ানে কর্তব্যরত ছিলেন। ৩ জুলাই পাকিস্তানে আটকে পড়া আরো তিনজন অফিসারসহ পালিয়ে যান ও পরে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার মেহেদীপুরে মুক্তিবাহিনীর ৭নম্বর সেক্টরে সাব সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যোগ দেন। তিনি সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হকের অধীনে যুদ্ধ করেন। বিভিন্ন রণাঙ্গনে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখানোর কারণে তাকে রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর দখলের একটি দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৪ ডিসেম্বর তার নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শত্রুঘাটিতে সু-কৌশলে আক্রমণ করা হয়। পাকহানাদার মুক্ত হওয়ার একদিন আগে ১৪ ডিসেম্বরই যুদ্ধে অপরিসীম বীরত্ব প্রদর্শন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উপকন্ঠে রেহাইচর এলাকায় শত্রু বাহিনীর বুলেটে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর শহীদ হন। পরে সহযোদ্ধারা লাশ উদ্ধার করে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সোনামসজিদ চত্বরে সমাহিত করে। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তাকে 'বীরশ্রেষ্ঠ' খেতাবে ভূষিত করা হয়। ক্যাপ্টেন শহীদ মহিউদ্দীন ১৯৬৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন এবং ১৯৬৬ তে আইএসসি পাস করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায়ই পাকিস্তান সামরিক একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৮ সালের ২ জুন ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে কমিশন লাভ করেন। বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন শহীদ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন স্থানীয় প্রশাসন ও তার পরিবারের লোকজন।তার নামে স্থাপিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্মৃতি পাঠাগার, যাদুঘর ও নিজ গ্রাম রহিমগঞ্জে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এএইচ
Sunday, December 14, 2014
বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী রোববার:Time News
ানে কর্তব্যরত ছিলেন। ৩ জুলাই পাকিস্তানে আটকে পড়া আরো তিনজন অফিসারসহ পালিয়ে যান ও পরে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার মেহেদীপুরে মুক্তিবাহিনীর ৭নম্বর সেক্টরে সাব সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যোগ দেন। তিনি সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হকের অধীনে যুদ্ধ করেন। বিভিন্ন রণাঙ্গনে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখানোর কারণে তাকে রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর দখলের একটি দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৪ ডিসেম্বর তার নেতৃত্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শত্রুঘাটিতে সু-কৌশলে আক্রমণ করা হয়। পাকহানাদার মুক্ত হওয়ার একদিন আগে ১৪ ডিসেম্বরই যুদ্ধে অপরিসীম বীরত্ব প্রদর্শন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উপকন্ঠে রেহাইচর এলাকায় শত্রু বাহিনীর বুলেটে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর শহীদ হন। পরে সহযোদ্ধারা লাশ উদ্ধার করে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সোনামসজিদ চত্বরে সমাহিত করে। স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তাকে 'বীরশ্রেষ্ঠ' খেতাবে ভূষিত করা হয়। ক্যাপ্টেন শহীদ মহিউদ্দীন ১৯৬৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন এবং ১৯৬৬ তে আইএসসি পাস করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায়ই পাকিস্তান সামরিক একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৮ সালের ২ জুন ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে কমিশন লাভ করেন। বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন শহীদ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার প্রতিকৃতিতে সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন স্থানীয় প্রশাসন ও তার পরিবারের লোকজন।তার নামে স্থাপিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্মৃতি পাঠাগার, যাদুঘর ও নিজ গ্রাম রহিমগঞ্জে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment