ে গেছে। সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি অনেকটা থাকলেও দুপুরের আগেই হঠাৎ করে উপস্থিতি কমে যায়। যে পরিমাণ ভোটার গিয়েছে তার চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। এটাকে কোনো ফেয়ার ইলেকশন বলা যায় না। এমন হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করলে স্বাধীন থাকতে পারত। কিন্তু তারা থাকেনি। সমস্যা হবে বলেই আমরা সেনাবাহিনী নামানোর দাবি জানিয়েছিলাম। অথচ এমন অবস্থায়ও সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে রেখে দিয়েছে তারা। সেনাবাহিনী মাঠে থাকলে হয়তো এমন নির্বাচন হতো না। আরো ভালো হতো।’ ‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আসলে প্রমাণিত হতে চলেছে আগামীতে বাংলাদেশে আর নিরোপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না,’ যোগ করেন তালেয়া রেহমান।  জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ-জানিপপের চেয়ারম্যান  ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ আরটিএনএন-কে বলেন, ‘অন্যান্য নির্বাচনেও ভোট নষ্ট হয়। তবে এবার যেটা হয়েছে সেটা আসলে ধারণার বাইরে বা কাম্য নয়।’ কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারণ অন্য কিছু থাকতে পারে তবে এখনো আমরা বলতে পারি না। সকলকে ভোট দেয়ার নিয়ম কানুন শিক্ষা দিয়েছি। ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ (সক্ষমতা বৃদ্ধি) করার পরও যদি এমন ঘটনা ঘটে তবে বলতেই হয় যে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।’ ভোট বাতিল প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব শামসুল আলম বলেন, অতীতের নির্বাচনগুলোতেও ভোট বাতিল হয়েছে। তবে তখন  ১ থেকে ২ শতাংশ ভোট বাতিল হতে দেখা গেছে। এবার তা ৪.৫৬ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। ভোট বাতিল হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সাধারণত ব্যালট পেপারে একটি পদের বিপরীতে একাধিক প্রতীকে বা নির্ধারিত ঘরের বাইরে সিল মারা হলে, ডাবল সিল মারা হলে, ব্যালট পেপারে কিছু লেখা বা ছেঁড়া হলে, ভাঁজ যথাযথ না হলে এবং কালি ছড়িয়ে পড়ার মতো বেশ কিছু কারণে ভোট বাতিল হতে পারে। বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা সকালের দিকেই ভোট বর্জন করলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন দেখানোর জন্য তাদের বাক্সে বিপুল পরিমাণ ভোট দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment