ঢাকা: দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, চলতি বছরের শুরুতে রাজনৈতিক সংকট থেকে সৃষ্ট সন্ত্রাসের কারণে সংঘটিত হতাহতের ঘটনা ছিল অভূতপূর্ব। নাগরিক সমাজ অস্বাভাবিক এ অবস্থার পুনরাবৃত্তি চায় না। রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন বক্তারা এসব কথা বলেন। উ
দ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমান সংকটের দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানকল্পে সংবিধানের কিছু সংশোধনী ও বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন। এসব সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশের রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি সাধন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, “নাগরিক সমাজের প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য হলো দেশের বিদ্যমান সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার নিরসনকল্পে একটি দীর্ঘমেয়াদি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা। আমরা এই পৌনঃপুনিক সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে চাই এবং তা করা দরকার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে। নয়তো আমাদের আশঙ্কা যে, এই নির্বাচনী গণতন্ত্রের উৎপীড়ন আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থার এক স্থায়ী দুষ্টক্ষতে পরিণত হবে।” সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, এম হাফিজ উদ্দিন খান, কলামিস্ট ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান মনসুর প্রমুখ অংশ নেন। নতুন বার্তা/মোআ
No comments:
Post a Comment