আটকের পর বন্দুকযুদ্ধে শিবির নেতা নিহত স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০:০০ রাজধানী ঢাকার মিরপুর থেকে আটক হওয়া ছাত্রশিবিরের নেতা 'ইমদাদুল্লাহ'র (২১) লাশ উদ্ধার করেছে রূপনগর পুলিশ। নিহত ইমদাদুল্লাহ ঢাকা কলেজ ২য় বর্ষের ছাত্র ছিল। তিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের শাহআলী থানার একটি ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন বলেন, 'শনিবার গভীররাতে এমাদুল্লাহকে পেট্রল বোমাসহ আটক করা হয়। পরে তাকে নিয়ে মিরপুরের বিভিন্ন মেসে অভিযান চালানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় বাসে আগুন দেয়ার জন্য তাদের একটি গ্রুপ মিরপুর বেরিবাধ এলাকায় অবস্থান করছে।' ওসির দাবি, 'বেরিবাধ এলাকায় যাওয়ার পর ওই গ্রুপটি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এসময় তাদের গুলিতে এমাদুল্লাহ নিহত হয়।' গতকাল মিরপর-১০ ফায়ার সার্ভিস অফিসের পেছনের রাস্তা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় মিরপুর পুলিশ। পরে তাকে নিয়ে তার বাসায় যায় পুলিশ। সেখান থেকে আরও ৯ জনকে আটক করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে রাতে অভিযানের কথা বলে রূপনগর এলাকায় নিয়ে যায় মিরপুর পুলিশ। পরে ভোর রাতে রূপনগর এলাকা থেকে ইমদাদুল্লাহর মৃত দেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেয় রূপনগর থানা পুলিশ। তবে এ বিষয়ে রূপনগর থানার এসআই আবদুল আজিজ জানান, ভোরে বেড়িবাঁধ এলাকায় জামায়াত-শিবিরের নিজেদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। সে সময় মিরপুর থানা-পুলিশ অজ্ঞাত এক যুবককে (৩০) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে রূপনগর থানায় হস্তান্তর করে। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রোববার ভোররাত ৩টা ৩৭ মিনিটে এ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয় বলে জানান রূপনগর থানার এসআই আবদুল আজিজ। এ দিকে ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রূপনগর থানার একজন এসআই সরাসরি লাশ মর্গে রেখে চলে যান। এখনো কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। নিহত যুবকের পরনে শার্ট, জিনসের জ্যাকেট ও নরমাল প্যান্ট রয়েছে। তার শরীরে অসংখ্য গুলির চিহ্ন রয়েছে। ইআর
No comments:
Post a Comment