Sunday, June 14, 2015

ধর্ষিতাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করেছে পুলিশ:টাইমনিউজ

ধর্ষিতাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করেছে পুলিশ স্টাফ করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ১৪ জুন, ২০১৫ ০৯:০২:৪৭ রাজধানীর রামপুরায় ধর্ষিত এক গৃহবধূকে দিনভর থানায় বসিয়ে রেখে মামলা না নিয়ে রাতে ৫ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করেছেন থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা। আর এ বিষয়ে কোন উচ্চবাচ্য না করার জন্যও ওই নারীকে হুমকি দেন। গণধর্ষনের শিকার ওই নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গেলেও পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে নিরাপত্তা
হীনতায় ভুগে গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে ফিরে যায়। শুক্রবার সকালে পশ্চিম রামপুরার উলন রোডে খালার বাসায় বেড়াতে এসে তিনি গণধর্ষণের শিকার হন। তার খালা গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। গৃহবধূর স্বামীর নাম মোমিন। তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ থেকে তার স্ত্রীকে নিয়ে শুক্রবার সকালে পশ্চিম রামপুরা এলাকায় গৃহবধূর এক খালার বাসায় বেড়াতে আসেন। ওই খালা একজন গৃহপরিচারিকা। তাদের দুইজনকে বাসায় রেখে খালা কাজে চলে যান। এসময় কয়েকজন সন্ত্রাসী ওই বাসায় প্রবেশ করে তাদের সম্পর্কের বিষয় জানতে চায়। তিনি সন্ত্রাসীদের কাছে নিজেদের স্বামী স্ত্রীর কথা বললেও ওই সন্ত্রাসীরা তাদের চ্যালেঞ্জ করে। সন্ত্রাসীরা ঘরের ভেতরে লুটতরাজ চালায়। তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নেয়। গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এরপর পাশের ঘরের লোকজন তাদের উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। তাদের দুই জনকে থানায় নিয়ে যায়। গৃহবধূ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তথ্য দিলেও পুলিশ ধর্ষকদের গ্রেফতারে তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। গৃহবধূর স্বামী অভিযোগ করেন, সারাদিন তাদেরকে থানায় আটক রেখে ধর্ষকদের সঙ্গে দেনদরবারে ব্যবস্থা থাকেন ওই অভিযানে অংশ নেয়া রামপুরা থানার এসআই মামুন ও এএসআই মাহমুদসহ পুলিশের একটি দল। তার স্ত্রীকে মেডিকেলে নেয়ারও ব্যবস্থা করেনি। পুলিশকে অনুরোধ করেও তারা থানা থেকে বের হতে পারেনি। এরপর রাতে তাদের ছেড়ে দিলে হালিমা নামের ওই খালার বাসায় ফেরেন তারা। এরপর রাতে পাশের বাসার লোকজন তাদের মামলা করতে পরামর্শ দেন। পরে সকালে আবারও থানায় যান স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু পুলিশ তাদের কোন অভিযোগ গ্রহণ করেনি। মোমিন জানান, ওই বাসা থেকে পুলিশ বিভিন্ন আলামত (কাপড়) সংগ্রহ করে। সেগুলো ফেলে দিয়েছে বলে পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছে। আবার এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলে দেন ওই কর্মকর্তা। পরে থানা থেকে ফিরে তারা দুজনাই যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে। সেখানে ওই গৃহবধূকে ওসিসিতে ভর্তি রাখার জন্য বলা হয়। কিন্তু স্বামীর থাকার জায়গা না থাকায় তারা রাজী হননি। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী সুজন (২২), মইন (১৯), কালা আরিফ (২০) ও রাহাত (১৮) এই গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত। এ ব্যাপারে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, গৃহবধূকে কোন টাকা দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় একজন ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ওই নারীকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসএইচ

No comments:

Post a Comment