ে আমন চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এ মৌসুমে কুষ্টিয়ায় আমন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সদর উপজেলাতেই প্রায় সাড়ে ৩০০ চালকলের মাধ্যমে ৪ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে। মিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোরো মৌসুমের মত আমন মৌসুমেও কুষ্টিয়ায় চাল সংগ্রহ অভিযানে চালকল মালিক সমিতি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা ভাগ বসিয়েছেন। এবার যেসব মিলার সরকারি গোডাউনে চাল বিক্রির চুক্তি করেছেন তাদের নিকট থেকে চালকল মালিক সমিতি ও দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেজিতে এক টাকা আদায় করা হচ্ছে। চালকল মালিক সমিতির এক নেতা খাদ্য অফিসে বসেই এ অর্থ আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মিলাররা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিলারদের মাঝে চাল বরাদ্দ দেয় কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য অফিস। মিলারদের সক্ষমতা ও সরকারি বরাদ্দ প্রাপ্যতা অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ৩০ নভেম্বর চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেন মিলাররা। ১ ডিসেম্বর থেকেই চাল ক্রয় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। একাধিক মিলার জানান, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সকল মিলারের মাঝে চাল বরাদ্দ দেন। একই সঙ্গে মিলারদের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে না পড়তেও তিনি সাবধান করে দেন। তবে সরকারি দলের কয়েকজন নেতা এতে বাগড়া দিলে চাল সংগ্রহ পিছিয়ে যায়। জেলা খাদ্য ক্রয় কমিটির সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে চাপ দেন কমিশনের জন্য। পরে চাল কল মালিক সমিতির তিন নেতা, ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ দুই নেতা ও খাদ্য অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা বসে কমিশনের বিষয়টি রফা করেন। প্রথমে কেজি প্রতি দুই টাকা দাবি করেন চালকল মালিক সমিতি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। শেষ পর্যন্ত ১ টাকায় সমঝোতা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুষ্টিয়া খাদ্য অফিসের এক কর্মকর্তার কক্ষে বসেই মিলারদের কাছ থেকে কমিশন আদায় করছেন এক মিল মালিক। প্রতিটনে মিল মালিকদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা নিচ্ছেন তিনি। প্রতি কেজিতে পড়ছে ৭০পয়সা। টাকা নিয়ে মিল মালিকদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন একটি প্রত্যায়নপত্র। প্রত্যায়নপত্রে চালকল মালিক সমিতির নেতাদের সাক্ষর ও সিল রয়েছে। বাকি ৩০ পয়সা নিচ্ছে খাদ্য অফিস। এ প্রত্যায়নপত্র খাদ্য অফিসে দেখানোর পরই ফাইল নড়ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাজানগর এলাকার একাধিক মিল মালিক জানান, চাল ক্রয়ে জেলা ও উপজেলার কমিটি রয়েছে। সেখানে সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা রয়েছে। তারা এসব নিয়ন্ত্রণ করে। চালকল মালিক সমিতির নামে যে অর্থ সংগ্রহ হচ্ছে তার একটি অংশ পাবেন নেতারা। প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ওপরে কমিশন আদায় হবে বলেও জানান মিল মালিকরা। মিলাররা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছর সরকারি গোডাউনে চাল দিতে সরকারি দলের নেতাদের লাভের অংশ থেকে কমিশন দিতে হয়। এবার সরকারি দলের নেতারা ও চালকল মালিক সমিতিকে কমিশন দিতে হচ্ছে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। মিলাররা বলেন, অনেক অসাধু মালিক আছেন যারা সুযোগ বুঝে নিম্নমানের ও পুরাতন চাউল গোডাউনে দিয়ে বেশি লাভ করেন। কমিশনের বিষয়টি চালকল মালিক সমিতির কয়েকজন নেতা নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানিয়েছেন মিলাররা। গোপন সভায় এ নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, আমি ক্রয় কমিটির একজন সদস্য হিসেবে সাফ বলেছি, কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। জেলা প্রশাসককেও আমি স্বচ্ছতার বিষয়টি বলেছি। তিনিও আমার সঙ্গে একমত। মালিক সমিতির নামে কেউ টাকা তুলে থাকলে তার দায় তাদের নিতে হবে। এক্ষেত্রে আমার অবস্থান পরিস্কার। কুষ্টিয়া চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু বলেন, আমরা ঢাকায় ও কুষ্টিয়ায় চালকল মালিক সমিতির নামে জমি ক্রয় ও অফিস নির্মাণ করব। তাই মিলারদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে। এ টাকার ভাগ কাউকে দেয়া হবে না। আমাদের একাউন্টে থাকবে। এদিকে, খাদ্য অফিসের এক কর্মকর্তার কক্ষে বসে প্রত্যায়ন দিচ্ছে এমন বিষয় জানাজানি হওয়ার পর তাকে অফিস থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন কর্মকর্তারা। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০জন মিলার চালকল মালিক সমিতিকে চাঁদা দিয়ে প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করেছে বলে খাদ্য অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে। সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহ নেওয়াজ জানান, স্বচ্ছতার সঙ্গে সংগ্রহ অভিযান চলছে। কোন অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি বছর ৩২ টাকা কেজি দরে আমন চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে। জেএ
Saturday, December 13, 2014
কুষ্টিয়ায় ভেস্তে যাচ্ছে আমন সংগ্রহ অভিযান:Time News
কুষ্টিয়ায় ভেস্তে যাচ্ছে আমন সংগ্রহ অভিযান কুষ্টিয়া করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০৯:৪৩:০১ কুষ্টিয়ায় আমন মৌসুমে সরকারি গোডাউনে চাল দিতে সাধারণ মিলারদের চাঁদা দিতে হচ্ছে চালকল মালিক সমিতিকে। চাল সংগ্রহ অভিযানের শুরুতেই চালকল মালিক সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। কেজি প্রতি এক টাকা কমিশন আদায় করছেন নেতারা। গত ৮ডিসেম্বর থেকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চাল ক্রয়ের মাধ্যম
ে আমন চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এ মৌসুমে কুষ্টিয়ায় আমন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সদর উপজেলাতেই প্রায় সাড়ে ৩০০ চালকলের মাধ্যমে ৪ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে। মিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোরো মৌসুমের মত আমন মৌসুমেও কুষ্টিয়ায় চাল সংগ্রহ অভিযানে চালকল মালিক সমিতি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা ভাগ বসিয়েছেন। এবার যেসব মিলার সরকারি গোডাউনে চাল বিক্রির চুক্তি করেছেন তাদের নিকট থেকে চালকল মালিক সমিতি ও দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেজিতে এক টাকা আদায় করা হচ্ছে। চালকল মালিক সমিতির এক নেতা খাদ্য অফিসে বসেই এ অর্থ আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মিলাররা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিলারদের মাঝে চাল বরাদ্দ দেয় কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য অফিস। মিলারদের সক্ষমতা ও সরকারি বরাদ্দ প্রাপ্যতা অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ৩০ নভেম্বর চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেন মিলাররা। ১ ডিসেম্বর থেকেই চাল ক্রয় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। একাধিক মিলার জানান, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সকল মিলারের মাঝে চাল বরাদ্দ দেন। একই সঙ্গে মিলারদের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে না পড়তেও তিনি সাবধান করে দেন। তবে সরকারি দলের কয়েকজন নেতা এতে বাগড়া দিলে চাল সংগ্রহ পিছিয়ে যায়। জেলা খাদ্য ক্রয় কমিটির সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে চাপ দেন কমিশনের জন্য। পরে চাল কল মালিক সমিতির তিন নেতা, ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ দুই নেতা ও খাদ্য অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা বসে কমিশনের বিষয়টি রফা করেন। প্রথমে কেজি প্রতি দুই টাকা দাবি করেন চালকল মালিক সমিতি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। শেষ পর্যন্ত ১ টাকায় সমঝোতা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুষ্টিয়া খাদ্য অফিসের এক কর্মকর্তার কক্ষে বসেই মিলারদের কাছ থেকে কমিশন আদায় করছেন এক মিল মালিক। প্রতিটনে মিল মালিকদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা নিচ্ছেন তিনি। প্রতি কেজিতে পড়ছে ৭০পয়সা। টাকা নিয়ে মিল মালিকদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন একটি প্রত্যায়নপত্র। প্রত্যায়নপত্রে চালকল মালিক সমিতির নেতাদের সাক্ষর ও সিল রয়েছে। বাকি ৩০ পয়সা নিচ্ছে খাদ্য অফিস। এ প্রত্যায়নপত্র খাদ্য অফিসে দেখানোর পরই ফাইল নড়ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাজানগর এলাকার একাধিক মিল মালিক জানান, চাল ক্রয়ে জেলা ও উপজেলার কমিটি রয়েছে। সেখানে সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা রয়েছে। তারা এসব নিয়ন্ত্রণ করে। চালকল মালিক সমিতির নামে যে অর্থ সংগ্রহ হচ্ছে তার একটি অংশ পাবেন নেতারা। প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ওপরে কমিশন আদায় হবে বলেও জানান মিল মালিকরা। মিলাররা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছর সরকারি গোডাউনে চাল দিতে সরকারি দলের নেতাদের লাভের অংশ থেকে কমিশন দিতে হয়। এবার সরকারি দলের নেতারা ও চালকল মালিক সমিতিকে কমিশন দিতে হচ্ছে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। মিলাররা বলেন, অনেক অসাধু মালিক আছেন যারা সুযোগ বুঝে নিম্নমানের ও পুরাতন চাউল গোডাউনে দিয়ে বেশি লাভ করেন। কমিশনের বিষয়টি চালকল মালিক সমিতির কয়েকজন নেতা নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানিয়েছেন মিলাররা। গোপন সভায় এ নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, আমি ক্রয় কমিটির একজন সদস্য হিসেবে সাফ বলেছি, কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। জেলা প্রশাসককেও আমি স্বচ্ছতার বিষয়টি বলেছি। তিনিও আমার সঙ্গে একমত। মালিক সমিতির নামে কেউ টাকা তুলে থাকলে তার দায় তাদের নিতে হবে। এক্ষেত্রে আমার অবস্থান পরিস্কার। কুষ্টিয়া চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু বলেন, আমরা ঢাকায় ও কুষ্টিয়ায় চালকল মালিক সমিতির নামে জমি ক্রয় ও অফিস নির্মাণ করব। তাই মিলারদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে। এ টাকার ভাগ কাউকে দেয়া হবে না। আমাদের একাউন্টে থাকবে। এদিকে, খাদ্য অফিসের এক কর্মকর্তার কক্ষে বসে প্রত্যায়ন দিচ্ছে এমন বিষয় জানাজানি হওয়ার পর তাকে অফিস থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন কর্মকর্তারা। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০জন মিলার চালকল মালিক সমিতিকে চাঁদা দিয়ে প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করেছে বলে খাদ্য অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে। সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহ নেওয়াজ জানান, স্বচ্ছতার সঙ্গে সংগ্রহ অভিযান চলছে। কোন অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি বছর ৩২ টাকা কেজি দরে আমন চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে। জেএ
ে আমন চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। এ মৌসুমে কুষ্টিয়ায় আমন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সদর উপজেলাতেই প্রায় সাড়ে ৩০০ চালকলের মাধ্যমে ৪ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে। মিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোরো মৌসুমের মত আমন মৌসুমেও কুষ্টিয়ায় চাল সংগ্রহ অভিযানে চালকল মালিক সমিতি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা ভাগ বসিয়েছেন। এবার যেসব মিলার সরকারি গোডাউনে চাল বিক্রির চুক্তি করেছেন তাদের নিকট থেকে চালকল মালিক সমিতি ও দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেজিতে এক টাকা আদায় করা হচ্ছে। চালকল মালিক সমিতির এক নেতা খাদ্য অফিসে বসেই এ অর্থ আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ মিলাররা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিলারদের মাঝে চাল বরাদ্দ দেয় কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য অফিস। মিলারদের সক্ষমতা ও সরকারি বরাদ্দ প্রাপ্যতা অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ৩০ নভেম্বর চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেন মিলাররা। ১ ডিসেম্বর থেকেই চাল ক্রয় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। একাধিক মিলার জানান, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সকল মিলারের মাঝে চাল বরাদ্দ দেন। একই সঙ্গে মিলারদের অনৈতিক কাজে জড়িয়ে না পড়তেও তিনি সাবধান করে দেন। তবে সরকারি দলের কয়েকজন নেতা এতে বাগড়া দিলে চাল সংগ্রহ পিছিয়ে যায়। জেলা খাদ্য ক্রয় কমিটির সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে চাপ দেন কমিশনের জন্য। পরে চাল কল মালিক সমিতির তিন নেতা, ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ দুই নেতা ও খাদ্য অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা বসে কমিশনের বিষয়টি রফা করেন। প্রথমে কেজি প্রতি দুই টাকা দাবি করেন চালকল মালিক সমিতি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। শেষ পর্যন্ত ১ টাকায় সমঝোতা হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুষ্টিয়া খাদ্য অফিসের এক কর্মকর্তার কক্ষে বসেই মিলারদের কাছ থেকে কমিশন আদায় করছেন এক মিল মালিক। প্রতিটনে মিল মালিকদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা নিচ্ছেন তিনি। প্রতি কেজিতে পড়ছে ৭০পয়সা। টাকা নিয়ে মিল মালিকদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন একটি প্রত্যায়নপত্র। প্রত্যায়নপত্রে চালকল মালিক সমিতির নেতাদের সাক্ষর ও সিল রয়েছে। বাকি ৩০ পয়সা নিচ্ছে খাদ্য অফিস। এ প্রত্যায়নপত্র খাদ্য অফিসে দেখানোর পরই ফাইল নড়ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাজানগর এলাকার একাধিক মিল মালিক জানান, চাল ক্রয়ে জেলা ও উপজেলার কমিটি রয়েছে। সেখানে সরকারি কর্মকর্তারা ছাড়াও ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা রয়েছে। তারা এসব নিয়ন্ত্রণ করে। চালকল মালিক সমিতির নামে যে অর্থ সংগ্রহ হচ্ছে তার একটি অংশ পাবেন নেতারা। প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ওপরে কমিশন আদায় হবে বলেও জানান মিল মালিকরা। মিলাররা অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছর সরকারি গোডাউনে চাল দিতে সরকারি দলের নেতাদের লাভের অংশ থেকে কমিশন দিতে হয়। এবার সরকারি দলের নেতারা ও চালকল মালিক সমিতিকে কমিশন দিতে হচ্ছে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। মিলাররা বলেন, অনেক অসাধু মালিক আছেন যারা সুযোগ বুঝে নিম্নমানের ও পুরাতন চাউল গোডাউনে দিয়ে বেশি লাভ করেন। কমিশনের বিষয়টি চালকল মালিক সমিতির কয়েকজন নেতা নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানিয়েছেন মিলাররা। গোপন সভায় এ নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, আমি ক্রয় কমিটির একজন সদস্য হিসেবে সাফ বলেছি, কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। জেলা প্রশাসককেও আমি স্বচ্ছতার বিষয়টি বলেছি। তিনিও আমার সঙ্গে একমত। মালিক সমিতির নামে কেউ টাকা তুলে থাকলে তার দায় তাদের নিতে হবে। এক্ষেত্রে আমার অবস্থান পরিস্কার। কুষ্টিয়া চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ বাবলু বলেন, আমরা ঢাকায় ও কুষ্টিয়ায় চালকল মালিক সমিতির নামে জমি ক্রয় ও অফিস নির্মাণ করব। তাই মিলারদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে। এ টাকার ভাগ কাউকে দেয়া হবে না। আমাদের একাউন্টে থাকবে। এদিকে, খাদ্য অফিসের এক কর্মকর্তার কক্ষে বসে প্রত্যায়ন দিচ্ছে এমন বিষয় জানাজানি হওয়ার পর তাকে অফিস থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন কর্মকর্তারা। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০জন মিলার চালকল মালিক সমিতিকে চাঁদা দিয়ে প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করেছে বলে খাদ্য অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে। সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহ নেওয়াজ জানান, স্বচ্ছতার সঙ্গে সংগ্রহ অভিযান চলছে। কোন অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি বছর ৩২ টাকা কেজি দরে আমন চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চাল সংগ্রহ অভিযান চলবে। জেএ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment