ান, এমন পরিস্থতিতে মুক্ত রাজনীতি করতে পারছেন না তারা। এদিকে, অভিযোগ উঠেছে- চলমান হরতাল-অবরোধে নাশকতা বন্ধের নামে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যক্তিগত শত্রুতা দমনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে প্রভাবিত করে বিএনপি-জামায়াত কর্মী পরিচয়ে নিরীহ সাধারণ মানুষের নামও আসামির তালিকায় ঠুকিয়ে দিচ্ছেন তারা। তবে আ.লীগ নেতাদের দাবি- প্রশাসনের একার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব নয়, তাই প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন তারা। অন্যদিকে, দেশের যেকোন অঞ্চলের চেয়ে বরিশাল সময় সব সময় শান্ত থাকলেও গত দু মাসে প্রায় ৩০ গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন ৬ জন। পুড়ে গেছে প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদ। এসব ঘটনায় প্রশাসন বাদী হয়ে মামলা করছেন বলে জানানো হয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএ রব মিয়া জানান, বিগত সরকারের দুই মেয়াদে ২৫০ টি’র বেশি মামলা দায়ের হয়েছে পটুয়াখালী সদরসহ জেলার ৮ উপজেলায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে কলাপাড়ায়। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে পটুয়াখালী সদর। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া জানান, ‘১ জন খুন এবং একজনের চক্ষু উৎপাটন ছাড়াও বিগত আমল থেকে জেলায় দফায় দফায় হামলা ভাংচুরের শিকার হয়েছে বিএনপি। জেলার ৪ উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ১২০টি মামলা। আসামির সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। সবচেয়ে বেশি ৩৩টি মামলা দায়ের হয়েছে রাজাপুর উপজেলায়।’ পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, জেলার ৭ উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ১৪১টি। সবচেয়ে বেশি ৪১টি মামলা দায়ের হয়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলায়। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। তিনি দাবি করেন, মামলা ছাড়াও অকারণে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ।’ ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ‘জেলার ৭ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা লালমোহন উপজেলায়। এখানে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ৫১টি মামলা। এছাড়া পুরো জেলায় দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ১২৫। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে।’ বরগুনা জেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা দায়ের হওয়ার কথা উল্লেখ করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় গড়ে ৫/৬টি করে মামলা রয়েছে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি।’ বরিশাল জেলায় ৪ বছরে দলের প্রায় সাড়ে ৬ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি মামলা দায়ের হওয়ার কথা জানিয়েছেন এখানকার বিএনপি নেতারা। জেলা বিএনপির (দক্ষিণ) সভাপতি এবায়দুল হক চান জানান, ‘দক্ষিণের আওতাধীন ৫ উপজেলাতে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ৮৪। আসামি রয়েছে ৩ হাজারের বেশি।’ উত্তর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আলম রাজু জানান, ‘শুধু হিজলা এবং মেহেন্দিগঞ্জেই রয়েছে ৩৫টি মামলা। পুরো উত্তর জেলার হিসাব করলে এ সংখ্যা ১শ’ ছাড়িয়ে যাবে। ভোলা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিউর রহমান কিরন বলেন, ‘রাজনৈতিক মামলা মানেই কমপক্ষে দেড় থেকে দুইশ’ নেতাকর্মীকে করা হয় আসামি। ৩০/৪০ জনের নাম উল্লেখ করে বাকি আসামিদের নাম রাখা হয় অজ্ঞাতদের তালিকায়। পরে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি ঠেকানো কিংবা শত্রুতা উদ্ধারের লক্ষে নিরীহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের পর আসামি হিসেবে ঢুকিয়ে দেয়া হয় এসব মামলায়। কেন্দ্রিয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগীয়) ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন- ৬ জেলায় সাড়ে ৯ শ’ মামলা, আসামি প্রায় ৩৫ হাজার। সিংহভাগ মামলার বাদী পুলিশ ‘যেকোন মামলার ক্ষেত্রে আ’লীগ নেতাদের দ্বারা পুলিশ প্রভাবিত হয়ে নির্ধারিত কিছু নাম আগেভাগেই ঢুকিয়ে রাখেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে কোন কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তার অজান্তেই দায়ের হয়ে যায় ডজন খানেক মামলা।’ তবে বিএনপি দলীয় শীর্ষ নেতাদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো: ইউনুস এমপি বলেন, রাজনীতির নামে বিএনপি-জামায়াত নাশকতা করছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা সরকার দলীয় লোক হিসেবে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে থাকি। পটুয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান মোশারেফ হোসেন বলেন, প্রশাসনের একার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব নয়, তাই প্রশাসনকে সহযোগিতা করি। বরিশার বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির জানান, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতেই মূলত মামলা করা হচ্ছে। তা নাহলে আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এমআর, জেএ
Tuesday, March 3, 2015
মামলায় কাবু দক্ষিণাঞ্চল বিএনপি:Time News
মামলায় কাবু দক্ষিণাঞ্চল বিএনপি মাসুদ রানা টাইম নিউজ বিডি, ০৩ মার্চ, ২০১৫ ১৮:৩৩:৫৬ মামলার ভারে কাবু হয়ে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। চলতি বছর বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় বিএনপি-জামায়াতের ১০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে প্রায় দেড়শ মামলা। এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিগত আমলে মামলা হয়েছে প্রায় ১ হাজার। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩৫ হাজারের মতো। দলটির শীর্ষ নেতারা জান
ান, এমন পরিস্থতিতে মুক্ত রাজনীতি করতে পারছেন না তারা। এদিকে, অভিযোগ উঠেছে- চলমান হরতাল-অবরোধে নাশকতা বন্ধের নামে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যক্তিগত শত্রুতা দমনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে প্রভাবিত করে বিএনপি-জামায়াত কর্মী পরিচয়ে নিরীহ সাধারণ মানুষের নামও আসামির তালিকায় ঠুকিয়ে দিচ্ছেন তারা। তবে আ.লীগ নেতাদের দাবি- প্রশাসনের একার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব নয়, তাই প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন তারা। অন্যদিকে, দেশের যেকোন অঞ্চলের চেয়ে বরিশাল সময় সব সময় শান্ত থাকলেও গত দু মাসে প্রায় ৩০ গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন ৬ জন। পুড়ে গেছে প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদ। এসব ঘটনায় প্রশাসন বাদী হয়ে মামলা করছেন বলে জানানো হয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএ রব মিয়া জানান, বিগত সরকারের দুই মেয়াদে ২৫০ টি’র বেশি মামলা দায়ের হয়েছে পটুয়াখালী সদরসহ জেলার ৮ উপজেলায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে কলাপাড়ায়। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে পটুয়াখালী সদর। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া জানান, ‘১ জন খুন এবং একজনের চক্ষু উৎপাটন ছাড়াও বিগত আমল থেকে জেলায় দফায় দফায় হামলা ভাংচুরের শিকার হয়েছে বিএনপি। জেলার ৪ উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ১২০টি মামলা। আসামির সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। সবচেয়ে বেশি ৩৩টি মামলা দায়ের হয়েছে রাজাপুর উপজেলায়।’ পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, জেলার ৭ উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ১৪১টি। সবচেয়ে বেশি ৪১টি মামলা দায়ের হয়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলায়। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। তিনি দাবি করেন, মামলা ছাড়াও অকারণে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ।’ ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ‘জেলার ৭ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা লালমোহন উপজেলায়। এখানে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ৫১টি মামলা। এছাড়া পুরো জেলায় দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ১২৫। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে।’ বরগুনা জেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা দায়ের হওয়ার কথা উল্লেখ করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় গড়ে ৫/৬টি করে মামলা রয়েছে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি।’ বরিশাল জেলায় ৪ বছরে দলের প্রায় সাড়ে ৬ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি মামলা দায়ের হওয়ার কথা জানিয়েছেন এখানকার বিএনপি নেতারা। জেলা বিএনপির (দক্ষিণ) সভাপতি এবায়দুল হক চান জানান, ‘দক্ষিণের আওতাধীন ৫ উপজেলাতে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ৮৪। আসামি রয়েছে ৩ হাজারের বেশি।’ উত্তর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আলম রাজু জানান, ‘শুধু হিজলা এবং মেহেন্দিগঞ্জেই রয়েছে ৩৫টি মামলা। পুরো উত্তর জেলার হিসাব করলে এ সংখ্যা ১শ’ ছাড়িয়ে যাবে। ভোলা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিউর রহমান কিরন বলেন, ‘রাজনৈতিক মামলা মানেই কমপক্ষে দেড় থেকে দুইশ’ নেতাকর্মীকে করা হয় আসামি। ৩০/৪০ জনের নাম উল্লেখ করে বাকি আসামিদের নাম রাখা হয় অজ্ঞাতদের তালিকায়। পরে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি ঠেকানো কিংবা শত্রুতা উদ্ধারের লক্ষে নিরীহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের পর আসামি হিসেবে ঢুকিয়ে দেয়া হয় এসব মামলায়। কেন্দ্রিয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগীয়) ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন- ৬ জেলায় সাড়ে ৯ শ’ মামলা, আসামি প্রায় ৩৫ হাজার। সিংহভাগ মামলার বাদী পুলিশ ‘যেকোন মামলার ক্ষেত্রে আ’লীগ নেতাদের দ্বারা পুলিশ প্রভাবিত হয়ে নির্ধারিত কিছু নাম আগেভাগেই ঢুকিয়ে রাখেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে কোন কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তার অজান্তেই দায়ের হয়ে যায় ডজন খানেক মামলা।’ তবে বিএনপি দলীয় শীর্ষ নেতাদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো: ইউনুস এমপি বলেন, রাজনীতির নামে বিএনপি-জামায়াত নাশকতা করছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা সরকার দলীয় লোক হিসেবে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে থাকি। পটুয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান মোশারেফ হোসেন বলেন, প্রশাসনের একার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব নয়, তাই প্রশাসনকে সহযোগিতা করি। বরিশার বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির জানান, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতেই মূলত মামলা করা হচ্ছে। তা নাহলে আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এমআর, জেএ
ান, এমন পরিস্থতিতে মুক্ত রাজনীতি করতে পারছেন না তারা। এদিকে, অভিযোগ উঠেছে- চলমান হরতাল-অবরোধে নাশকতা বন্ধের নামে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যক্তিগত শত্রুতা দমনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে প্রভাবিত করে বিএনপি-জামায়াত কর্মী পরিচয়ে নিরীহ সাধারণ মানুষের নামও আসামির তালিকায় ঠুকিয়ে দিচ্ছেন তারা। তবে আ.লীগ নেতাদের দাবি- প্রশাসনের একার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব নয়, তাই প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন তারা। অন্যদিকে, দেশের যেকোন অঞ্চলের চেয়ে বরিশাল সময় সব সময় শান্ত থাকলেও গত দু মাসে প্রায় ৩০ গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে দগ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন ৬ জন। পুড়ে গেছে প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদ। এসব ঘটনায় প্রশাসন বাদী হয়ে মামলা করছেন বলে জানানো হয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএ রব মিয়া জানান, বিগত সরকারের দুই মেয়াদে ২৫০ টি’র বেশি মামলা দায়ের হয়েছে পটুয়াখালী সদরসহ জেলার ৮ উপজেলায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের হয়েছে কলাপাড়ায়। এর পরের অবস্থানেই রয়েছে পটুয়াখালী সদর। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিঞা আহমেদ কিবরিয়া জানান, ‘১ জন খুন এবং একজনের চক্ষু উৎপাটন ছাড়াও বিগত আমল থেকে জেলায় দফায় দফায় হামলা ভাংচুরের শিকার হয়েছে বিএনপি। জেলার ৪ উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ১২০টি মামলা। আসামির সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। সবচেয়ে বেশি ৩৩টি মামলা দায়ের হয়েছে রাজাপুর উপজেলায়।’ পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, জেলার ৭ উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ১৪১টি। সবচেয়ে বেশি ৪১টি মামলা দায়ের হয়েছে মঠবাড়িয়া উপজেলায়। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। তিনি দাবি করেন, মামলা ছাড়াও অকারণে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ।’ ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ‘জেলার ৭ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা লালমোহন উপজেলায়। এখানে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ৫১টি মামলা। এছাড়া পুরো জেলায় দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ১২৫। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে।’ বরগুনা জেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা দায়ের হওয়ার কথা উল্লেখ করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় গড়ে ৫/৬টি করে মামলা রয়েছে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি।’ বরিশাল জেলায় ৪ বছরে দলের প্রায় সাড়ে ৬ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি মামলা দায়ের হওয়ার কথা জানিয়েছেন এখানকার বিএনপি নেতারা। জেলা বিএনপির (দক্ষিণ) সভাপতি এবায়দুল হক চান জানান, ‘দক্ষিণের আওতাধীন ৫ উপজেলাতে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা ৮৪। আসামি রয়েছে ৩ হাজারের বেশি।’ উত্তর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আলম রাজু জানান, ‘শুধু হিজলা এবং মেহেন্দিগঞ্জেই রয়েছে ৩৫টি মামলা। পুরো উত্তর জেলার হিসাব করলে এ সংখ্যা ১শ’ ছাড়িয়ে যাবে। ভোলা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিউর রহমান কিরন বলেন, ‘রাজনৈতিক মামলা মানেই কমপক্ষে দেড় থেকে দুইশ’ নেতাকর্মীকে করা হয় আসামি। ৩০/৪০ জনের নাম উল্লেখ করে বাকি আসামিদের নাম রাখা হয় অজ্ঞাতদের তালিকায়। পরে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি ঠেকানো কিংবা শত্রুতা উদ্ধারের লক্ষে নিরীহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের পর আসামি হিসেবে ঢুকিয়ে দেয়া হয় এসব মামলায়। কেন্দ্রিয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগীয়) ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন- ৬ জেলায় সাড়ে ৯ শ’ মামলা, আসামি প্রায় ৩৫ হাজার। সিংহভাগ মামলার বাদী পুলিশ ‘যেকোন মামলার ক্ষেত্রে আ’লীগ নেতাদের দ্বারা পুলিশ প্রভাবিত হয়ে নির্ধারিত কিছু নাম আগেভাগেই ঢুকিয়ে রাখেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে কোন কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তার অজান্তেই দায়ের হয়ে যায় ডজন খানেক মামলা।’ তবে বিএনপি দলীয় শীর্ষ নেতাদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো: ইউনুস এমপি বলেন, রাজনীতির নামে বিএনপি-জামায়াত নাশকতা করছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা সরকার দলীয় লোক হিসেবে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে থাকি। পটুয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান মোশারেফ হোসেন বলেন, প্রশাসনের একার পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব নয়, তাই প্রশাসনকে সহযোগিতা করি। বরিশার বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির জানান, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতেই মূলত মামলা করা হচ্ছে। তা নাহলে আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এমআর, জেএ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment