Thursday, April 30, 2015

জিয়ার মাজার মেরামতে গণপূর্তের ফেবিকল:আরটিএনএন

জিয়ার মাজার মেরামতে গণপূর্তের ফেবিকল নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টিত জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন চন্দ্রিমা উদ্যানে রাতের আঁধারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাঙচুর করা মাজার মেরামত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া একটার দিকে সরকারের গণপূর্ত বিভাগের দুইজন স্টাফ ফেবিকল (আটা) ও ব্রাশ নিয়ে এসে মেরামতের কাজ করছেন। ঘটনাস্থল থেকে আরটিএনএন’র নিজস্ব প্রতিবেদক
জানান, দুপুর সোয়া একটার দিকে দুইজন ফেবিকল ও ব্রাশ নিয়ে এসে মাজারের ভাঙচুর করা পাথর জোড়া লাগানোর কাজ করছেন। তারা হলেন- পিডব্লিউডি’র স্টাফ তুহিন হোসেন ও আঙ্গার হোসেন। তারা জানান, গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন তাদের পাঠিয়েছেন। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন আলমগীর হোসেন। একই সময়ে সেখানে আসেন শেরেবাংলা থানার ওসি গনেশ গোপাল বিশ্বাস। ওসি গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেনের কাছে কারা মাজার ভাঙচুর করতে চান। তিনি বলেন, ‘আমার জানা নেই।’ পরে ওসি জিজ্ঞেস করেন, ‘মাজারের দেখভাল কে করে?’ জবাবে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নির্দিষ্ট কেউ মাজারের দেখভালে নেই। তবে চন্দ্রিমা উদ্যানের পরিচ্ছন্নকর্মীরাই এর যা একটু দেখভাল করে থাকে।’ পরে ওসি এবং আলমগীর হোসেন দুজনই চলে যান। তবে তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ ইমরান খালেদ প্রিন্স। তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ ঘটনায় গণপূর্তের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের মাজারে ভাঙচুর দূরভিসন্ধিমূলক কর্মকাণ্ড।’ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান প্রিন্স। তিনি আরো বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগ বলছে- আটা উঠে গেছে। কিন্তু সেটি হলে পাথর এভাবে ভেঙে যাওয়ার কথা নয়। মাজারের মত জায়গায় এ ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আমরা মর্মাহত। এর ব্যর্থতার দায় গণপূর্ত বিভাগ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।’ এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান আরটিএনএন- কে বলেন, ‘বুধবার রাতের আঁধারে কে বা কারা জিয়উর রহমানের মাজার ভাঙচুর করেছে।’ সরেজমিনে জিয়ার কবরের ঠিক আগে পাথরের তৈরি যে রাউন্ড রয়েছে, পূর্বপাশের পাথর থেকে পাঁচটি উঠেয়ে ফেলা হয়েছে। আর লম্বা আকৃতির বাকি পাঁচটি পাথর অর্ধেকেরও বেশি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভাঙচুর করা এসব পাথর গুছিয়ে আবার ওই রাউন্ডের ওপরই রেখে গেছে ভাঙচুরকারীরা। মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment