করছেন। ভারত সফররত আবদুল হামিদ দুপুরে হায়দ্রাবাদ হাউজে পৌঁছালে নরেন্দ্র মোদী তাকে স্বাগত জানান। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা। বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বৈঠকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। “ভারতের উন্নয়নে নরেন্দ্র মোদীর ‘গুজরাট মডেলের’ প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি তাকে বলেন, ‘এর ফলে ভারতের উন্নয়ন আরো তরান্বিত হবে। আপনার প্রতি যুবসমাজের আস্থা রয়েছে।’” মোদীর সরকার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর এবং স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতার দ্রুত সমাধান করতে সক্ষম হবে বলেও রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন। “জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার এ দুটো বিষয় সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি আশা করছেন, দ্রুত এর সমাধান হবে।” গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কাঠমান্ডু সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সময় এক বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে ভূমি বিনিময়ের জোর বিরোধিতাকারী রাজ্য আসামে গিয়ে মোদী বলেন, এ চুক্তি কার্যকর হলে আখেরে ওই রাজ্যেরই লাভ হবে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয় স্থল সীমান্ত চুক্তি। আর ২০১১ সালে তৎকালীন ইউপিএ জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় এর প্রটোকল সই হয়, যার আওতায় দুই দেশের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় হওয়ার কথা। প্রটোকলটি কার্যকরে ভারতের সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সে সময় বিরোধী দলে থাকা নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় বিষয়টি ঝুলে যায়। তবে নানামুখি চাপে থাকা মমতা ৬৫ বছর ধরে ঝুলে থাকা সমস্যাটির সমাধানে সম্প্রতি সম্মতি দিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর। মমতার আপত্তির কারণেই একেবারে শেষ মুহূর্তে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ঝুলে যায়, যা মনমোহনের সেই সফরেই সই হওয়ার কথা ছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাকে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণের বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। মোদী তাকে জানান, যতো দ্রুত সম্ভব তিনি সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে চান। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এ খাতে আরো সহযোগিতার প্রত্যাশার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে নেওয়ার বিষয়েও তিনি নরেন্দ্র মোদীর সহযোগিতা কামনা করেন বলে ইহসানুল করিম জানান। তিনি বলেন, “বৈঠকে দুজনেই আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। নরেন্দ্র মোদী বলেন, এ লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা গেলে সবার জন্যই ভালো হবে।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যটন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্ব দেন বলে প্রেস সচিব জানান। “রাষ্ট্রপতিকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও নেপালে তার দুটি বৈঠকই ফলপ্রসূ হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।” মোদী বৈঠকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের মাস ডিসেম্বর তার জন্যও খুব তাৎপর্যপূর্ণ, কেননা চলতি বছর এ মাসেই দুজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে। তাদের একজন হলেন একাত্তরে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের স্টাফ অফিসার লেফট্যানেন্ট জেনারেল জে এফ আর জেকব, যিনি ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন। আর অন্যজন বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শহারিয়ার আলম, দিল্লীতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, সংসদ সদস্য রেজোয়ান আহমেদ তৌফিক ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব শেখ আলতাফ আলী এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে ছয় দিনের সফরে বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লি পৌঁছান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২৩ ডিসেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। জেআই
Saturday, December 20, 2014
শিগগিরই সমাধান, ফের আশা দিলেন মোদী:Time News
শিগগিরই সমাধান, ফের আশা দিলেন মোদী টাইম ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ ১৮:০২:২৪ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকেও তিস্তা চুক্তি সই ও স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরে জোর চেষ্টা চালানোর কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার নয়া দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে আবদুল হামিদের সঙ্গে এক বৈঠকে মোদী বলেছেন, ‘দ্রুত’ এ দুটো বিষয়ের ‘সমাধান’ করা সম্ভব হবে বলেই তিনি আশা
করছেন। ভারত সফররত আবদুল হামিদ দুপুরে হায়দ্রাবাদ হাউজে পৌঁছালে নরেন্দ্র মোদী তাকে স্বাগত জানান। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা। বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বৈঠকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। “ভারতের উন্নয়নে নরেন্দ্র মোদীর ‘গুজরাট মডেলের’ প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি তাকে বলেন, ‘এর ফলে ভারতের উন্নয়ন আরো তরান্বিত হবে। আপনার প্রতি যুবসমাজের আস্থা রয়েছে।’” মোদীর সরকার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর এবং স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতার দ্রুত সমাধান করতে সক্ষম হবে বলেও রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন। “জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার এ দুটো বিষয় সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি আশা করছেন, দ্রুত এর সমাধান হবে।” গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কাঠমান্ডু সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সময় এক বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে ভূমি বিনিময়ের জোর বিরোধিতাকারী রাজ্য আসামে গিয়ে মোদী বলেন, এ চুক্তি কার্যকর হলে আখেরে ওই রাজ্যেরই লাভ হবে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয় স্থল সীমান্ত চুক্তি। আর ২০১১ সালে তৎকালীন ইউপিএ জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় এর প্রটোকল সই হয়, যার আওতায় দুই দেশের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় হওয়ার কথা। প্রটোকলটি কার্যকরে ভারতের সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সে সময় বিরোধী দলে থাকা নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় বিষয়টি ঝুলে যায়। তবে নানামুখি চাপে থাকা মমতা ৬৫ বছর ধরে ঝুলে থাকা সমস্যাটির সমাধানে সম্প্রতি সম্মতি দিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর। মমতার আপত্তির কারণেই একেবারে শেষ মুহূর্তে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ঝুলে যায়, যা মনমোহনের সেই সফরেই সই হওয়ার কথা ছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাকে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণের বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। মোদী তাকে জানান, যতো দ্রুত সম্ভব তিনি সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে চান। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এ খাতে আরো সহযোগিতার প্রত্যাশার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে নেওয়ার বিষয়েও তিনি নরেন্দ্র মোদীর সহযোগিতা কামনা করেন বলে ইহসানুল করিম জানান। তিনি বলেন, “বৈঠকে দুজনেই আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। নরেন্দ্র মোদী বলেন, এ লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা গেলে সবার জন্যই ভালো হবে।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যটন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্ব দেন বলে প্রেস সচিব জানান। “রাষ্ট্রপতিকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও নেপালে তার দুটি বৈঠকই ফলপ্রসূ হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।” মোদী বৈঠকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের মাস ডিসেম্বর তার জন্যও খুব তাৎপর্যপূর্ণ, কেননা চলতি বছর এ মাসেই দুজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে। তাদের একজন হলেন একাত্তরে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের স্টাফ অফিসার লেফট্যানেন্ট জেনারেল জে এফ আর জেকব, যিনি ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন। আর অন্যজন বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শহারিয়ার আলম, দিল্লীতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, সংসদ সদস্য রেজোয়ান আহমেদ তৌফিক ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব শেখ আলতাফ আলী এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে ছয় দিনের সফরে বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লি পৌঁছান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২৩ ডিসেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। জেআই
করছেন। ভারত সফররত আবদুল হামিদ দুপুরে হায়দ্রাবাদ হাউজে পৌঁছালে নরেন্দ্র মোদী তাকে স্বাগত জানান। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা। বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বৈঠকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। “ভারতের উন্নয়নে নরেন্দ্র মোদীর ‘গুজরাট মডেলের’ প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি তাকে বলেন, ‘এর ফলে ভারতের উন্নয়ন আরো তরান্বিত হবে। আপনার প্রতি যুবসমাজের আস্থা রয়েছে।’” মোদীর সরকার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর এবং স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতার দ্রুত সমাধান করতে সক্ষম হবে বলেও রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন। “জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার এ দুটো বিষয় সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি আশা করছেন, দ্রুত এর সমাধান হবে।” গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে কাঠমান্ডু সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের সময় এক বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে ভূমি বিনিময়ের জোর বিরোধিতাকারী রাজ্য আসামে গিয়ে মোদী বলেন, এ চুক্তি কার্যকর হলে আখেরে ওই রাজ্যেরই লাভ হবে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হয় স্থল সীমান্ত চুক্তি। আর ২০১১ সালে তৎকালীন ইউপিএ জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় এর প্রটোকল সই হয়, যার আওতায় দুই দেশের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় হওয়ার কথা। প্রটোকলটি কার্যকরে ভারতের সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সে সময় বিরোধী দলে থাকা নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় বিষয়টি ঝুলে যায়। তবে নানামুখি চাপে থাকা মমতা ৬৫ বছর ধরে ঝুলে থাকা সমস্যাটির সমাধানে সম্প্রতি সম্মতি দিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর। মমতার আপত্তির কারণেই একেবারে শেষ মুহূর্তে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ঝুলে যায়, যা মনমোহনের সেই সফরেই সই হওয়ার কথা ছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তাকে বাংলাদেশ সফরে আসার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণের বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। মোদী তাকে জানান, যতো দ্রুত সম্ভব তিনি সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে চান। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এ খাতে আরো সহযোগিতার প্রত্যাশার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে নেওয়ার বিষয়েও তিনি নরেন্দ্র মোদীর সহযোগিতা কামনা করেন বলে ইহসানুল করিম জানান। তিনি বলেন, “বৈঠকে দুজনেই আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। নরেন্দ্র মোদী বলেন, এ লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা গেলে সবার জন্যই ভালো হবে।” ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যটন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্ব দেন বলে প্রেস সচিব জানান। “রাষ্ট্রপতিকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও নেপালে তার দুটি বৈঠকই ফলপ্রসূ হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।” মোদী বৈঠকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের মাস ডিসেম্বর তার জন্যও খুব তাৎপর্যপূর্ণ, কেননা চলতি বছর এ মাসেই দুজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে। তাদের একজন হলেন একাত্তরে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের স্টাফ অফিসার লেফট্যানেন্ট জেনারেল জে এফ আর জেকব, যিনি ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন। আর অন্যজন বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শহারিয়ার আলম, দিল্লীতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, সংসদ সদস্য রেজোয়ান আহমেদ তৌফিক ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব শেখ আলতাফ আলী এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে ছয় দিনের সফরে বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লি পৌঁছান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২৩ ডিসেম্বর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। জেআই
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment