না, বিশ্বকাপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ানদের কোনো হেলদোল নেই। ২৩ বছর পর বিশ্বকাপ ফিরছে দক্ষিণ গোলার্ধের এই দেশে। তা নিয়ে রোমাঞ্চ অবশ্যই আছে। তবে যে দেশের যে রীতি। শনিবার থেকে ম্যাচ শুরু হলেও বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের ১১তম আসরের পর্দা উঠছে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে এদিন। এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যৌথভাবে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের সিডনি মায়ার মিউজিক বৌল এবং নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে একই সময়ে বিশ্বকাপের উদ্বোধন করবে আইসিসি। সাড়ে চার ঘণ্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠানটি শুরু হবে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস, স্কাই স্পোর্টস। মেলবোর্নের সিডনি মায়ার মিউজিক বৌলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে ফক্স স্পোর্টস, নাইন নেটওয়ার্ক। রোমাঞ্চের প্রকাশ একেক দেশে একেক রকম। মেলবোর্নের সবচেয়ে নামী দৈনিক দি এজ পত্রিকা বরং প্রশ্ন তুলেছে, আবার বিশ্বকাপের রঙ্গমঞ্চ হতে অস্ট্রেলিয়াকে এত দিন অপেক্ষা করতে হলো কেন? ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের পর বিশ্বকাপ, ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিলিয়ে আইসিসি টুর্নামেন্ট হয়েছে মোট ১৭টি। একক ও যৌথ আয়োজক হিসেবে সর্বোচ্চ চারবার তা পেয়েছে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। তিনবার আয়োজনের সুযোগ পেয়ে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশও। যৌথ আয়োজনের কথা বললে কেনিয়া পর্যন্ত দুবার। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে তাই স্বীকার করতে হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আসলে অবিচারই হয়েছে। রঙিন পোশাক, সাদা বল, দিবারাত্রির ম্যাচ মিলিয়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপ হয়ে আছে নতুন যুগের সূচনার স্মারক। এবারের বিশ্বকাপেও এমন স্মরণীয় কিছুই উপহার দেওয়ার সব আয়োজন এখন চূড়ান্ত। যেটির আনুষ্ঠানিক শুরু আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে। সিডনি মাইয়ার মিউজিক বোওলের সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাচ-গান থাকবে, আতশবাজিও। বিশ্বকাপ কিংবদন্তিরা থাকবেন, এই বিশ্বকাপের অধিনায়কদের অনেকেও। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা হেলিকপ্টারে উড়ে আসছেন সিডনি থেকে। বিশেষ একটা মুহূর্তও নাকি থাকবে, যেটিকে আরও ‘বিশেষ’ করে তুলতে যা গোপনীয়তার আবরণে ঢাকা। আয়োজক দুই দেশে উদ্বোধনী ম্যাচের দুই শহরেই হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অস্ট্রেলিয়ার ভেন্যুটা শহরের নাম ভুল বোঝাতে পারে। সিডনি মাইয়ার মিউজিক বোওল সিডনিতে নয়, এমসিজি থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে মেলবোর্ন শহরের প্রাণকেন্দ্রে। সিডনি মাইয়ার নামে এক ব্যবসায়ী ও সমাজসেবীর নামে এটির নাম। বিনা টিকিটে মিউজিক কনসার্ট আয়োজন করাটা ছিল যাঁর অনেক নেশার একটি। আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে জানিয়ে দেবে, বিশ্বকাপের নেশায় বুঁদ হওয়ার সময়ও এসেই গেল!
Thursday, February 12, 2015
বিশ্বকাপ ‘উত্তেজনায় কাঁপছে মেলবোর্ন’; পর্দা উঠছে দুপুরে:Time News
বিশ্বকাপ ‘উত্তেজনায় কাঁপছে মেলবোর্ন’; পর্দা উঠছে দুপুরে স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ১০:০৭:২৬ ‘উত্তেজনায় কাঁপছে মেলবোর্ন’ জাতীয় শিরোনাম করার কোনো উপায় নেই। বরং বিশ্বকাপ বলতে বাংলাদেশে সাজ সাজ রবে অভ্যস্ত কেউ এখানে এসে বড় একটা ধাক্কাই খাবে। বিশ্বকাপ যেখানে ঢাকাকে আলোর রোশনাইয়ে বিয়েবাড়ির রূপ দেয়, এখানে এমসিজির বাইরে বিশ্বকাপের কোনো চিহ্নই নেই। তাই বলে আবার ভেবে বসবেন
না, বিশ্বকাপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ানদের কোনো হেলদোল নেই। ২৩ বছর পর বিশ্বকাপ ফিরছে দক্ষিণ গোলার্ধের এই দেশে। তা নিয়ে রোমাঞ্চ অবশ্যই আছে। তবে যে দেশের যে রীতি। শনিবার থেকে ম্যাচ শুরু হলেও বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের ১১তম আসরের পর্দা উঠছে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে এদিন। এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যৌথভাবে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের সিডনি মায়ার মিউজিক বৌল এবং নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে একই সময়ে বিশ্বকাপের উদ্বোধন করবে আইসিসি। সাড়ে চার ঘণ্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠানটি শুরু হবে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস, স্কাই স্পোর্টস। মেলবোর্নের সিডনি মায়ার মিউজিক বৌলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে ফক্স স্পোর্টস, নাইন নেটওয়ার্ক। রোমাঞ্চের প্রকাশ একেক দেশে একেক রকম। মেলবোর্নের সবচেয়ে নামী দৈনিক দি এজ পত্রিকা বরং প্রশ্ন তুলেছে, আবার বিশ্বকাপের রঙ্গমঞ্চ হতে অস্ট্রেলিয়াকে এত দিন অপেক্ষা করতে হলো কেন? ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের পর বিশ্বকাপ, ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিলিয়ে আইসিসি টুর্নামেন্ট হয়েছে মোট ১৭টি। একক ও যৌথ আয়োজক হিসেবে সর্বোচ্চ চারবার তা পেয়েছে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। তিনবার আয়োজনের সুযোগ পেয়ে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশও। যৌথ আয়োজনের কথা বললে কেনিয়া পর্যন্ত দুবার। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে তাই স্বীকার করতে হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আসলে অবিচারই হয়েছে। রঙিন পোশাক, সাদা বল, দিবারাত্রির ম্যাচ মিলিয়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপ হয়ে আছে নতুন যুগের সূচনার স্মারক। এবারের বিশ্বকাপেও এমন স্মরণীয় কিছুই উপহার দেওয়ার সব আয়োজন এখন চূড়ান্ত। যেটির আনুষ্ঠানিক শুরু আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে। সিডনি মাইয়ার মিউজিক বোওলের সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাচ-গান থাকবে, আতশবাজিও। বিশ্বকাপ কিংবদন্তিরা থাকবেন, এই বিশ্বকাপের অধিনায়কদের অনেকেও। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা হেলিকপ্টারে উড়ে আসছেন সিডনি থেকে। বিশেষ একটা মুহূর্তও নাকি থাকবে, যেটিকে আরও ‘বিশেষ’ করে তুলতে যা গোপনীয়তার আবরণে ঢাকা। আয়োজক দুই দেশে উদ্বোধনী ম্যাচের দুই শহরেই হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অস্ট্রেলিয়ার ভেন্যুটা শহরের নাম ভুল বোঝাতে পারে। সিডনি মাইয়ার মিউজিক বোওল সিডনিতে নয়, এমসিজি থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে মেলবোর্ন শহরের প্রাণকেন্দ্রে। সিডনি মাইয়ার নামে এক ব্যবসায়ী ও সমাজসেবীর নামে এটির নাম। বিনা টিকিটে মিউজিক কনসার্ট আয়োজন করাটা ছিল যাঁর অনেক নেশার একটি। আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে জানিয়ে দেবে, বিশ্বকাপের নেশায় বুঁদ হওয়ার সময়ও এসেই গেল!
না, বিশ্বকাপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ানদের কোনো হেলদোল নেই। ২৩ বছর পর বিশ্বকাপ ফিরছে দক্ষিণ গোলার্ধের এই দেশে। তা নিয়ে রোমাঞ্চ অবশ্যই আছে। তবে যে দেশের যে রীতি। শনিবার থেকে ম্যাচ শুরু হলেও বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের ১১তম আসরের পর্দা উঠছে। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে এদিন। এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যৌথভাবে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের সিডনি মায়ার মিউজিক বৌল এবং নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে একই সময়ে বিশ্বকাপের উদ্বোধন করবে আইসিসি। সাড়ে চার ঘণ্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠানটি শুরু হবে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে স্টার স্পোর্টস, স্কাই স্পোর্টস। মেলবোর্নের সিডনি মায়ার মিউজিক বৌলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে ফক্স স্পোর্টস, নাইন নেটওয়ার্ক। রোমাঞ্চের প্রকাশ একেক দেশে একেক রকম। মেলবোর্নের সবচেয়ে নামী দৈনিক দি এজ পত্রিকা বরং প্রশ্ন তুলেছে, আবার বিশ্বকাপের রঙ্গমঞ্চ হতে অস্ট্রেলিয়াকে এত দিন অপেক্ষা করতে হলো কেন? ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের পর বিশ্বকাপ, ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মিলিয়ে আইসিসি টুর্নামেন্ট হয়েছে মোট ১৭টি। একক ও যৌথ আয়োজক হিসেবে সর্বোচ্চ চারবার তা পেয়েছে ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। তিনবার আয়োজনের সুযোগ পেয়ে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশও। যৌথ আয়োজনের কথা বললে কেনিয়া পর্যন্ত দুবার। আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে তাই স্বীকার করতে হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আসলে অবিচারই হয়েছে। রঙিন পোশাক, সাদা বল, দিবারাত্রির ম্যাচ মিলিয়ে ১৯৯২ বিশ্বকাপ হয়ে আছে নতুন যুগের সূচনার স্মারক। এবারের বিশ্বকাপেও এমন স্মরণীয় কিছুই উপহার দেওয়ার সব আয়োজন এখন চূড়ান্ত। যেটির আনুষ্ঠানিক শুরু আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে। সিডনি মাইয়ার মিউজিক বোওলের সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাচ-গান থাকবে, আতশবাজিও। বিশ্বকাপ কিংবদন্তিরা থাকবেন, এই বিশ্বকাপের অধিনায়কদের অনেকেও। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা হেলিকপ্টারে উড়ে আসছেন সিডনি থেকে। বিশেষ একটা মুহূর্তও নাকি থাকবে, যেটিকে আরও ‘বিশেষ’ করে তুলতে যা গোপনীয়তার আবরণে ঢাকা। আয়োজক দুই দেশে উদ্বোধনী ম্যাচের দুই শহরেই হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অস্ট্রেলিয়ার ভেন্যুটা শহরের নাম ভুল বোঝাতে পারে। সিডনি মাইয়ার মিউজিক বোওল সিডনিতে নয়, এমসিজি থেকে ৩-৪ কিলোমিটার দূরে মেলবোর্ন শহরের প্রাণকেন্দ্রে। সিডনি মাইয়ার নামে এক ব্যবসায়ী ও সমাজসেবীর নামে এটির নাম। বিনা টিকিটে মিউজিক কনসার্ট আয়োজন করাটা ছিল যাঁর অনেক নেশার একটি। আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে জানিয়ে দেবে, বিশ্বকাপের নেশায় বুঁদ হওয়ার সময়ও এসেই গেল!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment