
উদ্দিন মজুমদার। ২৪ ঘণ্টার এই অবস্থান কর্মসূচী চলবে মঙ্গলবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত। গাছের উপর থেকে বসে হাত মাইক দিয়ে তিনি বলেন, পেট্রোল বোমা আগুনে পোড়া মানুষের চিৎকারে হরতাল-অবরোধে ব্যবসায়িদের চিৎকারে, ক্রস ফায়ারের মৃত মানুষদের চিৎকারে ৫৬ বছর বয়সে গাছের উপরে উঠে দাবি জানাতে বাধ্য হলাম। এখন আর মাটির উপরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করলে উপরের লোকেরা শুনতে পায়না। জালাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু মাটিতে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন, আমরা সাত কোটি মানুষ শুনেছিলাম তার কথা। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর ১৬ কোটি মানুষ আত্মচিৎকার করে বলছে, আগুনে পুড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। শুনছেনা (খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনা) দুজনে। কয়েকজন সুবিধাভোগী নেতার কথা তারা ভাবছেন। তিনি বলেন, এখন কিছু নেতার হৃদয় হয়ে গেছে কাঠের মত শক্ত। বঙ্গবন্ধুর মত মানুষ এখন আর নাই, যে মাটিতে দাঁড়িয়ে বললে তারা শুনবে। এই মাটিতে কথা বলার অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। সংলাপে বসার কথা বলতে বঙ্গবীরের মত নেতার কাঁথা-বালিশ নিয়ে গেছে। সেই ভয়ে আমি কাঁথা বালিশ আনিনি। মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মাটি থেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাই আমি গাছে উঠে কথাবলা ছাড়া কোন উপায় দেখছি না। জালাল উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতা-গণতন্ত্র গাছের উপর, আমাকে ধরে নিতে দরজা ভাংতে হবেনা। আমি গাছের সাথে শিকল দিয়ে নিজেকে বেঁধে রেখেছি। এতে অন্তত পেট্রোল বোমা থেকে অন্তত বাঁচতে পারবো। যেহেতু গাছের উপর আছি, র্যাবের জন্য সহজ হবে। পাখির মত গুলি করতে পারবে। গোপন করতে পারবেনা, জনতা দেখতে পারবে। আমার সাথে গাছও আসামী হবে। যেহেতু গাছ আমাকে আশ্রয় দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার এই অবস্থান সম্পর্কে সংগঠনের কাউকে জানাইনি। কারন গাছের উপর এতো লোকের জায়গা হবেনা। খবর পেয়ে যদি কেউ আসে, তাহলে তারা নিচে থাকবে। আর যে সমস্থ মানুষ পেট্রোল বোমায় আহত হয়ে বেঁচে আছে, তারা আসবে, তাদের স্বজনেরা আসবে। আমিতো তাদের জন্য গাছের উপর উঠেছি। তারা আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে স্বারকলিপি দিবেন বলেও জানান তিনি। দার্শনিক জালাল উদ্দিন মজুমদারের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের নবগ্রামে। তার জন্ম ১৯৫৭ সালে। পেশা হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন তিনি একজন সাংবাদিক ও ঠিকাদার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। এমএ/এসএইচ
No comments:
Post a Comment