Saturday, December 20, 2014

জিয়া, খালেদা ও তারেক সম্পর্কে নতুন তথ্য গাফফার চৌধুরীর:RTNN

জিয়া, খালেদা ও তারেক সম্পর্কে নতুন তথ্য গাফফার চৌধুরীর নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা:  বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, ‘গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলার একজন তৃতীয় শ্রেণীর আসামী যুক্তরাজ্যের মত স্থানে বসে কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ মুজিব সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ  মন্তব্য করেন তা আমার বোধগম্য নয়। আমি শেখ হাসিনাকে বলব তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করুন।’ শ
ুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে মহান বিজয় দিবস ২০১৪ উপলক্ষে ‘গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সভার আয়োজন করে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ। তিনি বলেন, ‘তারেক ও খালেদা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধ ও শেখ মুজিব সম্পর্কে একের পর এক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে তাতে তাদেরকে জার্মানীর ‘হলোকাস্ট’ আইনের আওতায় এনে বিচার করা দরকার।’ আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার দুই মেয়ে ছাড়াও তৃতীয় মেয়ের খোঁজ নিতেন। আর সেই তৃতীয় মেয়েটি ছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু আজ তার কোনো কৃতজ্ঞাতাবোধ নেই। অবশ্য অশিক্ষিতদের দ্বারাই এসব সম্ভব। সেদিন শেখ মুজিবের কথায় জিয়াউর রহমান খালেদাকে গ্রহণ না করলে আজ তিনি কী অবস্থায় থাকতেন।’ তারেককে জীবনে দু’বার দেখেছেন জানিয়ে এ সাংবাদিক বলেন, ‘একবার তাদের বাসায় যখন তার বাবা কোমরের বেল্ট দিয়ে তাকে মারছিল। দ্বিতীয়বার সে লন্ডনে তার দলবল নিয়ে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে আসছিল। কিন্তু আমাকে দেখার সাথে সাথেই এমনভাবে খোড়ানো শুরু করল যে সে এর আগে কোনদিনই হাঁটতে পারতো না।’ তিনি বলেন, আজকাল তারেক রহমান লন্ডনে পাঁচ-দশ হাজার টাকার ভাড়া করা বদ্ধ রুমে জামায়াতের লোকদের সঙ্গে নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকেন। প্রধানমন্ত্রী আপনি এসবে কান না দিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। বর্তমান সময়ের বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রকৃত বুদ্ধিজীবীদেরকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হত্যা করা হয়েছে। আর এখন যারা আছে তারা ইতিহাস বিকৃতিকারী কুবুদ্ধিজীবী মাত্র।’ ড. কামাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে নাকি এখন গণতন্ত্র নেই। কিন্তু আমি বলি কামালের গণতন্ত্র এ দেশের প্রয়োজন নেই। আমি চাই শেখ হাসিনার গণতন্ত্র। বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার মাধ্যমে মূলত জামায়াতই ক্ষমতায় যাবে। আর তারা ক্ষমতায় গেলে তালেবান, আইএস এবং জঙ্গিরা ক্ষমতায় যাবে। ফলে দেশটা আফগানিস্তানের মত অস্থিতিশীল হয়ে যাবে।’ জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভদ্রলোকের যুদ্ধ করার ইচ্ছা ছিল না। কারণ তার চুল আচড়াতে লাগত এক ঘণ্টা। তার স্ত্রীর লাগত আরো বেশি সময়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় ডাবল এজেন্ট হওয়ায় তার ‘জেড ফোর্স’ কে ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। জেনারেল ওসমানীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার ফলে তার কোর্ট মার্শাল হয়েছিল। আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে দুর্নীতি ও অন্যায় থাকলেও তারাই প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের দল। ৫ জানুয়ারিতে দেশে নির্বাচন না হলে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে যেত। এ সময় তিনি বলেন, আগের দিন আমার বক্তব্য সঠিকভাবে গণমাধ্যমে আসেনি। আমি ‘কিস’ নয় ‘টিজ’ (মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা) বলেছিলাম। তিনি বলেন, সিরাজ-উদ-দৌলাকে হত্যার পর ইংরেজরা যেভাবে তাকে নিয়ে মিথ্যাচার ও প্রকৃত ঘটনা আড়াল করেছিল ঠিক তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ইতিহাস বিকৃতি থেকে শুরু করে নানান রকমের মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটাক্ষ এবং মিথ্যাচার করে তারা মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের শত্রু। এদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। বর্তমানে পত্রপত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে যেভাবে বিকৃত করা হচ্ছে তা প্রতিরোধ করতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ইতিহাসকে পাঠ্য করা হোক যাতে শুধু ২০১৪ নয় ২০৫০ সালেও ছাত্রছাত্রীরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি এএফএম মেজবাহউদ্দিন বলেন, মির্জা ফখরুল হলেন ‘গর্জন সিংহ’। মির্জা ফখরুল একটি দলের সরাসরি নয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জানিয়ে তিনি আরো বলেন, তিনি কেমন করে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন বাজে মন্তব্য করতে পারেন তা আমার বোধগম্য নয়। আমি তার গ্রেপ্তার দাবি করছি। এএফএম মেজবাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিসার্চ ডেভেলপমেন্টের মহাপরিচালক মোনায়েম সরকার, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মোবারক আলী প্রমুখ। মন্তব্য      


No comments:

Post a Comment