মোকাবেলায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। পাকিস্তানের বিশিষ্ট সাংবাদিক তালাত হোসাইন বলেছেন, পেশোয়ারের ঘঠনা প্রমাণ করছে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় হামলা চালাতে সন্ত্রাসীদের কোনো বেগ পেতে হয় না। ‘এরা আমার সন্তান, এ আমার ক্ষতি, জাতির ক্ষতি’। পেশোয়ারের সেনা স্কুলে তালেবান আক্রমণে শতাধিক কিশোর নিহত হবার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মুখে এই বিলাপ শোনা গেছে৷ ছয় থেকে আটজন তালেবান আততায়ী এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে৷ অবশ্যই শরিফ অকুস্থলে গিয়ে হতাহতদের পরিবারবর্গের প্রতি তার সমবেদনা জ্ঞাপন করতে চেয়েছেন৷ আর্মি পাবলিক স্কুলে প্রথম থেকে দশম গ্রেডের ছাত্ররা পড়ত৷ মঙ্গলবার সকালে ছয় বন্দুকধারী স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে৷ আর্মি কম্যান্ডোরা শীঘ্রই অকুস্থলে পৌঁছে বন্দুকধারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় শুরু করে৷ স্কুল প্রাঙ্গণের চারপাশে সাঁজোয়া গাড়ি নিয়োগ করা হয়৷ শেষ পর্যন্ত ছয় জঙ্গিই নিহত হয়েছে। আক্রমণে ১৪৬ জন নিহত হয়েছে: তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু-কিশোর, অর্থাৎ স্কুলের ছাত্র৷ হাসপাতালের খবর অনুযায়ী নিহতদের মধ্যে একজন শিক্ষক এবং আধাসামরিক বাহিনীর এক সদস্যও আছেন৷ আক্রমণকারীদের সংখ্যা দৃশ্যত কমই ছিল৷ তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মেদ খুরাসানি সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, ছ'জন আত্মঘাতী বোমারু এই আক্রমণ চালিয়েছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার একটি বিবৃতিতে এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ‘‘বছরের পর বছর সন্ত্রাস ও সহিংসতা পীড়িত পাকিস্তান এ যাবৎ যা কিছু দেখেছে, নির্মম কাপুরুষতার দিক থেকে শিশুদের জিম্মি নেওয়া ও হত্যা তাকেও ছাড়িয়ে গেছে৷'' ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেশোয়ারের ‘‘কাপুরুষোচিত'' আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এই আক্রমণকে ‘‘অবর্ণনীয় পাশবিকতার এক অর্থহীন কর্ম'' বলে অভিহিত করেছেন৷ তার কাছে স্কুলের শিশুরা হলো সবচেয়ে নিষ্পাপ ও নিরপরাধ – এবং তারাই এই আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে৷ চিরকালের তরুণতম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই বলেছেন, তিনি ‘‘ভগ্নহৃদয়''; ‘‘নিরপরাধ শিশুদের তাদের নিজেদের স্কুলে এ ধরনের বীভৎসতার সম্মুখীন হওয়া উচিত নয়''৷ বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে মালালাও তার এই সব ‘‘ভাইবোনদের'' মৃত্যুতে শোক করছেন – ‘‘কিন্তু আমরা কখনোই হার মানব না''৷ পাকিস্তানের মিডিয়া বলছে, এই ঘটনা পাকিস্তানের জন্য বড় ক্ষতি করে দেবে। এমনিতেই দিন দিন পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তবে পাকিস্তান তালেবানরাও এবার কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়বে। দেশটির প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাই তালেবানদের বিরদ্ধে কঠোর হতে বলছেন। সাধারণ পাকিস্তানিরাও এই ঘটনাকে স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি। তারা তালেবানদের প্রতি কঠোর হবে, এটা সহজেই বলা যায়। তবে সন্ত্রাস সন্ত্রাসই ডেকে আনে। কাজেই পাকিস্তানে যে আরো সহিংস ঘটনা ঘটবে তা সহজেই অনুমেয়। এএইচ
Wednesday, December 17, 2014
ডনে'র চোখে পাকিস্তানে আরেক ব্ল্যাক ডে:Time News
ডনে'র চোখে পাকিস্তানে আরেক ব্ল্যাক ডে টাইম ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০১:৪২:২০ অ্যানাদার ডিসেম্বর ১৬, অ্যানাদার ব্ল্যাক ডে-এই শিরোনামে নিউজ ছেপেছে পাকিস্তানের বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিক ডন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে পাকিস্তানিরা তাদের ব্ল্যাক ডে হিসেবে দেখে আসছে। আর সেই ১৬ ডিসেম্বরেই পেশোয়ারে ঘটল ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনা। যাতে ১৩২ শিশুসহ নিহত হয়েছেন ১৪৬ জন। পত্রিকাটি লিখেছে, তালেবানের
মোকাবেলায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। পাকিস্তানের বিশিষ্ট সাংবাদিক তালাত হোসাইন বলেছেন, পেশোয়ারের ঘঠনা প্রমাণ করছে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় হামলা চালাতে সন্ত্রাসীদের কোনো বেগ পেতে হয় না। ‘এরা আমার সন্তান, এ আমার ক্ষতি, জাতির ক্ষতি’। পেশোয়ারের সেনা স্কুলে তালেবান আক্রমণে শতাধিক কিশোর নিহত হবার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মুখে এই বিলাপ শোনা গেছে৷ ছয় থেকে আটজন তালেবান আততায়ী এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে৷ অবশ্যই শরিফ অকুস্থলে গিয়ে হতাহতদের পরিবারবর্গের প্রতি তার সমবেদনা জ্ঞাপন করতে চেয়েছেন৷ আর্মি পাবলিক স্কুলে প্রথম থেকে দশম গ্রেডের ছাত্ররা পড়ত৷ মঙ্গলবার সকালে ছয় বন্দুকধারী স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে৷ আর্মি কম্যান্ডোরা শীঘ্রই অকুস্থলে পৌঁছে বন্দুকধারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় শুরু করে৷ স্কুল প্রাঙ্গণের চারপাশে সাঁজোয়া গাড়ি নিয়োগ করা হয়৷ শেষ পর্যন্ত ছয় জঙ্গিই নিহত হয়েছে। আক্রমণে ১৪৬ জন নিহত হয়েছে: তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু-কিশোর, অর্থাৎ স্কুলের ছাত্র৷ হাসপাতালের খবর অনুযায়ী নিহতদের মধ্যে একজন শিক্ষক এবং আধাসামরিক বাহিনীর এক সদস্যও আছেন৷ আক্রমণকারীদের সংখ্যা দৃশ্যত কমই ছিল৷ তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মেদ খুরাসানি সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, ছ'জন আত্মঘাতী বোমারু এই আক্রমণ চালিয়েছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার একটি বিবৃতিতে এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ‘‘বছরের পর বছর সন্ত্রাস ও সহিংসতা পীড়িত পাকিস্তান এ যাবৎ যা কিছু দেখেছে, নির্মম কাপুরুষতার দিক থেকে শিশুদের জিম্মি নেওয়া ও হত্যা তাকেও ছাড়িয়ে গেছে৷'' ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেশোয়ারের ‘‘কাপুরুষোচিত'' আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এই আক্রমণকে ‘‘অবর্ণনীয় পাশবিকতার এক অর্থহীন কর্ম'' বলে অভিহিত করেছেন৷ তার কাছে স্কুলের শিশুরা হলো সবচেয়ে নিষ্পাপ ও নিরপরাধ – এবং তারাই এই আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে৷ চিরকালের তরুণতম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই বলেছেন, তিনি ‘‘ভগ্নহৃদয়''; ‘‘নিরপরাধ শিশুদের তাদের নিজেদের স্কুলে এ ধরনের বীভৎসতার সম্মুখীন হওয়া উচিত নয়''৷ বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে মালালাও তার এই সব ‘‘ভাইবোনদের'' মৃত্যুতে শোক করছেন – ‘‘কিন্তু আমরা কখনোই হার মানব না''৷ পাকিস্তানের মিডিয়া বলছে, এই ঘটনা পাকিস্তানের জন্য বড় ক্ষতি করে দেবে। এমনিতেই দিন দিন পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তবে পাকিস্তান তালেবানরাও এবার কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়বে। দেশটির প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাই তালেবানদের বিরদ্ধে কঠোর হতে বলছেন। সাধারণ পাকিস্তানিরাও এই ঘটনাকে স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি। তারা তালেবানদের প্রতি কঠোর হবে, এটা সহজেই বলা যায়। তবে সন্ত্রাস সন্ত্রাসই ডেকে আনে। কাজেই পাকিস্তানে যে আরো সহিংস ঘটনা ঘটবে তা সহজেই অনুমেয়। এএইচ
মোকাবেলায় দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। পাকিস্তানের বিশিষ্ট সাংবাদিক তালাত হোসাইন বলেছেন, পেশোয়ারের ঘঠনা প্রমাণ করছে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় হামলা চালাতে সন্ত্রাসীদের কোনো বেগ পেতে হয় না। ‘এরা আমার সন্তান, এ আমার ক্ষতি, জাতির ক্ষতি’। পেশোয়ারের সেনা স্কুলে তালেবান আক্রমণে শতাধিক কিশোর নিহত হবার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মুখে এই বিলাপ শোনা গেছে৷ ছয় থেকে আটজন তালেবান আততায়ী এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে৷ অবশ্যই শরিফ অকুস্থলে গিয়ে হতাহতদের পরিবারবর্গের প্রতি তার সমবেদনা জ্ঞাপন করতে চেয়েছেন৷ আর্মি পাবলিক স্কুলে প্রথম থেকে দশম গ্রেডের ছাত্ররা পড়ত৷ মঙ্গলবার সকালে ছয় বন্দুকধারী স্কুলে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে৷ আর্মি কম্যান্ডোরা শীঘ্রই অকুস্থলে পৌঁছে বন্দুকধারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময় শুরু করে৷ স্কুল প্রাঙ্গণের চারপাশে সাঁজোয়া গাড়ি নিয়োগ করা হয়৷ শেষ পর্যন্ত ছয় জঙ্গিই নিহত হয়েছে। আক্রমণে ১৪৬ জন নিহত হয়েছে: তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু-কিশোর, অর্থাৎ স্কুলের ছাত্র৷ হাসপাতালের খবর অনুযায়ী নিহতদের মধ্যে একজন শিক্ষক এবং আধাসামরিক বাহিনীর এক সদস্যও আছেন৷ আক্রমণকারীদের সংখ্যা দৃশ্যত কমই ছিল৷ তালেবান মুখপাত্র মোহাম্মেদ খুরাসানি সংবাদমাধ্যমকে টেলিফোনের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, ছ'জন আত্মঘাতী বোমারু এই আক্রমণ চালিয়েছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার একটি বিবৃতিতে এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, ‘‘বছরের পর বছর সন্ত্রাস ও সহিংসতা পীড়িত পাকিস্তান এ যাবৎ যা কিছু দেখেছে, নির্মম কাপুরুষতার দিক থেকে শিশুদের জিম্মি নেওয়া ও হত্যা তাকেও ছাড়িয়ে গেছে৷'' ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেশোয়ারের ‘‘কাপুরুষোচিত'' আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এই আক্রমণকে ‘‘অবর্ণনীয় পাশবিকতার এক অর্থহীন কর্ম'' বলে অভিহিত করেছেন৷ তার কাছে স্কুলের শিশুরা হলো সবচেয়ে নিষ্পাপ ও নিরপরাধ – এবং তারাই এই আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে৷ চিরকালের তরুণতম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই বলেছেন, তিনি ‘‘ভগ্নহৃদয়''; ‘‘নিরপরাধ শিশুদের তাদের নিজেদের স্কুলে এ ধরনের বীভৎসতার সম্মুখীন হওয়া উচিত নয়''৷ বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে মালালাও তার এই সব ‘‘ভাইবোনদের'' মৃত্যুতে শোক করছেন – ‘‘কিন্তু আমরা কখনোই হার মানব না''৷ পাকিস্তানের মিডিয়া বলছে, এই ঘটনা পাকিস্তানের জন্য বড় ক্ষতি করে দেবে। এমনিতেই দিন দিন পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তবে পাকিস্তান তালেবানরাও এবার কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়বে। দেশটির প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাই তালেবানদের বিরদ্ধে কঠোর হতে বলছেন। সাধারণ পাকিস্তানিরাও এই ঘটনাকে স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি। তারা তালেবানদের প্রতি কঠোর হবে, এটা সহজেই বলা যায়। তবে সন্ত্রাস সন্ত্রাসই ডেকে আনে। কাজেই পাকিস্তানে যে আরো সহিংস ঘটনা ঘটবে তা সহজেই অনুমেয়। এএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment