সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার চাই নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: পূর্ণ ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সংস্কার চেয়েছেন দেশের কিছু বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে গঠিত ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ’। সংগঠনের পক্ষে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশান এটিএম শামছুল হুদা এ দাবি জানিয়েছেন। রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘পূর্ণ গণতন্ত্রের পথে অভিযাত
্রা: কিছু প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, দেশের গণতন্ত্র স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধানের বেশ কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনা দরকার। একই সঙ্গে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক সংস্কার দরকার। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন, সম্পাদক ড. বদিউল আমল মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ। বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে শামছুল হুদা বলেন, একটি রাজনৈতিক দল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থায় শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুন:প্রতিষ্ঠা চায়। কিন্তু এই ব্যবস্থায় নির্বাচনের পর নির্বাচিত হলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো পরিবর্তন আনবেন কি না সে কথা কেউ বলেন না। ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শুধু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়,’ যোগ করেন শামছুল হুদা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক দূরে এগিয়ে গেছে। তবে অর্থনৈতিকভাবে যতটা এগিয়ে গেছে গণতান্ত্রিকভাবে ততটা এগোতে পারেনি। সবাই গণতন্ত্রের দোহায় দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু পরে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের মত ব্যবহার করেছে। সংগঠনের প্রস্তাবনা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্থায়ীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাষ্ট্রপতি পদের পূর্ণ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা, জাতীয় সংসদ, সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন, কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্য কমিশন ও মানবাধিকার কমিশনের মত সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বাধীন করতে হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দল না। ক্ষমতায় যাওয়ার আশাও আমাদের নেই। ৯০ এর দশকে ৩টি রাজনৈতিক জোট এক হয়ে আন্দোলন করে রাষ্ট্রপ্রতি শাসিত সরকার থেকে সংসদীয় ব্যবস্থায় ফিরেছিল। আশা করি এবারও রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়ে পূর্ণগণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠা করবে। তবে একটু সময় লাগবে। সংবাদ সম্মেলনের সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আফগানিস্তানে ব্যাপক দুর্নীতি ও নির্বাচনে কারচুপির কারণে তালেবানের উত্থান হয়েছিল। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যখন কোথাও কোনো প্রতিকার না পায় তখন ধর্মের আশ্রয় নেয়। আমাদের দেশে যে দুর্নীতি ও কারচুপি হচ্ছে তারও একটি দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল আছে। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে যখন জাতীয়তাবদী আন্দোলন শুরু হয় তখনো রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই পরিবর্তনের আন্দোলন শুরু করে। আগের পরিবর্তন যেহেতু রাজনীতিকরা শুরু করেছে এখনকারটাও তাদেরই শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই একটি বসবাসযোগ্য বাংলাদেশ। যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে, থাকবে সুন্দর সমাজ । মন্তব্য
No comments:
Post a Comment