Thursday, May 21, 2015

বেতনকাঠামো প্রত্যাখান ঢাবি শিক্ষক সমিতির:টাইমনিউজ

বেতনকাঠামো প্রত্যাখান ঢাবি শিক্ষক সমিতির স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২১ মে, ২০১৫ ১৫:১৭:২৭ প্রস্তাবিত অষ্টম জাতীয় বেতনকাঠামো প্রত্যাখ্যান করে তা পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এ বিষয়ে সমিতি আগামী ২৪ মে প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বেতনকাঠামো প্রত্যাখ্যান ও প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে
শিক্ষক সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এস এম মাকসুদ কামাল। তিনি বলেন, ফরাসউদ্দিন কমিশন বেতনকাঠামোয় শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন করার মতো প্রস্তাব রেখেছেন। সচিব কমিটি আরও একধাপ অগ্রসর হয়ে নিজেদের সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে অন্যদের জন্য বৈষম্যের ব্যবস্থা করেছে। মাকসুদ কামাল বলেন, সপ্তম জাতীয় বেতনকাঠামোতে শিক্ষকদের যে অবস্থান ছিল, প্রস্তাবিত বেতনকাঠামোয় তা দুই ধাপ নামিয়ে আনা হয়েছে। এটা শুধু ন্যায়সঙ্গত অধিকারই ক্ষুণ্ন করেনি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য তা অত্যন্ত অবমাননাকরও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় যত দিন স্বাবলম্বী না হবে, তত দিন স্বতন্ত্র বেতন স্কেল করা যুক্তিযুক্ত হবে না। কমিশনের এই কথার প্রতিবাদ জানায় শিক্ষক সমিতি। দরিদ্র অভিভাবকদের মেধাবী সন্তানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে উল্লেখ করে মাকসুদ কামাল প্রশ্ন তোলেন, কমিশন কি এই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে? স্বাবলম্বী হওয়ার নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ বেতন ধার্য করে এসব দরিদ্র মেধাবীর শিক্ষাজীবন রুদ্ধ করতে চাচ্ছে? মাকসুদ কামালের ভাষ্য, সচিবেরা নিজেরা নিজেদের সুযোগসুবিধার প্রস্তাব করে সবার কাছে বেতনকাঠামোর গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করছেন। তাই এই বেতনকাঠামো তাঁদের কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। প্রস্তাবিত বেতনকাঠামো প্রত্যাখ্যান করে আগামী ২৪ মে বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বেতনকাঠামোতে অযৌক্তিকভাবে শিক্ষকদের নিচের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যা অবমাননাকর। এ কারণেই তা প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। এসএইচ    

No comments:

Post a Comment