
িলেন। বাংলাদেশের সংবিধান বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সংবিধান। এই সংবিধানে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যাদের বই কিনে পড়ার ক্ষমতা নাই, তাদের আমরা বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। সরকার শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া দিচ্ছে, ভূমিহীনদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে এবং কৃষকদের স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার বর্গা চাষিদের কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া শুরু করে। ওই সময় প্রশ্ন উঠেছিল এত ব্যাংক পাব কোথায়? তখন বলেছিলাম- কৃষক নয়, ব্যাংক চলে যাবে কৃষকদের কাছে।’ তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শোষণ-বঞ্চনা, বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমার সরকার সে স্বপ্নপূরণে মানুষের অন্ন, বস্ত্র তথা মৌলিক চাহিদা মেটাতেই কাজ করছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। তাই সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিয়েছি। দেশে দারিদ্র্যের হার কমিয়ে ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে বলেও জানান তিনি। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত। অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হক, সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত অধ্যাপক ড. আবু মাহমুদ, প্রয়াত ড. আখলাকুর রহমান, প্রয়াত শাহ এসএম কিবরিয়া, প্রয়াত অধ্যাপক ড. মালিক খসরু চৌধুরী, প্রয়াত অধ্যাপক ড. এম এন হুদা, প্রয়াত অধ্যাপক ড. মোজাফফর আহমদ, প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস, প্রয়াত অধ্যাপক খালেদা সালাহউদ্দিন, প্রয়াত শামীমা আখতার, প্রয়াত এমএ গফুর, প্রয়াত অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হাই এবং সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে সম্মাননা তুলে দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমিতির আজীবন সদস্যের স্বীকৃতি সনদ তার হাতে তুলে দেন ড. আবুল বারকাত। উদ্বোধন শেষে প্লেনারি সেশনে ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকসের গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment