আলোচনা তো হবেই। কিন্তু তার বাইরেও দুটি বিষয়কে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী- ১) দুদেশের মধ্যে ‘আসামাত্র ভিসা’ (ভিসা অন অ্যারাইভাল) দেওয়ার প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব চালু করা, এবং ২) ওবামার সঙ্গে রেডিওতে একটি যৌথ বক্তৃতা দেওয়া। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই দুটি বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারত ও মার্কিন সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পৌঁছাচ্ছেন পেন্টাগনের আন্ডার সেক্রেটারি ফ্রাঙ্ক কেন্ডাল। তার সঙ্গে ভারতীয় কর্তারা প্রধান দুটি বিষয়ের পাশাপাশি আসন্ন শীর্ষ বৈঠকের আলোচ্যসূচিও ঝালিয়ে নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রের খবর, দুদেশের মধ্যে তাত্ত্বিক ও দীর্ঘমেয়াদি আলোচনা কিংবা চুক্তির পাশাপাশি এমন কিছু সিদ্ধান্তও মোদি নিতে চান, যাতে অবিলম্বে দেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হন। তেমনই একটি ক্ষেত্র হল ভিসা। মার্কিন ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘ এবং জটিল। তার সরলীকরণের প্রয়োজন আছে বলে অনেকেই মনে করেন। অন্যদিকে, মার্কিনদের এ দেশে আসামাত্র ভিসা দেওয়া গেলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সুবিধেই হবে। প্রাথমিকভাবে সব বিমানবন্দরে না হলেও আপাতত নয়াদিল্লি এবং নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে ‘আসামাত্র ভিসা’-র ব্যবস্থা চালু করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। এজন্য অবশ্য ভারতীয় বিমানবন্দরকে প্রযুক্তিগত ভাবে প্রস্তুত হতে হবে। কারণ, ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি বিরাট প্রশ্ন। সে ক্ষেত্রে এমন কোনও বায়োমেট্রিক কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে, যা বিমানবন্দরে দেখানো মাত্রই সেই ব্যক্তি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য চোখের সামনে চলে আসবে। এই প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেও আমেরিকার সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। মোদ্দা কথা, ওবামার সফরের মধ্যেই ভিসার বিষয়টি নিয়ে কোনো চুক্তির ঘোষণা করা যায় কি না, কথা চলছে তা নিয়েই। এর সঙ্গে রয়েছে রেডিও-বার্তা। চেষ্টা চলছে, মোদি-ওবামাকে একসঙ্গে রেডিওতে হাজির করার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজের ভাবনা পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই আকাশবাণীতে ‘মন কি বাত’ নামে একটি অনুষ্ঠান শুরু করেছেন মোদি। এ বার তাকেও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তিনি। সেপ্টেম্বরে যখন মোদী আমেরিকা গিয়েছিলেন, তখন মোদী-ওবামা একটি বহুল প্রচারিত মার্কিন দৈনিকে যৌথ সম্পাদকীয় লিখেছিলেন। দিল্লিতে নতুন সরকার আসার পর বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছিল সেখানে। এ বার আকাশবাণীর মাধ্যমে সেই কাজটাই করতে চাইছে মোদি প্রশাসন। আগামী ২৫ তারিখ দিল্লি পৌঁছচ্ছেন ওবামা। ফিরে যাচ্ছেন ২৭শে। ২৫ তারিখেই রয়েছে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলি। মোদি-ওবামা বৈঠক, দিল্লির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা। ২৬ তারিখ প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রায় ৮০ মিনিট উপস্থিত থাকবেন ওবামা। এছাড়াও রয়েছে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে তার নৈশভোজ, হায়দরাবাদ হাউসে চুক্তি স্বাক্ষর, তাজমহল দর্শন। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে কত দ্রুত ওবামাকে তাজমহল দেখিয়ে আনা যায়, তা নিয়েই চলছে নানা কাটাছেঁড়া। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, পূর্ব-ঘোষণা মতো আগরা থেকে হয়তো আর দিল্লি ফিরবেন না ওবামা। সেক্ষেত্রে তাজমহলের শহর থেকেই তাকে নিয়ে দেশের পথ ধরতে পারে এয়ার ফোর্স ওয়ান। বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে পারস্পরিক বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নিরাপত্তা দুটি বিষয়কেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন মোদি এবং ওবামা। কারণ, ভারত তথা গোটা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার সাপেক্ষে নিরাপত্তার বিষয়টি দু’তরফের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমেরিকা ভারতকে ১৭ রকম অস্ত্র সরঞ্জাম দিতে প্রস্তুত বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল। তবে এখনই এত অস্ত্র কেনার প্রয়োজন না থাকায় তা থেকে বাছাই করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুটি চুক্তি হতে পারে। ওবামার সঙ্গে এই সফরে আসার কথা স্ত্রী মিশেল এবং দুই কন্যা মালিয়া এবং সাশার। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ শেষ মুহূর্তে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি না করলে ২৫ তারিখ নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে সপরিবারই দেখা যাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা মন্তব্য
Wednesday, January 21, 2015
ওবামা আসছেন, মোদির দপ্তরে তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতা:RTNN
ওবামা আসছেন, মোদির দপ্তরে তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতা নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন নয়াদিল্লি: হাতে সময় আর মাত্র চার দিন। তার পরেই দিল্লিতে নামবে বারাক ওবামার ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতে থাকবেন সাকুল্যে আড়াই দিন। মোট এই সাড়ে ছদিনের বিন্দুমাত্র যাতে নষ্ট না হয়, সে দিকেই এখন কড়া নজর রেখে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। তার দপ্তরে যুদ্ধকালীন তৎপরতা। দুদেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কূটনৈতিক
আলোচনা তো হবেই। কিন্তু তার বাইরেও দুটি বিষয়কে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী- ১) দুদেশের মধ্যে ‘আসামাত্র ভিসা’ (ভিসা অন অ্যারাইভাল) দেওয়ার প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব চালু করা, এবং ২) ওবামার সঙ্গে রেডিওতে একটি যৌথ বক্তৃতা দেওয়া। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই দুটি বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারত ও মার্কিন সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পৌঁছাচ্ছেন পেন্টাগনের আন্ডার সেক্রেটারি ফ্রাঙ্ক কেন্ডাল। তার সঙ্গে ভারতীয় কর্তারা প্রধান দুটি বিষয়ের পাশাপাশি আসন্ন শীর্ষ বৈঠকের আলোচ্যসূচিও ঝালিয়ে নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রের খবর, দুদেশের মধ্যে তাত্ত্বিক ও দীর্ঘমেয়াদি আলোচনা কিংবা চুক্তির পাশাপাশি এমন কিছু সিদ্ধান্তও মোদি নিতে চান, যাতে অবিলম্বে দেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হন। তেমনই একটি ক্ষেত্র হল ভিসা। মার্কিন ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘ এবং জটিল। তার সরলীকরণের প্রয়োজন আছে বলে অনেকেই মনে করেন। অন্যদিকে, মার্কিনদের এ দেশে আসামাত্র ভিসা দেওয়া গেলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সুবিধেই হবে। প্রাথমিকভাবে সব বিমানবন্দরে না হলেও আপাতত নয়াদিল্লি এবং নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে ‘আসামাত্র ভিসা’-র ব্যবস্থা চালু করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। এজন্য অবশ্য ভারতীয় বিমানবন্দরকে প্রযুক্তিগত ভাবে প্রস্তুত হতে হবে। কারণ, ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি বিরাট প্রশ্ন। সে ক্ষেত্রে এমন কোনও বায়োমেট্রিক কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে, যা বিমানবন্দরে দেখানো মাত্রই সেই ব্যক্তি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য চোখের সামনে চলে আসবে। এই প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেও আমেরিকার সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। মোদ্দা কথা, ওবামার সফরের মধ্যেই ভিসার বিষয়টি নিয়ে কোনো চুক্তির ঘোষণা করা যায় কি না, কথা চলছে তা নিয়েই। এর সঙ্গে রয়েছে রেডিও-বার্তা। চেষ্টা চলছে, মোদি-ওবামাকে একসঙ্গে রেডিওতে হাজির করার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজের ভাবনা পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই আকাশবাণীতে ‘মন কি বাত’ নামে একটি অনুষ্ঠান শুরু করেছেন মোদি। এ বার তাকেও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তিনি। সেপ্টেম্বরে যখন মোদী আমেরিকা গিয়েছিলেন, তখন মোদী-ওবামা একটি বহুল প্রচারিত মার্কিন দৈনিকে যৌথ সম্পাদকীয় লিখেছিলেন। দিল্লিতে নতুন সরকার আসার পর বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছিল সেখানে। এ বার আকাশবাণীর মাধ্যমে সেই কাজটাই করতে চাইছে মোদি প্রশাসন। আগামী ২৫ তারিখ দিল্লি পৌঁছচ্ছেন ওবামা। ফিরে যাচ্ছেন ২৭শে। ২৫ তারিখেই রয়েছে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলি। মোদি-ওবামা বৈঠক, দিল্লির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা। ২৬ তারিখ প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রায় ৮০ মিনিট উপস্থিত থাকবেন ওবামা। এছাড়াও রয়েছে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে তার নৈশভোজ, হায়দরাবাদ হাউসে চুক্তি স্বাক্ষর, তাজমহল দর্শন। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে কত দ্রুত ওবামাকে তাজমহল দেখিয়ে আনা যায়, তা নিয়েই চলছে নানা কাটাছেঁড়া। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, পূর্ব-ঘোষণা মতো আগরা থেকে হয়তো আর দিল্লি ফিরবেন না ওবামা। সেক্ষেত্রে তাজমহলের শহর থেকেই তাকে নিয়ে দেশের পথ ধরতে পারে এয়ার ফোর্স ওয়ান। বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে পারস্পরিক বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নিরাপত্তা দুটি বিষয়কেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন মোদি এবং ওবামা। কারণ, ভারত তথা গোটা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার সাপেক্ষে নিরাপত্তার বিষয়টি দু’তরফের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমেরিকা ভারতকে ১৭ রকম অস্ত্র সরঞ্জাম দিতে প্রস্তুত বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল। তবে এখনই এত অস্ত্র কেনার প্রয়োজন না থাকায় তা থেকে বাছাই করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুটি চুক্তি হতে পারে। ওবামার সঙ্গে এই সফরে আসার কথা স্ত্রী মিশেল এবং দুই কন্যা মালিয়া এবং সাশার। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ শেষ মুহূর্তে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি না করলে ২৫ তারিখ নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে সপরিবারই দেখা যাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা মন্তব্য
আলোচনা তো হবেই। কিন্তু তার বাইরেও দুটি বিষয়কে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী- ১) দুদেশের মধ্যে ‘আসামাত্র ভিসা’ (ভিসা অন অ্যারাইভাল) দেওয়ার প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব চালু করা, এবং ২) ওবামার সঙ্গে রেডিওতে একটি যৌথ বক্তৃতা দেওয়া। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই দুটি বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারত ও মার্কিন সরকারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পৌঁছাচ্ছেন পেন্টাগনের আন্ডার সেক্রেটারি ফ্রাঙ্ক কেন্ডাল। তার সঙ্গে ভারতীয় কর্তারা প্রধান দুটি বিষয়ের পাশাপাশি আসন্ন শীর্ষ বৈঠকের আলোচ্যসূচিও ঝালিয়ে নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রের খবর, দুদেশের মধ্যে তাত্ত্বিক ও দীর্ঘমেয়াদি আলোচনা কিংবা চুক্তির পাশাপাশি এমন কিছু সিদ্ধান্তও মোদি নিতে চান, যাতে অবিলম্বে দেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হন। তেমনই একটি ক্ষেত্র হল ভিসা। মার্কিন ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া দীর্ঘ এবং জটিল। তার সরলীকরণের প্রয়োজন আছে বলে অনেকেই মনে করেন। অন্যদিকে, মার্কিনদের এ দেশে আসামাত্র ভিসা দেওয়া গেলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সুবিধেই হবে। প্রাথমিকভাবে সব বিমানবন্দরে না হলেও আপাতত নয়াদিল্লি এবং নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে ‘আসামাত্র ভিসা’-র ব্যবস্থা চালু করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। এজন্য অবশ্য ভারতীয় বিমানবন্দরকে প্রযুক্তিগত ভাবে প্রস্তুত হতে হবে। কারণ, ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি বিরাট প্রশ্ন। সে ক্ষেত্রে এমন কোনও বায়োমেট্রিক কার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে, যা বিমানবন্দরে দেখানো মাত্রই সেই ব্যক্তি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য চোখের সামনে চলে আসবে। এই প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেও আমেরিকার সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। মোদ্দা কথা, ওবামার সফরের মধ্যেই ভিসার বিষয়টি নিয়ে কোনো চুক্তির ঘোষণা করা যায় কি না, কথা চলছে তা নিয়েই। এর সঙ্গে রয়েছে রেডিও-বার্তা। চেষ্টা চলছে, মোদি-ওবামাকে একসঙ্গে রেডিওতে হাজির করার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজের ভাবনা পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই আকাশবাণীতে ‘মন কি বাত’ নামে একটি অনুষ্ঠান শুরু করেছেন মোদি। এ বার তাকেও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তিনি। সেপ্টেম্বরে যখন মোদী আমেরিকা গিয়েছিলেন, তখন মোদী-ওবামা একটি বহুল প্রচারিত মার্কিন দৈনিকে যৌথ সম্পাদকীয় লিখেছিলেন। দিল্লিতে নতুন সরকার আসার পর বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছিল সেখানে। এ বার আকাশবাণীর মাধ্যমে সেই কাজটাই করতে চাইছে মোদি প্রশাসন। আগামী ২৫ তারিখ দিল্লি পৌঁছচ্ছেন ওবামা। ফিরে যাচ্ছেন ২৭শে। ২৫ তারিখেই রয়েছে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলি। মোদি-ওবামা বৈঠক, দিল্লির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা। ২৬ তারিখ প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রায় ৮০ মিনিট উপস্থিত থাকবেন ওবামা। এছাড়াও রয়েছে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে তার নৈশভোজ, হায়দরাবাদ হাউসে চুক্তি স্বাক্ষর, তাজমহল দর্শন। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে কত দ্রুত ওবামাকে তাজমহল দেখিয়ে আনা যায়, তা নিয়েই চলছে নানা কাটাছেঁড়া। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, পূর্ব-ঘোষণা মতো আগরা থেকে হয়তো আর দিল্লি ফিরবেন না ওবামা। সেক্ষেত্রে তাজমহলের শহর থেকেই তাকে নিয়ে দেশের পথ ধরতে পারে এয়ার ফোর্স ওয়ান। বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে পারস্পরিক বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নিরাপত্তা দুটি বিষয়কেই সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন মোদি এবং ওবামা। কারণ, ভারত তথা গোটা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার সাপেক্ষে নিরাপত্তার বিষয়টি দু’তরফের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমেরিকা ভারতকে ১৭ রকম অস্ত্র সরঞ্জাম দিতে প্রস্তুত বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল। তবে এখনই এত অস্ত্র কেনার প্রয়োজন না থাকায় তা থেকে বাছাই করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দুটি চুক্তি হতে পারে। ওবামার সঙ্গে এই সফরে আসার কথা স্ত্রী মিশেল এবং দুই কন্যা মালিয়া এবং সাশার। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ শেষ মুহূর্তে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি না করলে ২৫ তারিখ নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে সপরিবারই দেখা যাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment