Tuesday, January 20, 2015

‘বাঁচিয়ে রেখে কী লাভ, আমাদেরও মেরে ফেলেন’:RTNN

‘বাঁচিয়ে রেখে কী লাভ, আমাদেরও মেরে ফেলেন’ নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: ‘আমার ছেলে কী দোষ করেছে? ওকে কেন মারা হলো? আমাদের বাঁচিয়ে রেখে কী লাভ? আমাদেরও মেরে ফেলেন। আল্লাহ ওদের বিচার করবে।’ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ছেলের লাশ নিতে এসে এভাবে আর্তনাদ করছিলেন কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ খিলগাঁওয়ে নিহত ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনির (৩০) মা নিলুফার পারভীন। পুলিশের দাবি, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দ
িকে ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হন জনি। এরপর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। জনির মায়ের সঙ্গে থাকা তার ফুফাতো ভাই শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জনির বাবা ইয়াকুব আলী। জনি হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে পড়তেন। তিনি খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি জানান, বছর খানেক আগে জনি বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রী মুনিরা পারভীন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শহীদুল ইসলামের ভাষ্য, গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আটক ছোট ভাই মনিরুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান জনি। এ সময় তার সঙ্গে আরো দুজন ছিলেন। বেলা একটার দিকে মুঠোফোনে জনির সঙ্গে পরিবারের সর্বশেষ কথা হয়। এরপর থেকে জনি নিখোঁজ ছিলেন এবং তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে জনির সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের নাম জানাতে পারেননি শহীদুল। তিনি দাবি করেন, পুলিশের দেওয়া গাড়ি পোড়ানো মামলা বাদে জনির নামে অন্য কোনো মামলা ছিল না। মামলার পর থেকে প্রাণভয়ে স্বজনদের বাসায় পালিয়ে বেড়াতেন জনি। তার সঙ্গে কারাগারে যাওয়া ওই দুই ব্যক্তিরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান শহীদুল। এর আগে সকালে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ভোররাতে খিলগাঁওয়ের জোড়াপুকুর মাঠে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নুরুজ্জামান জনি নামে এক ছাত্রদল নেতা। তিনি গত শনিবার রাতে মৎস্য ভবনের সামনে পুলিশের গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন। ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুটি গুলি, ছয়টি হাতবোমা ও একটি পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি। তবে নিহত জনির পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জনিকে সাদা পোশাকের পুলিশ সোমবার ধরে নিয়ে যায়। আর মঙ্গলবার তাকে বন্দুকযুদ্ধের নামে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগের রাতে মতিঝিল এজিবি কলোনির কাঁচাবাজার এলাকায় কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইমরুল কায়েস (৩৮) নামে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতা নিহত হন। ইমরুল নড়াইল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। উল্লেখ্য, বিএনপির লাগাতার অবরোধের মধ্যে গত শনিবার রাতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট ও মৎস্য ভবনের মাঝামাঝি স্থানে পুলিশের একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে অজ্ঞাতরা। এতে এক কর্মকর্তাসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। মন্তব্য নিজস্ব প্রতিবেদকআরটিএনএনঢাকা: আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ ঢাকা এবং খুলনা বিভাগের সব জেলায় হরতালের ডাক দিয়েছে . . . বিস্তারিত নিজস্ব প্রতিনিধিআরটিএনএনজামালপুর: জামালপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থী স্বাধীন (১৪) হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে . . . বিস্তারিত            


No comments:

Post a Comment