
নিহত হয়েছেন। কামাল নিজে এবং তার স্ত্রী ও বোন আহত হয়েছেন। বরিশালের সাতমাইল এলাকায় নিজেদের বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা আসছিলেন বলে জানান কামাল। যাত্রীরা জানায়, হাজারখানেক যাত্রী নিয়ে সোমবার রাত পৌনে নয়টার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে সুন্দরবন-৮ লঞ্চটি। রাত দেড়টার দিকে চাঁদপুরের মেঘনা নদী পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা এমভি পারাবাত-৯ নামের অপর একটি লঞ্চ তাদের লঞ্চের কেবিনের অংশে ধাক্কা দেয়। এতে সুন্দরবন-৮ লঞ্চের মাঝের একাংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় ভিআইপি কেবিনে থাকা সাহানা বেগম ঘটনাস্থলে মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অনেককে ঢাকার উদ্দেশে পাঠানো হয়। ঢাকায় আসার পথে শাকিলের মৃত্যু হয়। আহত বেশ কয়েকজন শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আহতদের মধ্যে ফজলুল করিম (৬১), মনোয়ারা বেগম (৫৫), রাব্বি (১১), ডালিয়া বেগম (৩৮), রুপা বেগম (৩০), শিউলি বেগম (৪৫), মোস্তফা কামাল (৩০) ও সুরাইয়া বেগমের (২৫) নাম জানা গেছে। বিআইডব্লিউটিএ’র পরিবহন পরিদর্শক হুমায়ূন কবির খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে বরিশালগামী পারাবাত-৯ নামের একটি লঞ্চ বরিশাল থেকে ঢাকামুখী এমভি সুন্দরবন-৮ লঞ্চে ধাক্কা দিলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। ধাক্কায় সুন্দরবন-৮ লঞ্চের একাংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাঁদপুর নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মনির হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার পর এমভি পারাবাত-৯ নামের লঞ্চটি ফের ঢাকার দিকে চলে যায়। ওই লঞ্চের চালকসহ অন্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর পর এমভি সুন্দরবন-৮ লঞ্চটি রাত চারটায় ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুর লঞ্চঘাট ছেড়ে যায় বলে জানান তিনি। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment