ল উদ্দিন আহমেদ ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) একজন কর্মকর্তা এবং তার মা ছিলেন লিরিয়ান আহমেদ একজন সমাজকর্মী ও শিক্ষিকা। তার নেতৃত্বেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফটের একদল উদ্যমী গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সফলভাবে উন্মোচিত হয় পাটের জিন নকশা । ২০১০ সালের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। শিক্ষা জীবন ১৯৭৯ সালে রাশিয়ার মস্কো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে এমএস ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে মাইক্রোবায়োলজিতে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। কর্ম জীবনের শুরু মাকসুদুল আলম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি এর আগে ২০১০ সালে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করে দেশে-বিদেশে সাড়া ফেলে দেন। বিশ্বের তিনটি ফসল, চারটি জীবাণুসহ ১৯টি জীবের জীবনরহস্য উন্মোচনের নেতৃত্বে ছিলেন মাকসুদুল আলম। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে পেঁপে, মালয়েশিয়ার হয়ে রবার ও বাংলাদেশের হয়ে পাট ও ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচন করেন। তিনি বাংলাদেশে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনের পরে পাটবিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্পের কাজে হাত দেন। মাকসুদুল আলম এর আগে মালয়েশিয়ার গবেষণা করতেন। ২০১০ সালে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর উদ্যোগে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে তিনি কর্মরত ছিলেন। জীবন রহস্য জীবন রহস্য বা জেনোম সিকোয়েন্স হচ্ছে জীবনের সেই নকশা যা কোনো জীবের সমস্ত কর্মকাগু ও আচার আচরন নিয়ন্ত্রণ করে এই নকশার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে জীবনের ব্যাপ্তি ও প্রকাশ| জীবন রহস্যের রাসায়নিক পদার্থ জীবনের নকশা সাজাতে প্রয়োজন হয় ৪ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ এগুলো হলো-এ এডিনিন (Adenine)টি থায়মিক (Thymine).জি- গুয়ানিন (Guanine) ও সি সাইটোসিন(cytosine) জীবের আচার আচরন নিয়ন্ত্রণকারী সব জীনই ধারন করে জেনোম তাই কোন জিবের জীবন রহস্য উন্মেচনের অর্থ হলো তার জীবন নকশায় এই চাএটি অহ্মর কীভাবে সাজানো আছে তা জেনে যাওয়া | ওই জীবন নকশায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে কোনো জীব বা উদ্ভিদকে রোগ প্রতিরোধী করে তার জীবনকে নিরাপদ করা যায়| প্রয়োগ যেকোন শক্রকে মোকাবেলা করতে আগে জানা দরকার সেটি কোন ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করে | আর এটা জানতে পারলে তাকে মোকাবেলা করাও সহজ হয়| ফসলের শক্র ছএাক প্রতিরোধেও আগে জানতে হবে এটি কোন ধরনের উপায় ব্যবহার করে যাতে এর মোকাবেলা করা সহজ হয়| এর জীবন রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে সে বিষয়টি জানা হয়ে গেছে| এখন ছএাকের জীবন নকশাই বলে দেবে যে কোন ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে| এর পূর্বে অনেকটা অনুমান ভিওিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যবহার আগেই সাফল্যের মুখ দেখলো গবেষণাটি| বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস Kingdom: Fungi Phulum: Ascomycota Class: Dothideomycetes Subclass: Incertae sedis Order: Botryosphaeriales Family: Botryosphaeriaceae Genus: Macrophomina Species: Macrophomina phaseolina যে ছএাকটি নিয়ে গবেষনা করা হয় বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম-এর নেতৃ্ত্বে বিজ্ঞানীদের দলটি ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা নামক ছএাক নিয়ে গবেষনা করেন| এ ছএাকটি উদ্বিদের বিভিন্ন ধরনের হ্মতি করে থাকে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রোগ হলো ব্লাইট এই রোগে আক্রমনের ফলে উদ্বিদের আক্রান্ত অংশ শুষ্ক ও বিবর্ণ হয়ে যায়| রুট রট এই রোগে আক্রান্ত উদ্বিদের শিকড় পচে যায় বা ধীরে ধীরে হ্ময়প্রাপ্ত হয়| গবেষনা কার্যক্রম গবেষণা পরিচালিত হয় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনষ্টিটিউটে বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম-এর নেতৃ্ত্বে| ২০১০ সালে নভেম্বরে শুরু হয় গবেষণা| ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই গবেষণার প্রাথমিক মেয়াদ ধরা হয়েছিল ৩ বছর| তবে সময় শেষ হওয়ার আগেঈ সাফল্যের মুখ দেখলো গবেষণাটি| পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। এ সাফল্যের ফলে দেশের আবহাওয়া ও প্রয়োজন অনুযায়ী পাটের নতুন জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে। নতুন জাত উদ্ভাবন হলে পানিতে পাট জাগ দেওয়ার সময়ও কম লাগবে। পাট দিয়ে জৈব জ্বালানি এমনকি ওষুধ তৈরিও সম্ভব হবে। পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনকে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের বিরাট অর্জন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বিশ্বে উদ্ভিদের জীবন রহস্য উন্মোচন নিঃসন্দেহে নতুন কিছু নয়। তবে এখনো পর্যন্ত এটি প্রায় বিরল ঘটনা। এ পর্যন্ত মাত্র ১৭টি উদ্ভিদের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্জন বাংলাদেশের সোনালী আশ পাটের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে এদেশেরই কয়েকজন গবেষক ‘জেনম সিকোয়েন্সিং (পাটের জন্মরহস্য) আবিষ্কার করেছেন। এই উদ্ভাবনের ফলে (মালয়েশিয়া বাদে) বিশ্বের গুটিকয়েক উন্নত দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হলো যারা এই বিষয় গবেষণায় সাফল্য অর্জন করেছে। তৎকালীন ডেপুটি স্পীকার কর্নেল (অব) শওকত আলীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরম্নর পর প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে গবেষণা ও বিজ্ঞানের ৰেত্রে এই অভূতপূর্ব বিশাল সাফল্যের কথা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন। পাটের ক্ষেত্রে বঙ্গ সন্তানদের এই আবিষ্কার এক আনন্দের সংবাদ। তিনি বলেন, পাটের জন্মরহস্য উদ্ভাবনের ফলে পাটের আশকে আরও উন্নত করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বীজ উৎপাদন সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের এই অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরার সময় মূল গবেষক ড. মাকসুদুল আলম সংসদেই উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড. মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক দেশের জন্য এই অভাবনীয় সাফল্য এনেছেন। এ কাজে সহায়তা দিয়েছে ডাটা সফট সিস্টেম। পাট গবেষণায় 'জেনম সিকোয়েন্সিং' এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই আবিষ্কারের 'ইন্টোটেলকচুয়াল প্রপার্টি রাইট' যেন বাংলাদেশের নামেই নথিবদ্ধ থাকে এখনই তার উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান তিনি। ইআর
Sunday, December 21, 2014
পাটের জিনতত্তের আবিষ্কারক আর নেই:Time News
পাটের জিনতত্তের আবিষ্কারক আর নেই টাইম ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০৮:৪৩:২২ পাটের জিনতত্তের আবিষ্কারক বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের কুইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মারা গেছেন। মুত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। মাকসুদুল আলম ফরিদপুরে ১৯৫৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দলি
ল উদ্দিন আহমেদ ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) একজন কর্মকর্তা এবং তার মা ছিলেন লিরিয়ান আহমেদ একজন সমাজকর্মী ও শিক্ষিকা। তার নেতৃত্বেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফটের একদল উদ্যমী গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সফলভাবে উন্মোচিত হয় পাটের জিন নকশা । ২০১০ সালের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। শিক্ষা জীবন ১৯৭৯ সালে রাশিয়ার মস্কো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে এমএস ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে মাইক্রোবায়োলজিতে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। কর্ম জীবনের শুরু মাকসুদুল আলম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি এর আগে ২০১০ সালে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করে দেশে-বিদেশে সাড়া ফেলে দেন। বিশ্বের তিনটি ফসল, চারটি জীবাণুসহ ১৯টি জীবের জীবনরহস্য উন্মোচনের নেতৃত্বে ছিলেন মাকসুদুল আলম। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে পেঁপে, মালয়েশিয়ার হয়ে রবার ও বাংলাদেশের হয়ে পাট ও ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচন করেন। তিনি বাংলাদেশে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনের পরে পাটবিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্পের কাজে হাত দেন। মাকসুদুল আলম এর আগে মালয়েশিয়ার গবেষণা করতেন। ২০১০ সালে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর উদ্যোগে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে তিনি কর্মরত ছিলেন। জীবন রহস্য জীবন রহস্য বা জেনোম সিকোয়েন্স হচ্ছে জীবনের সেই নকশা যা কোনো জীবের সমস্ত কর্মকাগু ও আচার আচরন নিয়ন্ত্রণ করে এই নকশার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে জীবনের ব্যাপ্তি ও প্রকাশ| জীবন রহস্যের রাসায়নিক পদার্থ জীবনের নকশা সাজাতে প্রয়োজন হয় ৪ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ এগুলো হলো-এ এডিনিন (Adenine)টি থায়মিক (Thymine).জি- গুয়ানিন (Guanine) ও সি সাইটোসিন(cytosine) জীবের আচার আচরন নিয়ন্ত্রণকারী সব জীনই ধারন করে জেনোম তাই কোন জিবের জীবন রহস্য উন্মেচনের অর্থ হলো তার জীবন নকশায় এই চাএটি অহ্মর কীভাবে সাজানো আছে তা জেনে যাওয়া | ওই জীবন নকশায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে কোনো জীব বা উদ্ভিদকে রোগ প্রতিরোধী করে তার জীবনকে নিরাপদ করা যায়| প্রয়োগ যেকোন শক্রকে মোকাবেলা করতে আগে জানা দরকার সেটি কোন ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করে | আর এটা জানতে পারলে তাকে মোকাবেলা করাও সহজ হয়| ফসলের শক্র ছএাক প্রতিরোধেও আগে জানতে হবে এটি কোন ধরনের উপায় ব্যবহার করে যাতে এর মোকাবেলা করা সহজ হয়| এর জীবন রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে সে বিষয়টি জানা হয়ে গেছে| এখন ছএাকের জীবন নকশাই বলে দেবে যে কোন ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে| এর পূর্বে অনেকটা অনুমান ভিওিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যবহার আগেই সাফল্যের মুখ দেখলো গবেষণাটি| বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস Kingdom: Fungi Phulum: Ascomycota Class: Dothideomycetes Subclass: Incertae sedis Order: Botryosphaeriales Family: Botryosphaeriaceae Genus: Macrophomina Species: Macrophomina phaseolina যে ছএাকটি নিয়ে গবেষনা করা হয় বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম-এর নেতৃ্ত্বে বিজ্ঞানীদের দলটি ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা নামক ছএাক নিয়ে গবেষনা করেন| এ ছএাকটি উদ্বিদের বিভিন্ন ধরনের হ্মতি করে থাকে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রোগ হলো ব্লাইট এই রোগে আক্রমনের ফলে উদ্বিদের আক্রান্ত অংশ শুষ্ক ও বিবর্ণ হয়ে যায়| রুট রট এই রোগে আক্রান্ত উদ্বিদের শিকড় পচে যায় বা ধীরে ধীরে হ্ময়প্রাপ্ত হয়| গবেষনা কার্যক্রম গবেষণা পরিচালিত হয় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনষ্টিটিউটে বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম-এর নেতৃ্ত্বে| ২০১০ সালে নভেম্বরে শুরু হয় গবেষণা| ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই গবেষণার প্রাথমিক মেয়াদ ধরা হয়েছিল ৩ বছর| তবে সময় শেষ হওয়ার আগেঈ সাফল্যের মুখ দেখলো গবেষণাটি| পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। এ সাফল্যের ফলে দেশের আবহাওয়া ও প্রয়োজন অনুযায়ী পাটের নতুন জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে। নতুন জাত উদ্ভাবন হলে পানিতে পাট জাগ দেওয়ার সময়ও কম লাগবে। পাট দিয়ে জৈব জ্বালানি এমনকি ওষুধ তৈরিও সম্ভব হবে। পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনকে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের বিরাট অর্জন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বিশ্বে উদ্ভিদের জীবন রহস্য উন্মোচন নিঃসন্দেহে নতুন কিছু নয়। তবে এখনো পর্যন্ত এটি প্রায় বিরল ঘটনা। এ পর্যন্ত মাত্র ১৭টি উদ্ভিদের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্জন বাংলাদেশের সোনালী আশ পাটের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে এদেশেরই কয়েকজন গবেষক ‘জেনম সিকোয়েন্সিং (পাটের জন্মরহস্য) আবিষ্কার করেছেন। এই উদ্ভাবনের ফলে (মালয়েশিয়া বাদে) বিশ্বের গুটিকয়েক উন্নত দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হলো যারা এই বিষয় গবেষণায় সাফল্য অর্জন করেছে। তৎকালীন ডেপুটি স্পীকার কর্নেল (অব) শওকত আলীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরম্নর পর প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে গবেষণা ও বিজ্ঞানের ৰেত্রে এই অভূতপূর্ব বিশাল সাফল্যের কথা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন। পাটের ক্ষেত্রে বঙ্গ সন্তানদের এই আবিষ্কার এক আনন্দের সংবাদ। তিনি বলেন, পাটের জন্মরহস্য উদ্ভাবনের ফলে পাটের আশকে আরও উন্নত করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বীজ উৎপাদন সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের এই অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরার সময় মূল গবেষক ড. মাকসুদুল আলম সংসদেই উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড. মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক দেশের জন্য এই অভাবনীয় সাফল্য এনেছেন। এ কাজে সহায়তা দিয়েছে ডাটা সফট সিস্টেম। পাট গবেষণায় 'জেনম সিকোয়েন্সিং' এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই আবিষ্কারের 'ইন্টোটেলকচুয়াল প্রপার্টি রাইট' যেন বাংলাদেশের নামেই নথিবদ্ধ থাকে এখনই তার উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান তিনি। ইআর
ল উদ্দিন আহমেদ ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) একজন কর্মকর্তা এবং তার মা ছিলেন লিরিয়ান আহমেদ একজন সমাজকর্মী ও শিক্ষিকা। তার নেতৃত্বেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফটের একদল উদ্যমী গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সফলভাবে উন্মোচিত হয় পাটের জিন নকশা । ২০১০ সালের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পাটের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। শিক্ষা জীবন ১৯৭৯ সালে রাশিয়ার মস্কো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইক্রোবায়োলজিতে এমএস ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে মাইক্রোবায়োলজিতে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি ১৯৮৭ সালে জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট বায়োকেমিস্ট্রিতে পিএইডি ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। কর্ম জীবনের শুরু মাকসুদুল আলম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি এর আগে ২০১০ সালে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করে দেশে-বিদেশে সাড়া ফেলে দেন। বিশ্বের তিনটি ফসল, চারটি জীবাণুসহ ১৯টি জীবের জীবনরহস্য উন্মোচনের নেতৃত্বে ছিলেন মাকসুদুল আলম। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে পেঁপে, মালয়েশিয়ার হয়ে রবার ও বাংলাদেশের হয়ে পাট ও ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচন করেন। তিনি বাংলাদেশে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনের পরে পাটবিষয়ক মৌলিক ও ফলিত গবেষণা প্রকল্পের কাজে হাত দেন। মাকসুদুল আলম এর আগে মালয়েশিয়ার গবেষণা করতেন। ২০১০ সালে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর উদ্যোগে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে তিনি কর্মরত ছিলেন। জীবন রহস্য জীবন রহস্য বা জেনোম সিকোয়েন্স হচ্ছে জীবনের সেই নকশা যা কোনো জীবের সমস্ত কর্মকাগু ও আচার আচরন নিয়ন্ত্রণ করে এই নকশার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে জীবনের ব্যাপ্তি ও প্রকাশ| জীবন রহস্যের রাসায়নিক পদার্থ জীবনের নকশা সাজাতে প্রয়োজন হয় ৪ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ এগুলো হলো-এ এডিনিন (Adenine)টি থায়মিক (Thymine).জি- গুয়ানিন (Guanine) ও সি সাইটোসিন(cytosine) জীবের আচার আচরন নিয়ন্ত্রণকারী সব জীনই ধারন করে জেনোম তাই কোন জিবের জীবন রহস্য উন্মেচনের অর্থ হলো তার জীবন নকশায় এই চাএটি অহ্মর কীভাবে সাজানো আছে তা জেনে যাওয়া | ওই জীবন নকশায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে কোনো জীব বা উদ্ভিদকে রোগ প্রতিরোধী করে তার জীবনকে নিরাপদ করা যায়| প্রয়োগ যেকোন শক্রকে মোকাবেলা করতে আগে জানা দরকার সেটি কোন ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করে | আর এটা জানতে পারলে তাকে মোকাবেলা করাও সহজ হয়| ফসলের শক্র ছএাক প্রতিরোধেও আগে জানতে হবে এটি কোন ধরনের উপায় ব্যবহার করে যাতে এর মোকাবেলা করা সহজ হয়| এর জীবন রহস্য উন্মোচনের মাধ্যমে সে বিষয়টি জানা হয়ে গেছে| এখন ছএাকের জীবন নকশাই বলে দেবে যে কোন ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে| এর পূর্বে অনেকটা অনুমান ভিওিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা ব্যবহার আগেই সাফল্যের মুখ দেখলো গবেষণাটি| বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস Kingdom: Fungi Phulum: Ascomycota Class: Dothideomycetes Subclass: Incertae sedis Order: Botryosphaeriales Family: Botryosphaeriaceae Genus: Macrophomina Species: Macrophomina phaseolina যে ছএাকটি নিয়ে গবেষনা করা হয় বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম-এর নেতৃ্ত্বে বিজ্ঞানীদের দলটি ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা নামক ছএাক নিয়ে গবেষনা করেন| এ ছএাকটি উদ্বিদের বিভিন্ন ধরনের হ্মতি করে থাকে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রোগ হলো ব্লাইট এই রোগে আক্রমনের ফলে উদ্বিদের আক্রান্ত অংশ শুষ্ক ও বিবর্ণ হয়ে যায়| রুট রট এই রোগে আক্রান্ত উদ্বিদের শিকড় পচে যায় বা ধীরে ধীরে হ্ময়প্রাপ্ত হয়| গবেষনা কার্যক্রম গবেষণা পরিচালিত হয় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনষ্টিটিউটে বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম-এর নেতৃ্ত্বে| ২০১০ সালে নভেম্বরে শুরু হয় গবেষণা| ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই গবেষণার প্রাথমিক মেয়াদ ধরা হয়েছিল ৩ বছর| তবে সময় শেষ হওয়ার আগেঈ সাফল্যের মুখ দেখলো গবেষণাটি| পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা। এ সাফল্যের ফলে দেশের আবহাওয়া ও প্রয়োজন অনুযায়ী পাটের নতুন জাত উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে। নতুন জাত উদ্ভাবন হলে পানিতে পাট জাগ দেওয়ার সময়ও কম লাগবে। পাট দিয়ে জৈব জ্বালানি এমনকি ওষুধ তৈরিও সম্ভব হবে। পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনকে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের বিরাট অর্জন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বিশ্বে উদ্ভিদের জীবন রহস্য উন্মোচন নিঃসন্দেহে নতুন কিছু নয়। তবে এখনো পর্যন্ত এটি প্রায় বিরল ঘটনা। এ পর্যন্ত মাত্র ১৭টি উদ্ভিদের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্জন বাংলাদেশের সোনালী আশ পাটের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে এদেশেরই কয়েকজন গবেষক ‘জেনম সিকোয়েন্সিং (পাটের জন্মরহস্য) আবিষ্কার করেছেন। এই উদ্ভাবনের ফলে (মালয়েশিয়া বাদে) বিশ্বের গুটিকয়েক উন্নত দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হলো যারা এই বিষয় গবেষণায় সাফল্য অর্জন করেছে। তৎকালীন ডেপুটি স্পীকার কর্নেল (অব) শওকত আলীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরম্নর পর প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে গবেষণা ও বিজ্ঞানের ৰেত্রে এই অভূতপূর্ব বিশাল সাফল্যের কথা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন। পাটের ক্ষেত্রে বঙ্গ সন্তানদের এই আবিষ্কার এক আনন্দের সংবাদ। তিনি বলেন, পাটের জন্মরহস্য উদ্ভাবনের ফলে পাটের আশকে আরও উন্নত করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বীজ উৎপাদন সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের এই অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরার সময় মূল গবেষক ড. মাকসুদুল আলম সংসদেই উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড. মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক দেশের জন্য এই অভাবনীয় সাফল্য এনেছেন। এ কাজে সহায়তা দিয়েছে ডাটা সফট সিস্টেম। পাট গবেষণায় 'জেনম সিকোয়েন্সিং' এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই আবিষ্কারের 'ইন্টোটেলকচুয়াল প্রপার্টি রাইট' যেন বাংলাদেশের নামেই নথিবদ্ধ থাকে এখনই তার উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান তিনি। ইআর
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment