কাঠমন্ডুতে আফগান ও শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট, বাকিরা বিকেল নাগাদ মো: কামরুজ্জামান, কাঠমন্ডু থেকে টাইম নিউজ বিডি, ২৫ নভেম্বর, ২০১৪ ১১:৫১:৩৮ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি আহমাদজাই ও শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে পৌঁছেছেন নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুতে। সার্কভূক্ত ৮ দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে আয়োজক দেশ নেপালে সবা
র আগে পৌঁছেছেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে। তিনি স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১০টায় কাঠমন্ডুর ত্রিভূন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। যদিও তার আসার নির্ধারিত সময় ছিল সকাল সাড়ে নটা। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের পোনে একঘন্টা পরে রাজাপাকসে কাঠমন্ডুতে পৌঁছান। রাজাপাকসে আসার প্রায় সোয়া একঘন্টা পরে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক আলোচিত এবং পরবর্তীতে সার্কের স্থায়ী সদস্যপদলাভকারী দেশ আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আফরাফ ঘানি এসে পৌঁছান হিমালয় কন্যা নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুতে। সকাল ১১টার দিকে কাম এয়ারলাইনস বোয়িং ৭৬৭ বিমানে চড়ে ঘানি আসেন নেপালে। বিমানবন্দরে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাম দেভ গৌতম। আজই কোন এক সময় শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টকে নেপালের সেনাবাহিনীর এক বিমানযোগে লুম্বিনীতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে রাজাপাকসে মায়াদেবীর মন্দীরে প্রার্থনা করবেন। সেখানে আরও কিছু কর্মসূচিতে অংশ নিবেন তিনি। নেপালর পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এবং প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের আগমন উপলক্ষ্যে লুম্বিনিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সার্কভূক্ত অপর পাঁচ দেশের সরকার প্রধানরা আজ (মঙ্গলবার) বিকেল নাগাদ কাঠমন্ডুতে পৌছবেন। এ উপলক্ষ্যে গোটা কাঠমন্ডুকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল তিনটায় কাঠমন্ডুর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তিনি কাঠমন্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছবেন। উল্লেখ্য, শনিবার (২২ নভেম্বর) নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুর হোটেল সল্টিতে সার্কভূক্ত আট দেশের যুগ্ম পররাষ্ট্র সচিবদের অংশগ্রহণে প্রোগ্রামিং কমিটির বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ১৮ তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। একই ভেন্যুতে পরদিন (রোববার) সার্ক সদস্যভূক্ত দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের উপস্থিতিতে দুই দিনের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দফার আনুষ্ঠানিকতা। আগামী ২৬-২৭ নভেম্বর সার্কভূক্ত দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত পর্বের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনেই বিদ্যুৎ সহযোগিতাসহ হতে পারে সম্ভাব্য চুক্তিগুলো। এবারের সার্কের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘Deeper Integration for Peace and Prosperity’ অর্থাৎ শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য গভীর যৌথ-প্রয়াস। তবে এই প্রতিপাদ্যের আলোকে কতটা যৌথ অংশীদারমূলক পরিকল্পনা বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে সেটাই দেখার বিষয়। এদিকে, আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার কিছু পর সার্কভূক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে সম্মেলনের তৃতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম সার্ক কাউন্সিল অব মিনিস্টারস। কাঠমন্ডুর মিডিয়া সেন্টার থেকে
No comments:
Post a Comment