আরো ১৪০০ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১১ মে, ২০১৫ ১১:৫০:০২ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার উপকূল থেকে সোমবার আরো ১৪০০ বাংলাদেশি ও মিয়ারমানের রোহিঙ্গা মুসলিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। চারটি নৌকায় এসব অভিবাসী ছিলেন। এর আগের দিন রোববার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূল থেকে ৬০০ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। এসব অভিবাসীকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ত
বে দেশটির দক্ষিণে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের অনেক গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর থাই সরকার অভিযান শুরু করলে এসব অভিবাসী সেখানে ভীড়তে পারেনি বলে মনে করা হচ্ছে। মিয়ানমারের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের দ্বারা নিপীড়িত হয়ে অনেক রোহিঙ্গা মুসলিম দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ড সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন। এজন্য বিপজ্জনক সমুদ্র পাড়ি দেয়ার ঝুঁকি নেন তারা। কিন্তু প্রায় তারা মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে থাকেন। মালয়েশিয়ার লঙ্কাউই পর্যটন দ্বীপের পুলিশ জানায়, সোমাবার প্রত্যুষে অগভীর সমুদ্রে প্রায় ১০০০ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাকে রেখে পালিয়ে যায় মানব পাচারকারীরা। লঙ্কাউইর পুলিশের উপপ্রধান জামিল আহমেদ জানান, তিনটি নৌকায় প্রায় ১,০১৮ জন অভিবাসী ছিলেন।দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে আরো অভিবাসীর ভেড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এদিকে সোমবারই সকালের দিকে আচেহ উপকূলের নিকট থেকে নৌকায় ভাসমান অবস্থা ৪০০ নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। তারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিক বলে জানিয়েছেন আচেহর প্রদেশিক উদ্ধারকারীদের প্রধান বুদিয়াওয়ান। কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে যে আরো অভিবাসী আচেহতে ভীড়তে পারে। এজন্য পাহারা জোরদারে উপকূলরক্ষীদের পাশাপাশি জেলেদের নিয়োগ করা হয়েছে।উপকূলে পৌঁছামাত্র তাদের উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন বুদিয়াওয়ান। মিয়ানমারে প্রায় ৮,০০,০০০ রোহিঙ্গা মুসলিমের বাস। তারা কয়েক শতাব্দী ধরে সেখানে বসবাস করলেও মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করেছে।তাদের ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালানো হয়। জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।সূত্র: এএফপি এআর
No comments:
Post a Comment