
ে সমৃদ্ধ করেছেন। তার লেখা অসাধারণ সব লেখা। তার লেখা গান কবিতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা দিয়েছে। জাতির পিতা তার সঙ্গে নজরুলের ঘনিষ্ঠতার কথা আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ‘জয় বাংলা’স্লোগান দিতাম সেটি কবি নজরুলের একটি কবিতা থেকে বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ১৯২১-২৪ সাল পর্যন্ত নজরুল কুমিল্লায় এসেছেন বারবার। তিনি তার জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখা এখানে থেকে লিখেছেন। তার লেখায় ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষের বৈষম্যের কথা উঠে এসেছে। তার লেখার মাধ্যমে এদেশের সর্বস্তরের মানুষ অর্থাৎ, কুলি, হরিজন, সাধারণ মানুষ, শ্রমিক, কৃষক কেউ বাদ যায়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নজরুলের কবিতা পড়লে মনে হয় এমন একটি বিষয় নেই যেটি তিনি স্পর্শ করেন নি। তার অসাম্প্রদায়িক চেতনা আমাদের প্রেরণা যোগায়। অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করায় তাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। তিনি অনেক ইসলামী সংগীতও রচনা করেছেন। আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে নজরুলের লেখাগুলোই ব্যবহার করা হয়। একইসঙ্গে হিন্দুদেনর পূজা –পার্বণ নজরুলের শ্যামা সংগীত, কীর্তন ছাড়া হয় না। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি এমিরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৯টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী একটি বিশেষ হেলিকপ্টার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। কেএইচ
No comments:
Post a Comment