Wednesday, November 26, 2014

বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্ষীণ আলো দেখছেন:Time News

বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ক্ষীণ আলো দেখছেন মো: কামরুজ্জামান, কাঠমন্ডু থেকে টাইম নিউজ বিডি, ২৫ নভেম্বর, ২০১৪ ২১:০৭:৩৩ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনে বহুল আলোচিত বিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তির ব্যাপারে এখনো আশাবাদী বলে জানালেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। আজ (মঙ্গলবার)সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুর হোটেল সল্টেতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্
র মন্ত্রী এ আশার বাণী শোনালেন। তবে, সার্কভূক্ত আট দেশের সরকার প্রধানদের উপস্থিতিতে দুই দিনের মূল অধিবেশনের আগে সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে তৃতীয় ধাপের আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এখনো এই চুক্তির বিষয়ে সব দেশ একমত হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী। তাহলে কিভাবে এই চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী হলেন-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনেক বড় বড় সম্মেলনে দেখা যায় একেবারে শেষ মূহুর্তে বড় ধরনের অর্জন হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকে দুই দিনের মূল অধিবেশনকে সামনে রেখে বিদ্যুৎ সহযোগিতা চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী বলে ব্যাখ্যা দিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী। তবে, দু’একটি দেশের বিরোধীতার কারণেই বিদ্যুৎ সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তিটিও শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যেতে বসেছে-এমন তথ্যের কথা জানিয়ে সেই দু’একটি দেশের নাম জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখনো আলোচনার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়নি। তাই এখনই কারো প্রতি অঙ্গুলী নির্দেশ করা ঠিক নয়।   এছাড়া সার্কভূক্ত আট দেশের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য সার্ক আঞ্চলিক রেল সহযোগিতা চুক্তি এবং সার্ক পণ্য ও যাত্রীবাহী মোটরযান চলাচল বিষয়ক দুই আলোচিত চুক্তি এবারের সম্মেলনে আর হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে সার্ককে আরও গতিশীল ও কার্যকর সংস্থায় পরিণত করতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। সভায় আঞ্চলিক প্রকল্পসমূহের সময়ানুগ বাস্তবায়নের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে প্রথম দিন অর্থাৎ ২২ নভেম্বর সার্কভূক্ত দেশের যুগ্ম পররাষ্ট্র সচিবদের উপস্থিতি অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামিং কমিটির সুপারিশগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের কাউন্সিল অব মিনিস্টারস সভায় অনুমোদিত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য, অর্থ, যোগাযোগ, জ্বালানী, দারিদ্র বিমোচন, কৃষি, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে সময়ানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তারুণ্যকে এই অঞ্চলের একটি বড় সম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করে একে প্রকৃত অর্থে মানব সম্পদে রুপান্তর করার জন্য সভায় আহবান জানানো হয়েছে। এছাড়া সভায় একটি গবেষণাপত্র, দুটি এ্যাকশান ফ্রেমওয়ার্ক এবং একটি সংকলন উদ্বোধন করা হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সভায় সর্বসম্মতভাবে চারটি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে: দরিদ্র বিমোচন ও সার্ক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখা, পয়:নিস্কাশণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করতে দুটি পৃথক সার্ক আঞ্চলিক কর্ম কাঠামো প্রণয়ন এবং দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ‘দক্ষিণ এশীয় উন্নয়ন ইউনিয়ন (South Asian Economic Union-SAEU) গঠণে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ। এছাড়া সাফটা (তৃতীয় পর্যায়)-এর অন্তর্ভূক্ত সেনসেটিভ লিস্ট হ্রাসকরণের লক্ষ্যে সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে রিকোয়েস্ট লিস্ট ও অফার লিস্ট সার্ক সচিবালয়ে প্রেরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে মন্ত্রীদের সভায়। সার্ক উন্নয়ন তহবীলের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো window চালু এবং এই তহবীলের সচিবালয়কে জ্বালানী এবং যোগাযোগ বিষয়ক উদ্ভাবনীমূলক আঞ্চলিক প্রকল্প প্রণয়েনের ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর পর থেকে প্রতি দুই বছর পর পর একটি নির্ধারিত সময়ে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সদস্য দেশের মন্ত্রীরা সভায় ঐক্যমত্য পোষণ করেন। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন পরিস্থিতি তুলে ধরতে এখন থেকে নিয়মিত দ্বিবার্ষিক উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে সভায়। চীন-জাপানসহ বর্তমানে সার্কের যেই নয় পর্যবেক্ষক দেশ রয়েছে তার সাথে সার্কের প্রকল্পভিত্তিক সম্পর্ক জোরদার করা হবে এবং আর কোন পর্যবেক্ষক বাড়ানো হবে না বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়। অত্র অঞ্চলের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা সুসংহত করতে সার্ক খাদ্য ভান্ডার (SAARC Food Bank)-কে আরও কার্যকর করতে সভায় সুপারিশ করা হয়েছে। ঢাকায় স্থাপিত সার্ক কৃষি কেন্দ্রের কাজের পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া দিল্লীতে অবস্থিত সার্ক বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও কার্যকর করে এটিকে ‘সেন্টার এক্সেলেন্স’-হিসেবে উন্নীত করার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয় সভায়। কাঠমন্ডুর হোটেল সল্টে থেকে

No comments:

Post a Comment