
চিঠি দেয় দুদক। কিন্তু তথ্য উপাত্ত না পেয়ে দ্বিতীয় দফা চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের উপ-পরিচালক মো. জুলফিকার আলী আগামী ২ মার্চের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রেকর্ডপত্র সরবরাহের জন্য চিঠি পাঠিছেন। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দুদেক চাকরি নেয় ওই ১২ কর্মকর্তা। ফলে দুদক ওই ১২ জনের সনদ জালিয়াতির অভিএযাগ যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান করছে। জানা যায়, দুদকে চাকরি নেওয়া ওই কর্মকর্তাদের পোষ্য হিসেবে শনাক্তকরণে সরকার নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে কি-না সে বিষয়ে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে দুদকের রেকর্ডপত্র ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ১২ কর্মকর্তাদের বাবা-মা কিংবা পরিবারের সদস্যরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কি-না সেটি নিশ্চিত হতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। অথচ দুদকে নিয়োগ প্রাপ্তরা কেউ পিতা, কেউবা দাদা, এমনকি নানাও মুক্তিযুদ্ধ করেছেন মর্মে সত্যায়িত রেকর্ডপত্র দাখিল করেন। দাখিলকৃত রেকর্ডে মুক্তিযোদ্ধা সনদের জাল কাগজপত্র ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সন্দেহভাজন দুদেকর ১২ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন; সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, ফারুক আহমেদ, মো. আতিকুল আলম, জুয়েল আহমেদ, মঈনুল হাসান, এহসানুল কামরান তানভীর, আতিকুর রহমান, মো. শাওন মিয়া, নাজমুল আহসান, উপ সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল, নিয়ামুল আহসান গাজী এবং মো. সাইদুজ্জামান। আরো জানা যায়, দুদকের আরো ৯ দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন উপ-পরিচালক মোঃ জুলফিকার আলী। গত ৯ জানুয়ারির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দুদেকর ডিজি কামরুল হোসেন মোল্লাহ, পরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়াকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয। তবে তার প্রতিবেদনে দুদক রিচালক গোলাম ইয়াহিয়া, উপ-পরিচালক ঢালী আবুদস সামাদ, উপ-পরিচালক এস এম গোলাম মাওলা সিদ্দিকী ও সাবেক উপ-পরিচালক রঞ্জন কুমার মজুমদার, সহকারী পরিদর্শক আবদুস সোবহান, কোর্ট সহকারী ( পুলিশের এএসআই) নুরুল ইসলাম ও কোট সহকারী পুলিশের এ এসআই ইসহাক ফকিকে অভিযুক্ত করা হয়। একে, জেএ
No comments:
Post a Comment