
ত মোট ১,১০৩ জনের মধ্যে ৬১১ জনই সাধারণ নাগরিক। বাকি ৪৯২ জন সামরিক বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। জাতিসংঘের সহকারি মিশনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, নিহতদের পাশাপাশি ইরাকে সহিংসতায় গত মাসে আরও অন্তত ২,২৮০ জন আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে ১,৩৫৩ জন বেসামরিক নাগরিক। প্রতিবেদনে ইরাকের রাজধানী বাগদাদকে সবচেয়ে ঝুকিঁপূর্ণ শহর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে বাগদাদে ৩২৯ জন সাধারণ নাগরিক নিহত এবং ৮৭৫ জন আহত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। তবে, ইরাকে মোট ভূখন্ডের প্রায় তিনভাগের একভাগে যেখানে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শাসন চলছে সেখানকার সহিংসতা বা হতাহতের হিসাব এই প্রতিবেদনে দেয়া হয়নি। ইরাকে ২০০৬-২০০৭ সালে সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গত বছরকে (২০১৪) সবচেয়ে ভয়াবহতম সময় হিসেবে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ২০১৪ সালে সহিংসতায় ইরাকে ১২,২৮২ জন নিহত এবং ২৩,১২৬ জন আহত হয়েছেন। এই প্রতিবেদন এমন এক সময় প্রকাশ করা হলো যার মাত্র একদিন আগে ইরাকের বাগদাদে জনঅধ্যুষিত এলাকা এবং শিয়া মিলিশিয়াদের চেক পয়েন্টকে লক্ষ্য করে সিরিজ বোমা হামলায় ৩৭ ব্যাক্তি নিহত হন। এর মধ্যে প্রথম বোমাটি বাগদাদ থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে বালাদ রুজ শহরের একটি মার্কেটের কাছে বিস্ফোরিত হয়। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই বিস্ফোরণের ফলে ১১ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে, সামারাহ শহরের নিকটে দুটি আত্মঘাতি বোমা হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। আর এ হামলায় অন্তত ৩১ জন আহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, সামারাহ ও এর আশ-পাশের এলাকা প্রায়ই আইএসআইএলের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। ইরাকের এক তৃতীয়াংশ এবং সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল বর্তমানে আইএসআইএলের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে যেখানে তারা খিলাফত কায়েম করেছে বলে দাবি জানিয়ে আসছে। কেবি
No comments:
Post a Comment