যুক্তরাজ্যে ভোট: যা না জানলেই নয় ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ০৭ মে, ২০১৫ ১২:৩১:৩৩ যুক্তরাজ্যে আজ সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে দেশটিতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। যদিও যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ভোট গ্রহণের হার খুব বেশি হয় না, তারপরেও পাঁচ বছর পরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশটির এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ নেই। যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনের ইতিহাস
ে এটি অন্যতম সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাজ্যের এবারের সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কিছু তথ্য সংখ্যার দিক থেকে গুরুত্ব দিয়ে পাঠকদের জন্য উল্লেখ করা হলো। ভোট গ্রহণ শুরু : বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটকেন্দ্র : ৫০ হাজার নিবন্ধীত ভোটার : ৫ কোটি পার্লামেন্টে আসন : ৬৫০টি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিষদে আসন: জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে ২৭৯টি স্থানীয় পরিষদেও একই সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৯ হাজার আসনে স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন ভোটারা। মেয়র নির্বাচন: জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে ছয়টি পৌরসভায় মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেডফোর্ড, কোপল্যান্ড, লেইসেস্টার, ম্যান্সফিল্ড, মিডেলসব্রফ এবং টরবেতে মেয়র নির্বাচন হচ্ছে। ভোট সংখ্যা: লন্ডন বাদে যুক্তরাজ্যের প্রায় সব নাগরিককে দুটি করে ভোট দিতে হবে। একটি জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের এবং অন্যটি স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রার্থীদের। ডাকযোগে ভোটদান: ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আগেই ডাকযোগে (পোস্টাল ভোটিং) ভোট দেওয়া শুরু হয়েছে। ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে গৃহীত ৬৫ শতাংশ ভোটের ১৫ শতাংশ এসেছিল পোস্টাল ভোটিংয়ের মাধ্যমে। অনলাইন ভোটিং: এবারই যুক্তরাজ্যে প্রথম বারের মতো অনলাইন ভোটিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র কোথায়: স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার, প্যারিস হল এবং কিছু স্কুল বাসও ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোটের ফলাফল: বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের মধ্যেই বেশ কিছু আসনের ফল ঘোষণা হয়ে যাবে। তবে পূর্ণাঙ্গ ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত। যুক্তরাজ্য কী: ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ড এই চার রাজ্য নিয়ে গঠিত যুক্তরাজ্য। চার রাজ্যেই জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জয় প্রত্যাশী: এবারের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দল টোরি পার্টি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং লেবার পার্টি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন এড মিলিব্যান্ড। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, এই দুই দল গ্রহীত ভোটের ৩৫ শতাংশ করে পেতে পারে। যদি তাই হয়, তবে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পারে না। তবে এবার স্কটল্যান্ডের জাতীয়তাবাদি দল এসএনপি তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। সব মিলিয়ে হয়তো ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকে এগোচ্ছে যুক্তরাজ্য। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত। ইআর
No comments:
Post a Comment