Monday, May 11, 2015

কেন্দ্র ফাঁকা, তবুও বক্স ভরছে ভোটে:আরটিএনএন

স্থগিত তিন কেন্দ্রে চলছে ভোট কেন্দ্র ফাঁকা, তবুও বক্স ভরছে ব্যালটে নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্থগিত তিন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া ভোট একটানা চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। তিনটি কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। কোনো ধরনের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবে ভোট ঠিকই পড়ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব
কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের লোকজনই শুধু ভোট দিচ্ছেন। এক ব্যক্তি একাধিক ভোট দিলেও দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কেউই কিছু বলছেন না। গত ২৮ এপ্রিল দক্ষিণের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কমলাপুর শেরেবাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর-১), ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুরিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি (কেন্দ্র নম্বর-২) কেন্দ্রের পাশাপাশি ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের জুরাইন আশ্রাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর-৩) কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। কমলাপুর শেরেবাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ২,২৮৩। বেলা নয়টার মধ্যেই সেখানে চার শতাধিক ভোট পড়েছে। তবে সকাল থেকে এই কেন্দ্রে ভোটারদের দুজনের ছোট্ট একটি লাইনও চোখে পড়েনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত লাটিম প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী সুলতানের লোকজন দেদারছে ভোট দিচ্ছেন। তাদের এক একজন একাধিক ভোট দিচ্ছেন। এই কেন্দ্রে তার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট নেই। লাটিম প্রতীকে একাধিক ভোট দিয়েছেন সাঈদ হোসেন নামের এক ক্ষমতাসী দলের কর্মী। তিনি আবারো ভোট দিতে এলে কথা হয় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। কয়েকটি ভোট আগেই দিয়েছেন, আবার এসেছেন- এমন প্রশ্নে সাঈদ হোসেন বলেন, ‘আমরাই তো ভোট দিমু। আমাদের নেতা এখানে প্রার্থী, অন্যরা ভোট দিতে না এলে আমাদের কি করার।’ সাঈদের বক্তব্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ সকাল থেকে বেশ কয়েকবার তিনি ভোট দিলেও হাতে কোনো অমোচনীয় কালির দাগ নেই। এই কেন্দ্রে তার মত বেশ কয়েকজনকেই একইভাবে ভোট দিতে দেখা গেছে। লাটিম প্রতীকে সুলতান ইতোমধ্যে ১,৯৯৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন টিফিন বক্স প্রতীকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গাজী মাজহারুল ইসলাম। এই কেন্দ্রে তার সঙ্গে কথা হলে মাজহারুল বলেন, ‘আমি আগেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। এখানে ভোট হওয়া না হওয়া একই কথা। তাছাড়া আমিও এখন লাটিমের পক্ষে কাজ করছি।’ অন্য কারো তৎপরতা না থাকলেও এই কেন্দ্রের পাশেই ক্যাম্প করে অস্থান করছেন সুলতান। তবে তিনি দাবি করেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকে ঝড়ো বৃষ্টি হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। এখানে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি।’ অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ অনিয়ম কিংবা জাল ভোটের বিষয়ে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ভোটার না থাকলেও বৃষ্টির পরপরই এই কেন্দ্রের ১ নং বুথে ৪৬টি, ২ নং বুথে ৫০টি, ৩ নং বুথে ৫০টি, ৪ নং বুথে ২০টি এবং ৫ নং বুথে ২০টি করে ভোট কাস্ট হওয়ার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। তিন কেন্দ্রের মধ্যে ৫৩ নং ওয়ার্ডের জুরাইন আশ্রাফ মাস্টার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় (কেন্দ্র নম্বর-৩) কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও ভোটারদের দেখা নেই। সকাল আটটার পর ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রটিতে মাত্র ৪৫টি ভোট পড়েছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ১,৮১৫ জন। এখানে ভোটারদের কোনো লাইন নেই। ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রার্থীর লোকজনকেই দেখা গেছে। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ড. খাদিমুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জন, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে আটজন ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment