নেতাকর্মীরাই মূখ্য ভূমিকা পালন করছে। তাই বর্তমান আন্দোলন কোনো কারণে লক্ষ অর্জনে ব্যর্থ হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাই যত বাধাই আসুক সবকিছু উপেক্ষা করে আন্দোলনকে টেনে নিতে হবে। এমন বার্তাই দেয়া হয়েছে দলটির হাইকমাণ্ডের পক্ষ থেকে। বিশেষ করে সর্বশেষ ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় মাঠের কর্মীরা। কিন্তু হাইকমাণ্ডের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে। চেয়ারপারসন আটক হলেও চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সেজন্য করণীয় নির্ধারণ করা আছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের একটি সূত্র টাইমনিউজকে জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে এরইমধ্যে নিজের অনুপস্থিতিতে দল ও জোট পরিচালনায় করণীয় নির্ধারণ করে নেতাকর্মীদের জন্য নির্দেশনার একটি ‘খসড়া’ তৈরি করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। গ্রেফতারের লক্ষ্যে তার কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই দেশব্যাপী ‘অসহযোগ’ কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। আর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় থাকবেন খালেদা জিয়া। সূত্রটি আরও জানায়, দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করবেন দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর তারেক রহমানকে সহায়তা করতে দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ইতিমধ্যে একটি সমন্বয়ক কমিটি গঠনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য সমন্বয়ক কমিটির তালিকায় রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, তরিকুল ইসলাম, আ স ম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. ওসমান ফারুক ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনায়ই এ কমিটি চূড়ান্ত হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। এদিকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে দল ও জোটের কি করণীয় হবে তা একটি ‘সংক্ষিপ্ত লিখিত বার্তায়’ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজনের সময় সেটি গণমাধ্যমের সাহায্যে নেতাকর্মীদের ও দেশবাসীকে জানানো হবে। সূত্রমতে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিট্যাবল দুর্নীতির মামলায় হাজির না হলে সংশ্লিষ্ট আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে, এ বিষয়ে আগাম ধারণা ছিল খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বিএনপির নীতিনির্ধারকদের। সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে গিয়ে খালেদা জিয়াকে তার গুলশান কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করতে পারে, এমন সম্ভাবনাকে আগাম গুরুত্ব দিয়েই কয়েকদিন আগ থেকেই আন্দোলনের কঠোর কর্মকৌশল ঠিক করেছে ২০ দলীয় জোট। কর্মসূচি প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হলে অসহযোগ আন্দোলন শুরুর সিদ্ধান্ত তারেক রহমানের কাছ থেকেই এসেছে। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে ওইদিনই এই কর্মসূচি ঘোষণা করতে বলেছেন তিনি। এতে সায় দিয়েছেন খালেদা জিয়াসহ ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। বিএনপির সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত এক সপ্তায় তারেক রহমান আন্দোলন বিষয়ে বিএনপির ৭৮ সাংগঠনিক জেলা ও ঢাকাসহ সব মহানগরের বিশ্বস্ত নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে শিগগিরই ‘অসহযোগ’ কর্মসূচি যুক্ত হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে এজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতিও নিতে বলেছেন। সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারেক রহমান সম্ভাব্য অসহযোগ কর্মসূচিকে ২০ দলীয় জোটের সরকারবিরোধী ‘চূড়ান্ত’ কর্মসূচি আখ্যা দিয়েছেন। পাশাপাশি কারও গাফিলতির কারণে ‘চূড়ান্ত আন্দোলন’ ব্যর্থ হলে পরিণতির সম্ভাব্য ভয়াবহতা সম্পর্কেও নেতাদের ধারণা দেয়া হয়েছে। সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনে একের পর এক বাধা এলেও ভেঙ্গে পড়েননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বরং শোক আর সকল বাধাকে শক্তিতে পরিণত করে আন্দোলনের প্রশ্নে তিনি রয়েছেন অবিচল। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবেও যেমন সুস্থ রয়েছেন, তেমনি মানসিকভাবেও বেশ শক্তি সঞ্চয় করেছেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এমএইচ/ এআর
Sunday, March 1, 2015
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত বিএনপি হাইকমাণ্ড:Time News
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত বিএনপি হাইকমাণ্ড মোজাম্মেল হক তুহিন টাইম নিউজ বিডি, ০১ মার্চ, ২০১৫ ১৪:১৬:১১ চলমান আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বিএনপির হাইকমাণ্ড। দলটির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে এই অবস্থায় কোনভাবেই আন্দোলনে বিরতি দেয়া সঠিক কাজ হবে না। এতে দলের তৃণমূলে ভুল বার্তা যাবে। কেননা প্রায় ২ মাসব্যাপী চলা আন্দোলনে তৃণমূলের
নেতাকর্মীরাই মূখ্য ভূমিকা পালন করছে। তাই বর্তমান আন্দোলন কোনো কারণে লক্ষ অর্জনে ব্যর্থ হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাই যত বাধাই আসুক সবকিছু উপেক্ষা করে আন্দোলনকে টেনে নিতে হবে। এমন বার্তাই দেয়া হয়েছে দলটির হাইকমাণ্ডের পক্ষ থেকে। বিশেষ করে সর্বশেষ ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় মাঠের কর্মীরা। কিন্তু হাইকমাণ্ডের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে। চেয়ারপারসন আটক হলেও চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সেজন্য করণীয় নির্ধারণ করা আছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের একটি সূত্র টাইমনিউজকে জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে এরইমধ্যে নিজের অনুপস্থিতিতে দল ও জোট পরিচালনায় করণীয় নির্ধারণ করে নেতাকর্মীদের জন্য নির্দেশনার একটি ‘খসড়া’ তৈরি করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। গ্রেফতারের লক্ষ্যে তার কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই দেশব্যাপী ‘অসহযোগ’ কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। আর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় থাকবেন খালেদা জিয়া। সূত্রটি আরও জানায়, দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করবেন দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর তারেক রহমানকে সহায়তা করতে দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ইতিমধ্যে একটি সমন্বয়ক কমিটি গঠনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য সমন্বয়ক কমিটির তালিকায় রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, তরিকুল ইসলাম, আ স ম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. ওসমান ফারুক ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনায়ই এ কমিটি চূড়ান্ত হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। এদিকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে দল ও জোটের কি করণীয় হবে তা একটি ‘সংক্ষিপ্ত লিখিত বার্তায়’ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজনের সময় সেটি গণমাধ্যমের সাহায্যে নেতাকর্মীদের ও দেশবাসীকে জানানো হবে। সূত্রমতে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিট্যাবল দুর্নীতির মামলায় হাজির না হলে সংশ্লিষ্ট আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে, এ বিষয়ে আগাম ধারণা ছিল খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বিএনপির নীতিনির্ধারকদের। সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে গিয়ে খালেদা জিয়াকে তার গুলশান কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করতে পারে, এমন সম্ভাবনাকে আগাম গুরুত্ব দিয়েই কয়েকদিন আগ থেকেই আন্দোলনের কঠোর কর্মকৌশল ঠিক করেছে ২০ দলীয় জোট। কর্মসূচি প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হলে অসহযোগ আন্দোলন শুরুর সিদ্ধান্ত তারেক রহমানের কাছ থেকেই এসেছে। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে ওইদিনই এই কর্মসূচি ঘোষণা করতে বলেছেন তিনি। এতে সায় দিয়েছেন খালেদা জিয়াসহ ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। বিএনপির সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত এক সপ্তায় তারেক রহমান আন্দোলন বিষয়ে বিএনপির ৭৮ সাংগঠনিক জেলা ও ঢাকাসহ সব মহানগরের বিশ্বস্ত নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে শিগগিরই ‘অসহযোগ’ কর্মসূচি যুক্ত হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে এজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতিও নিতে বলেছেন। সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারেক রহমান সম্ভাব্য অসহযোগ কর্মসূচিকে ২০ দলীয় জোটের সরকারবিরোধী ‘চূড়ান্ত’ কর্মসূচি আখ্যা দিয়েছেন। পাশাপাশি কারও গাফিলতির কারণে ‘চূড়ান্ত আন্দোলন’ ব্যর্থ হলে পরিণতির সম্ভাব্য ভয়াবহতা সম্পর্কেও নেতাদের ধারণা দেয়া হয়েছে। সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনে একের পর এক বাধা এলেও ভেঙ্গে পড়েননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বরং শোক আর সকল বাধাকে শক্তিতে পরিণত করে আন্দোলনের প্রশ্নে তিনি রয়েছেন অবিচল। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবেও যেমন সুস্থ রয়েছেন, তেমনি মানসিকভাবেও বেশ শক্তি সঞ্চয় করেছেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এমএইচ/ এআর
নেতাকর্মীরাই মূখ্য ভূমিকা পালন করছে। তাই বর্তমান আন্দোলন কোনো কারণে লক্ষ অর্জনে ব্যর্থ হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাই যত বাধাই আসুক সবকিছু উপেক্ষা করে আন্দোলনকে টেনে নিতে হবে। এমন বার্তাই দেয়া হয়েছে দলটির হাইকমাণ্ডের পক্ষ থেকে। বিশেষ করে সর্বশেষ ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায় মাঠের কর্মীরা। কিন্তু হাইকমাণ্ডের পক্ষ থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে। চেয়ারপারসন আটক হলেও চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। সেজন্য করণীয় নির্ধারণ করা আছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের একটি সূত্র টাইমনিউজকে জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে এরইমধ্যে নিজের অনুপস্থিতিতে দল ও জোট পরিচালনায় করণীয় নির্ধারণ করে নেতাকর্মীদের জন্য নির্দেশনার একটি ‘খসড়া’ তৈরি করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। গ্রেফতারের লক্ষ্যে তার কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই দেশব্যাপী ‘অসহযোগ’ কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। আর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে অনড় থাকবেন খালেদা জিয়া। সূত্রটি আরও জানায়, দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করবেন দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর তারেক রহমানকে সহায়তা করতে দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ইতিমধ্যে একটি সমন্বয়ক কমিটি গঠনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য সমন্বয়ক কমিটির তালিকায় রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনি, তরিকুল ইসলাম, আ স ম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. ওসমান ফারুক ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনায়ই এ কমিটি চূড়ান্ত হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। এদিকে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে দল ও জোটের কি করণীয় হবে তা একটি ‘সংক্ষিপ্ত লিখিত বার্তায়’ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজনের সময় সেটি গণমাধ্যমের সাহায্যে নেতাকর্মীদের ও দেশবাসীকে জানানো হবে। সূত্রমতে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিট্যাবল দুর্নীতির মামলায় হাজির না হলে সংশ্লিষ্ট আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করবে, এ বিষয়ে আগাম ধারণা ছিল খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বিএনপির নীতিনির্ধারকদের। সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে গিয়ে খালেদা জিয়াকে তার গুলশান কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করতে পারে, এমন সম্ভাবনাকে আগাম গুরুত্ব দিয়েই কয়েকদিন আগ থেকেই আন্দোলনের কঠোর কর্মকৌশল ঠিক করেছে ২০ দলীয় জোট। কর্মসূচি প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হলে অসহযোগ আন্দোলন শুরুর সিদ্ধান্ত তারেক রহমানের কাছ থেকেই এসেছে। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে ওইদিনই এই কর্মসূচি ঘোষণা করতে বলেছেন তিনি। এতে সায় দিয়েছেন খালেদা জিয়াসহ ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। বিএনপির সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত এক সপ্তায় তারেক রহমান আন্দোলন বিষয়ে বিএনপির ৭৮ সাংগঠনিক জেলা ও ঢাকাসহ সব মহানগরের বিশ্বস্ত নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে শিগগিরই ‘অসহযোগ’ কর্মসূচি যুক্ত হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে এজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতিও নিতে বলেছেন। সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারেক রহমান সম্ভাব্য অসহযোগ কর্মসূচিকে ২০ দলীয় জোটের সরকারবিরোধী ‘চূড়ান্ত’ কর্মসূচি আখ্যা দিয়েছেন। পাশাপাশি কারও গাফিলতির কারণে ‘চূড়ান্ত আন্দোলন’ ব্যর্থ হলে পরিণতির সম্ভাব্য ভয়াবহতা সম্পর্কেও নেতাদের ধারণা দেয়া হয়েছে। সরকার বিরোধী চলমান আন্দোলনে একের পর এক বাধা এলেও ভেঙ্গে পড়েননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বরং শোক আর সকল বাধাকে শক্তিতে পরিণত করে আন্দোলনের প্রশ্নে তিনি রয়েছেন অবিচল। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবেও যেমন সুস্থ রয়েছেন, তেমনি মানসিকভাবেও বেশ শক্তি সঞ্চয় করেছেন বলে জানিয়েছেন চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এমএইচ/ এআর
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment