Thursday, May 14, 2015

সালাহ উদ্দিন রহস্য: বাংলাদেশ ও ভারতের কে কী বলছেন:আরটিএনএন

সালাহ উদ্দিন রহস্য: বাংলাদেশ ও ভারতের কে কী বলছেন আরটিএনএন ডেস্ক ঢাকা: ভারতের মেঘালয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান পাওয়ার পর তার রহস্যময় নিখোঁজ এবং একই ধরনের রহস্যঘেরা ফিরে আসা নিয়ে বিভিন্নজন বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তব্যদাতাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী, আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্তাব্যক্তি, ভারতের আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্তাব্যক্তি এবং দুই দেশের সাংবাদিকরা। গত দুই
দিনে তাদের দেয়া বক্তব্যগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হল— সালাহ উদ্দিন মেঘালয়ে বসে ষড়যন্ত্র করছে: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ মেঘালয়ের জঙ্গলে বসে ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে ওই সভার আয়োজন করা হয়। মায়া বলেন, আওয়ামী লীগকে হঠাতে ও শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে এই ষড়যন্ত্র করেছেন সালাহউদ্দিন। তিনি ভারতে বসে বিশ্বের কোন কোন জঙ্গীদের সঙ্গে দুই মাসে যোগাযোগ করেছেন তা খতিয়ে বের করতে হবে। সালাহ উদ্দিনের খোঁজ বিএনপি আগে থেকেই জানত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম বলেছেন বিষয়টি নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মিথ্যাচার করা বিএনপির অভ্যাস। সালাউদ্দিনের খোঁজ তারা (বিএনপি) আগে থেকেই জানতেন। বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত একটি সাজানো নাটক: জয় সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতে পালিয়ে ছিলেন এবং তিনি পুরো দুইমাসের কোনো স্মৃতিই মনে করতে পারছেন না। ‘সালাহউদ্দিন সাহেবের স্ত্রী এতোদিন গণমাধ্যমে সাদা পোশাকধারী পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছিলেন’ সে সম্পর্কে জয় বলেন, পুরো ঘটনাটিই আওয়ামী লীগ সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য বিএনপির পূর্বপরিকল্পিত একটি সাজানো নাটক। সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজের বিষয় নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভূমিকা ও অভিযোগকে প্রমাণ ও তদন্ত ছাড়া ব্যর্থ কর্মকাণ্ড হিসেবেও উল্লেখ করেন জয়। ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন কিনা সেটাও প্রশ্ন: র‌্যাব প্রধান র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেছেন, সালাউদ্দিন আহমেদের মতো এতো বড় একজন নেতা দলের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন কিনা সেটাও প্রশ্নের দাবি রাখে। তিনি বলেন, সালাহউদ্দিনের নিখোঁজের বিষয়ে বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে র‌্যাবকে দায়ী করা হয়েছিল। এর কারণে র‌্যাবের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে। কিন্তু এখন তাকে খুঁজে পাওয়ায় পরিষ্কার হয়েছে র‌্যাব এর সঙ্গে জড়িত ছিল না। র‌্যাবের সুনাম ক্ষুণ্নের জন্যই এমন করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গা র‌্যাব-৭ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, যদি তিনি ভারতে অবস্থান করেন তাহলে আমাদের কেন দায়ী করা হল? প্রমাণিত হল কোনো বাহিনী অপহরণ করেনি: আইজিপি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, সালাহ উদ্দিনের সাথে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদের কথোপকথনের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার যে, বিএনপির এই নেতাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপহরণ করেনি। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। শহীদুল হক বলেন, নিখোঁজ হবার পর থেকেই তার সন্ধান করছিল পুলিশ। বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার কয়েকটি মামলা আছে। মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে আদালত। আইজিপি বলেন, ‘তিনি কিভাবে ভারতে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হবে’। সালাহ উদ্দিন অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার মতো লোক নন: মেঘালয় পুলিশ প্রধান ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ প্রধান (আইজিপি অপারেশনস) জিএইচপি রাজু বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে শিলংয়ে পাওয়া যাওয়ার ঘটনাটিকে ‘স্বাভাবিক নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। জিএইচপি রাজু বলেছেন, ‘তিনি কিভাবে শিলংয়ে এলেন আমরা সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তিনি সাধারণ কোনো ব্যক্তি নন, একজন সাবেক মন্ত্রী। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তিনি অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার পর্যায়ের লোক নন।’ টাইমস অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ‘Ailing BNP leader not produced in court’ শিরোনামের এক খবরে জিএইচপি রাজুর এ বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। রাতভর গাড়ি চালিয়ে সালাহ উদ্দিনকে ফেলে যায় : মানস চৌধুরী লাহ উদ্দিন আহমেদকে ‘রাতভর গাড়ি চালিয়ে’ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে ফেলে রেখে যাওয়া হয় বলে মনে করেন শিলং টাইমসের সম্পাদক মানস চৌধুরী। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর খোঁজ পাওয়া সালাহ উদ্দিন আহমেদের শিলং পুলিশের হাতে আটক হওয়ার খবর প্রথম ছেপেছিল শিলং টাইমস। বুধবার এনটিভির সাথে টেলিফোনে মেঘালয়ের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও দুইবারের বিধায়ক মানস চৌধুরী এ কথা বলেন। সুখরঞ্জন বালী আর সালাহ উদ্দিনের অপহরণ মিলে যায়: ডেভিড বার্গম্যান সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান পাওয়ার পর প্রখ্যাত সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান ১২ মে তার ব্লগে একটি পোস্ট প্রকাশ করেছেন। জামায়াত নেতা মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর অপহরণের ঘটনা অনুসন্ধান করে বের করা বার্গম্যান সম্প্রতি সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজ রহস্য নিয়েও অনুসন্ধান চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করেন। এ নিয়ে তার একাধিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ডেইলি নিউ এইজে প্রকাশিত হয়েছে। এই দুই ঘটনার মিল নিয়ে ডেভিড বার্গম্যান তার ব্লগে যা লিখেছেন তার অনুবাদ তুলে ধরা হল— ‘সুখরঞ্জন বালীর ঘটনার সাথে এ ঘটনা ব্যাপকভাবে মিলে যায়। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস টাইব্যুনালের সাক্ষী বালীকে ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ট্রাইব্যুনালের বাইরে থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিনই ট্রাইব্যুনালে দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে তার প্রমাণাদি উপস্থাপন করার কথা ছিল। তখন বালীর আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চের লোক পরিচয় দিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে নিয়ে যায়। সাত মাস পরে নিউ এইজ খবর প্রকাশ করে যে, তিনি ভারতের একটি কারাগারে বন্দি আছেন। জেল থেকে দেয়া তার একটি বিবৃতির খবরও সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় যেখানে বালী বলেছিলেন, তাকে নিয়ে প্রথমে ছয় সপ্তাহ ধরে একটি জায়গায় রাখা হয়েছিল। তার ধারণা, জায়গাটি ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চের (ডিবি) কার্যালয় হতে পারে। এরপর একই বছর ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ ভারত সীমান্তের ওপারে ফেলে রেখে আসার পর অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হন। বিবৃতিতে বালী আরো বলেন, বাংলাদেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে প্রায় ছয় সপ্তাহ আটক থাকার পর পুলিশ তার চোখ বেধে সীমান্তে নিয়ে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। “আমাকে খাবার দেয়ার জন্য মাগুরার একটি হোটেলে তারা গাড়ি থামায়। তখন চোখের বাধন খুলে দিলে দেখতে পাই আমাকে একটি প্রাইভেট কারে করে নিয়ে আসা হয়েছে। খাওয়া শেষে আবারো আমার চোখ বেধে দিয়ে গাড়ি চালাতে থাকে। শেষপর্যন্ত বিকাল ৫টার দিকে আমাকে বিএসএফের হাতে হস্তান্তর করে তারা চলে যায়”, বালী তার বিবৃতিতে বলেন। তিনি জানান, বিএসএফ তার সাথে খুবই খারাপ আচরণ করে। মনে হচ্ছে, আইনশৃংখলা বাহিনী এই ক্ষেত্রেও (সালাহউদ্দিনের) একই ধরনের কৌশল এঁটেছে।’ বার্গম্যানের ১০টি পয়েন্ট ১৩ মে ডেভিড বার্গম্যান তার ব্লগে ‘So Salah Uddin made his own way to India?’ শিরোনামে আরেকটি ব্লগে তার অনুসন্ধানে প্রাপ্ত দশটি পয়েন্টের কথা পুনরায় উল্লেখ করেন। এক. সালাহ উদ্দিন নিখোঁজের দুইদিন আগে ৮ মার্চ তার দুইজন ড্রাইভার ও একজন ব্যক্তিগত সহকারির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের উঠিয়ে নেয়। এ তিনজন দুইদান র্যাব হেফাজতেই ছিলেন। ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য বাদ দিলেও আদালতে পুলিশের জমা দেয়া কাগজপত্রেই দেখা যাচ্ছে এদের উঠিয়ে নেয়া সাথে র্যাব জড়িত। দুই. প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া বর্ণনা মতে, একইদিন (৮ মার্চ) সকালে সালাহ উদ্দিনকে খুঁজতে গুলশান-১ এর ১৩৬ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে র্যাব অভিযান চালায়। ধারণা করা যায়, এর আগে আটক তিন কর্মচারির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সেখানে অভিযান চালানো হয়। র্যাবের কর্মকর্তারা ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি করেন যেখানে কয়েকদিন আগেও সালাহ উদ্দিন অবস্থান করছিলেন। তবে ওই সময় ফ্ল্যাটে ৭০ বছর বয়স্ক একজন বাবুর্চি ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি। বৃদ্ধ বাবুর্চিকেও র্যাব আটক করে নিয়ে যায়। তিন. গুলশানের ওই ভবনটির মালিক ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের পরিচালক শহীদুল আলমের। শহীদুল একই ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের ভাই। চার. ব্যাংকের ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ গুলশানের ১৩৬ নম্বর সড়কের কাছাকাছি যে ভবনে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত সেটির মালিক হচ্ছেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। একই দিন (৮ মার্চ) সকালে ব্যাংক ভবনেও সালাহ উদ্দিনের খোঁজে র‌্যাব অভিযান চালায়। তাদের ধারণা ছিল ভবনের ৭ম তলায় তিনি লুকিয়ে ছিলেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেখানে ছিলেন না। পাঁচ. অভিযান চালিয়ে চলে যাওয়ার পরে একইদিন আবারও ব্যাংকে গিয়ে র‌্যাবের এক কর্মকর্তা সেখানকার সিসিটিভির ফুটেজগুলো নিয়ে আসেন। তবে এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি যে, সালাহ উদ্দিনের অবস্থানের প্রমাণ খুঁজতে, নাকি নিজেদের অভিযানের প্রমাণ মুছে ফেলতে ফুটেজ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ছয়. অভিযান চলার সময় সালাহ উদ্দিন উত্তরায় একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করছিলেন যেটির মালিক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব হাসনাত। অর্থাৎ, ব্যাংকটির ডিরেক্টর শহীদুল ইসলামের গুলশানের বাসা থেকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের উত্তরার বাসায় স্থানান্তরিত হয়েছিলেন তিনি। সাত. ১০ মার্চ রাতে উত্তরা যে ফ্ল্যাটে সালাহ উদ্দিন ছিলেন সেখানে কিছু লোকের আগমন ঘটে। বিভিন্ন পত্রিকা এবং অন্যান্য গণমাধ্যমকে দেয়া একাধিক সাক্ষাৎকারে (ওইসব সাক্ষাৎকারের ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড রয়েছে) ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, আগন্তুকরা নিজেদেরকে ডিবির (ডিটেক্টিভ ব্রাঞ্চ) কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে সালাহ উদ্দিনের চোখ বেধে নিয়ে বের হয়ে যায়। আট. স্থানীয় বাসিন্দা এবং অন্যান্য ভবনের দারোয়ানরাও নিশ্চিত করেন যে, ওই রাতে সে বাড়ির সামনে এবং রাস্তায় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এবং তাদের একাধিক গাড়ি অবস্থান নিয়েছিল। নয়. স্থানীয় ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, ১০ মার্চ রাতে র্যাবের লোকজন ১৩/বি নম্বর সড়কের অবস্থান কোথায় তা তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। সালাহ উদ্দিনের অবস্থান করা বাড়িটি এই সড়কেই অবস্থিত। দশ. সালাহ উদ্দিনকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, পরিচালক শহীদুল ইসলাম এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব হাসনাত দেশ ত্যাগ করেন। প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ থেকে ‘নিখোঁজ ছিলেন’ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবার ও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। সূত্র: বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, শিলং টাইমস এবং ডেভিড বার্গম্যানের ব্যক্তিগত ব্লগ। মন্তব্য নিজস্ব প্রতিবেদকআরটিএনএনঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পুকুরে ডুবে মাহফুজ হায়দারি ওরফে রাহি (২১) নামে ফজলুল . . . বিস্তারিত নিউজ ডেস্কআরটিএনএনস্টকহোম: সিলেটের ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ সম্প্রতি সুইডেনের ভিসার আবেদন করেছিলেন। তবে তা প্রত্যাখ্যান কর . . . বিস্তারিত            

No comments:

Post a Comment