ঢাকা: ভোটার তালিকা ও ভোট পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি ওঠায় আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত করেছে হাই কোর্ট। দুটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ এই রিট আবেদন নিয়ে হাই কোর্টে আসেন। তার আবেদনে একটি রুলও জারি করেছে আদালত। আগামী ২৭ মে বার কাউন্সিল নির
্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল। ভোটের জন্য প্রথমে ২০ মে দিন রাখা হলেও ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। গত ২৫ মার্চ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ৯ এপ্রিল ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়, যাতে কাউন্সিলের ভোটার সংখ্যা দেখানো হয় ৪৮ হাজার ৪৬৫ জন। তবে এ তালিকায় ‘অস্পষ্টতা ও একই নাম একাধিকবার’ থাকার কথা জানিয়ে নির্বাচিত পাঁচ সদস্য এবং ১০১ জন আইনজীবী গত ২৯ এপ্রিল আলাদাভাবে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে চিঠি দেয়। এতে অভিযোগ আসে, আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলেও কাউন্সিল নিজস্ব নথিপত্রের সাহায্য না নিয়ে আইনজীবী সমিতিগুলোর পাঠানো সদস্য তালিকা ধরেই ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। রিট আবেদনে ইউনুস আলীর অভিযোগ ছিল, নির্বাচনের ৩০ দিন আগে পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশের নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। বার কাউন্সিল নির্বাচনে মোট ১৪ জন সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে সারা দেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে সাতজন এবং দেশের সাতটি অঞ্চলের স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে আরও সাতজন নির্বাচিত হয়ে আসেন। এই ১৪ জন সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। আর অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসাবে পদাধিকার বলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। নতুন বার্তা/এস্এম
No comments:
Post a Comment