সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে দুই আত্মীয়ের সাক্ষাৎ নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন ঢাকা: দীর্ঘ দুই মাস ‘নিখোঁজ’ থাকার পর ভারতের মেঘালয়ে সন্ধান পাওয়া বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন তার দুই আত্মীয়। এই দুই আত্মীয়কে তিনি জানিয়েছেন, তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় কয়েকবার গাড়ি বদল করে শিলং নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শিলংয়ের পলোগ্রাউন্ডে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থাতেই গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। তিনি জানান, চোখের বাঁধন খ
োলার পরও তিনি বুঝতে পারছিলেন না তিনি কোথায় আছেন। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করে তিনি জানতে পারেন যে, তিনি শিলং এ আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সালাহ উদ্দিন আহমেদের এই দুজন আত্মীয় প্রথমবারের মতো তার সঙ্গে শিলং এর সিভিল হাসপাতালে দেখা করতে সক্ষম হন। সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এসে তারা বিবিসি বাংলার অমিতাভ ভট্টশালীকে এই তথ্য জানান। এদের একজন আইয়ুব আলী জানান, তিনি কলকাতার বাসিন্দা এবং সালাহ উদ্দিন আহমেদের দূর সম্পর্কের ভাই। এই দুজন আরো জানিয়েছেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ নিজেই এর পর শিলংয়ের পুলিশের কাছে গিয়ে নিজের পরিচয় দেন। এর আগে গত দুদিন ধরে শিলংয়ের পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছিল, স্থানীয় লোকজন সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে দেখে থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাংলাদেশে দুমাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ সালাউদ্দীন আহমেদকে শিলংয়ে খুঁজে পাওয়ার পর এই প্রথম তার নিজস্ব বয়ানে কোন তথ্য জানা গেল। শিলং পুলিশ গত কয়েকদিন ধরে তাকে কঠোর পাহারার মধ্যে রেখেছে। এমনকি যেসব ডাক্তার, নার্স সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দেখেছেন, তারাও তার স্বাস্থ্য ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। তবে শিলং এর একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ডি জে গোস্বামী জানিয়েছেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদের কাছে কিছু ওষুধ পাওয়া গিয়েছিল, যেগুলো বাংলাদেশের কোনো ওষুধ কোম্পানির তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এসব ওষুধের স্ট্রীপে বাংলা লেখা ছিল। ভারতে তৈরি ওষুধের স্ট্রীপে বাংলা লেখা থাকে না। ডাক্তার ডি জে গোস্বামী জানান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ হৃদরোগে এবং প্রোস্টেটের জটিলতায় ভুগছেন। তার সঙ্গে পাওয়া ওষুধগুলো মূলতঃ এসব রোগের। মেঘালয় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের দুজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বিকেলে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে তারা কি জানতে পেরেছেন তা প্রকাশ করেননি। সালাহ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে দেখা করতে তার পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার শিলংয়ে পৌঁছান। এদের একজন হুমায়ুন রশিদ জানিয়েছেন, তিনি সালাহউদ্দীন আহমেদের কাজিন। সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তাদেরকে দেখা করার অনুমতি দিয়েছিলেন শিলং পুলিশের এসপি। কিন্তু পরে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। দেখা করতে না পেরে তারা ফিরে যান। আবদুল লতিফ জনি এবং স্বপন নামে বিএনপির দুজন নেতাও শিলংয়ে পৌঁছেছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment