ায় নিহত স্কুল শিশুদেরকে যখন বুধবার সারাদিন ধরেই দাফন করা হয়েছে, তখনই প্রকাশিত হয়েছে স্কুলের একের পর এক ছবি যেখানে হত্যাকাণ্ডের বর্বরতা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। বিবিসির মিশাল হোসেইন স্কুলে গিয়ে দেখেছেন মৃত্যুর স্তব্ধতা গোটা স্কুল জুড়ে। তিনি জানাচ্ছেন আজ যখন গোটা স্কুল শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখর হয়ে থাকার কথা ছিল, তখন সেই স্কুলের মেঝেতে ছড়িয়ে আছে রক্তের স্রোত, শত শত বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে আছে ক্লাসরুমের দেওয়াল। শিশুরা যেসব চেয়ার আর টেবিলে বসতো সারা স্কুলেই সেসব উল্টোপাল্টা ছড়িয়ে ছিটিয়ে। এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে তাদের নোটবুক, বই খাতা, ইউনিফর্ম আর স্কুলের ব্যাগ। সেনাবাহিনী সারারাত ধরে স্কুল প্রাঙ্গণ পরিস্কার করেছে- সেখান থেকে সরিয়েছে বিস্ফোরক ও হামলার ধ্বংসস্তুপ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তালেবানের সাতজন বন্দুকধারী এই স্কুলেই একটার পর ক্লাসে গিয়ে নির্বিচারে গুলি করে ১৩২ জন শিশুকে হত্যা করেছে। আহত ছাত্ররা বর্ণনা করছেন কীভাবে তাদের সামনে সহপাঠীদের গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে, আগুন দেওয়া হয়েছে শিক্ষকের শরীরে। মিশাল হোসেইন দেখেছেন সিঁড়ির ওপর পড়ে রয়েছে শিশুদের জুতা । বন্দুকধারীরা প্রথমে যেসব জায়গায় গুলি চালাতে শুরু করে তার একটি ছিল স্কুলের মিলনায়তন, যেখানে শিশুরা পরীক্ষা দিচ্ছিল। মিলনায়তনের সিঁড়িতেও রক্তের দাগ। পেশোয়ারের ‘আর্মি পাবলিক স্কুলের’ আরো ১২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এই স্কুলে সেনাবাহিনী এবং বেসামরিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছেন। সংবাদদাতারা বলছেন, পাকিস্তানের বহু মানুষ বিশ্বাস করে যে কঠোর শাস্তি না থাকার কারণেই সন্ত্রাসীরা বিচার এড়াতে পারছে। আর এই চাপের কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি মোকাবেলার উপায় নিয়েও মি. শরিফ দেশটির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে পাকিস্তান। ''শুধু পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকেই নয়, এই গোটা অঞ্চল থেকেই আমরা সন্ত্রাস নির্মূল করতে চাই। আমাদের যতো সম্পদ আছে, সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে আমরা এটা করবো।'' শুধু পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকেই নয়, এই গোটা অঞ্চল থেকেই আমরা সন্ত্রাস নির্মূল করতে চাই।নাওয়াজ শরিফ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও নর্থ ওয়াজিরিস্তান ও খাইবার অঞ্চলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। স্কুলের ওপর হামলার সাথে এই অভিযানের সম্পর্ক আছে কীনা সেটা স্পষ্ট নয়, গত জুন মাস থেকেই সেখানে এধরনের অভিযান চলছে। তালেবান বলছে, এর প্রতিশোধ হিসেবেই তারা সেনাবাহিনীর পরিচালিত ওই স্কুলে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের ধারণা পাকিস্তান তালেবানের নেতা মোল্লা ফজলুল্লাহ আফগানিস্তানে লুকিয়ে আছে এবং পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে এই হামলা সম্বন্বয় করা হয়েছে আফগানিস্তান থেকে। তবে পাকিস্তান তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই হামলার পেছনে মূল হোতা পেশাওয়ারে গোষ্ঠিটির সামরিক প্রধান – যিনি তাদের বক্তব্য অনুযায়ী হামলার সময় আগাগোড়া বন্দুকধারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। পাকিস্তান তালেবানের একজন মুখপাত্র বলেছেন তারা একেবারে শিশুদের লক্ষ্যবস্তু না করে একটু বড় শিক্ষার্থীদের হত্যা করেছে।- বিবিসি নতুন বার্তা/এসএফ
Thursday, December 18, 2014
পেশোয়ারের হামলা বর্বরতার ভয়াবহ নজির :Natun Barta
পেষোয়ার: পাকিস্তানে পেশোয়ারের একটি স্কুলে তেহরিক-ই-তালেবানের সশস্ত্র হামলায় নিহতদের গণভাবে শেষকৃত্য হয়েছে- হতাহতদের স্মৃতিতে হয়েছে স্মরণ অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার পেশোয়ারের স্কুলে তালেবান বন্দুকধারীদের আকস্মিক হামলায় ১৩২ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং নয়জন শিক্ষক কর্মচারী প্রাণ হারায়। প্রধানমন্ত্রী নাওয়াজ শরীফ তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন এবং দেশজুড়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তালেবানের হামল
ায় নিহত স্কুল শিশুদেরকে যখন বুধবার সারাদিন ধরেই দাফন করা হয়েছে, তখনই প্রকাশিত হয়েছে স্কুলের একের পর এক ছবি যেখানে হত্যাকাণ্ডের বর্বরতা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। বিবিসির মিশাল হোসেইন স্কুলে গিয়ে দেখেছেন মৃত্যুর স্তব্ধতা গোটা স্কুল জুড়ে। তিনি জানাচ্ছেন আজ যখন গোটা স্কুল শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখর হয়ে থাকার কথা ছিল, তখন সেই স্কুলের মেঝেতে ছড়িয়ে আছে রক্তের স্রোত, শত শত বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে আছে ক্লাসরুমের দেওয়াল। শিশুরা যেসব চেয়ার আর টেবিলে বসতো সারা স্কুলেই সেসব উল্টোপাল্টা ছড়িয়ে ছিটিয়ে। এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে তাদের নোটবুক, বই খাতা, ইউনিফর্ম আর স্কুলের ব্যাগ। সেনাবাহিনী সারারাত ধরে স্কুল প্রাঙ্গণ পরিস্কার করেছে- সেখান থেকে সরিয়েছে বিস্ফোরক ও হামলার ধ্বংসস্তুপ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তালেবানের সাতজন বন্দুকধারী এই স্কুলেই একটার পর ক্লাসে গিয়ে নির্বিচারে গুলি করে ১৩২ জন শিশুকে হত্যা করেছে। আহত ছাত্ররা বর্ণনা করছেন কীভাবে তাদের সামনে সহপাঠীদের গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে, আগুন দেওয়া হয়েছে শিক্ষকের শরীরে। মিশাল হোসেইন দেখেছেন সিঁড়ির ওপর পড়ে রয়েছে শিশুদের জুতা । বন্দুকধারীরা প্রথমে যেসব জায়গায় গুলি চালাতে শুরু করে তার একটি ছিল স্কুলের মিলনায়তন, যেখানে শিশুরা পরীক্ষা দিচ্ছিল। মিলনায়তনের সিঁড়িতেও রক্তের দাগ। পেশোয়ারের ‘আর্মি পাবলিক স্কুলের’ আরো ১২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এই স্কুলে সেনাবাহিনী এবং বেসামরিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছেন। সংবাদদাতারা বলছেন, পাকিস্তানের বহু মানুষ বিশ্বাস করে যে কঠোর শাস্তি না থাকার কারণেই সন্ত্রাসীরা বিচার এড়াতে পারছে। আর এই চাপের কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি মোকাবেলার উপায় নিয়েও মি. শরিফ দেশটির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে পাকিস্তান। ''শুধু পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকেই নয়, এই গোটা অঞ্চল থেকেই আমরা সন্ত্রাস নির্মূল করতে চাই। আমাদের যতো সম্পদ আছে, সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে আমরা এটা করবো।'' শুধু পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকেই নয়, এই গোটা অঞ্চল থেকেই আমরা সন্ত্রাস নির্মূল করতে চাই।নাওয়াজ শরিফ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও নর্থ ওয়াজিরিস্তান ও খাইবার অঞ্চলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। স্কুলের ওপর হামলার সাথে এই অভিযানের সম্পর্ক আছে কীনা সেটা স্পষ্ট নয়, গত জুন মাস থেকেই সেখানে এধরনের অভিযান চলছে। তালেবান বলছে, এর প্রতিশোধ হিসেবেই তারা সেনাবাহিনীর পরিচালিত ওই স্কুলে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের ধারণা পাকিস্তান তালেবানের নেতা মোল্লা ফজলুল্লাহ আফগানিস্তানে লুকিয়ে আছে এবং পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে এই হামলা সম্বন্বয় করা হয়েছে আফগানিস্তান থেকে। তবে পাকিস্তান তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই হামলার পেছনে মূল হোতা পেশাওয়ারে গোষ্ঠিটির সামরিক প্রধান – যিনি তাদের বক্তব্য অনুযায়ী হামলার সময় আগাগোড়া বন্দুকধারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। পাকিস্তান তালেবানের একজন মুখপাত্র বলেছেন তারা একেবারে শিশুদের লক্ষ্যবস্তু না করে একটু বড় শিক্ষার্থীদের হত্যা করেছে।- বিবিসি নতুন বার্তা/এসএফ
ায় নিহত স্কুল শিশুদেরকে যখন বুধবার সারাদিন ধরেই দাফন করা হয়েছে, তখনই প্রকাশিত হয়েছে স্কুলের একের পর এক ছবি যেখানে হত্যাকাণ্ডের বর্বরতা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। বিবিসির মিশাল হোসেইন স্কুলে গিয়ে দেখেছেন মৃত্যুর স্তব্ধতা গোটা স্কুল জুড়ে। তিনি জানাচ্ছেন আজ যখন গোটা স্কুল শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখর হয়ে থাকার কথা ছিল, তখন সেই স্কুলের মেঝেতে ছড়িয়ে আছে রক্তের স্রোত, শত শত বুলেটে ঝাঁঝরা হয়ে আছে ক্লাসরুমের দেওয়াল। শিশুরা যেসব চেয়ার আর টেবিলে বসতো সারা স্কুলেই সেসব উল্টোপাল্টা ছড়িয়ে ছিটিয়ে। এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে তাদের নোটবুক, বই খাতা, ইউনিফর্ম আর স্কুলের ব্যাগ। সেনাবাহিনী সারারাত ধরে স্কুল প্রাঙ্গণ পরিস্কার করেছে- সেখান থেকে সরিয়েছে বিস্ফোরক ও হামলার ধ্বংসস্তুপ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তালেবানের সাতজন বন্দুকধারী এই স্কুলেই একটার পর ক্লাসে গিয়ে নির্বিচারে গুলি করে ১৩২ জন শিশুকে হত্যা করেছে। আহত ছাত্ররা বর্ণনা করছেন কীভাবে তাদের সামনে সহপাঠীদের গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে, আগুন দেওয়া হয়েছে শিক্ষকের শরীরে। মিশাল হোসেইন দেখেছেন সিঁড়ির ওপর পড়ে রয়েছে শিশুদের জুতা । বন্দুকধারীরা প্রথমে যেসব জায়গায় গুলি চালাতে শুরু করে তার একটি ছিল স্কুলের মিলনায়তন, যেখানে শিশুরা পরীক্ষা দিচ্ছিল। মিলনায়তনের সিঁড়িতেও রক্তের দাগ। পেশোয়ারের ‘আর্মি পাবলিক স্কুলের’ আরো ১২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এই স্কুলে সেনাবাহিনী এবং বেসামরিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছেন। সংবাদদাতারা বলছেন, পাকিস্তানের বহু মানুষ বিশ্বাস করে যে কঠোর শাস্তি না থাকার কারণেই সন্ত্রাসীরা বিচার এড়াতে পারছে। আর এই চাপের কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি মোকাবেলার উপায় নিয়েও মি. শরিফ দেশটির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্ভাব্য সবকিছুই করবে পাকিস্তান। ''শুধু পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকেই নয়, এই গোটা অঞ্চল থেকেই আমরা সন্ত্রাস নির্মূল করতে চাই। আমাদের যতো সম্পদ আছে, সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে আমরা এটা করবো।'' শুধু পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকেই নয়, এই গোটা অঞ্চল থেকেই আমরা সন্ত্রাস নির্মূল করতে চাই।নাওয়াজ শরিফ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীও নর্থ ওয়াজিরিস্তান ও খাইবার অঞ্চলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। স্কুলের ওপর হামলার সাথে এই অভিযানের সম্পর্ক আছে কীনা সেটা স্পষ্ট নয়, গত জুন মাস থেকেই সেখানে এধরনের অভিযান চলছে। তালেবান বলছে, এর প্রতিশোধ হিসেবেই তারা সেনাবাহিনীর পরিচালিত ওই স্কুলে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের ধারণা পাকিস্তান তালেবানের নেতা মোল্লা ফজলুল্লাহ আফগানিস্তানে লুকিয়ে আছে এবং পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে এই হামলা সম্বন্বয় করা হয়েছে আফগানিস্তান থেকে। তবে পাকিস্তান তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই হামলার পেছনে মূল হোতা পেশাওয়ারে গোষ্ঠিটির সামরিক প্রধান – যিনি তাদের বক্তব্য অনুযায়ী হামলার সময় আগাগোড়া বন্দুকধারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। পাকিস্তান তালেবানের একজন মুখপাত্র বলেছেন তারা একেবারে শিশুদের লক্ষ্যবস্তু না করে একটু বড় শিক্ষার্থীদের হত্যা করেছে।- বিবিসি নতুন বার্তা/এসএফ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment