ব্যক্তিত্ব জেন্ডার সমতার পক্ষে তাদের অঙ্গীকার ও অবস্থান তুলে ধরেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী (এমপি), গলফার সিদ্দিকুর রহমান, চলচিত্র প্রযোজক খালিদ মাহমুদ মিঠু, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্ড, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, জাতিসংঘ রেসিডেন্ট কোওর্ডিনেটর ও ইউএনডিপি রিপ্রেজেনটিটিভ রবার্ট ডি. ওয়াটকিনস এবং ব্যবসায়ী সংগঠন বিজিএমইএ-র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আজিম। অনুষ্ঠানে বক্তারা স্ব স্ব অবস্থানে থেকে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণ এবং নিজের কাছের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি আদায়েরও অঙ্গীকার করেন। এ সময় ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তির প্রত্যেকে এরই মধ্যে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করবেন-এই মর্মে তাদের প্রত্যেকের ঘনিষ্ঠ যেই তিন ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন তার মৌখিক প্রতিবেদন পেশ করেন। এ সময় বক্তারা বলেন, শুধু এ ধরনের অনুষ্ঠান করলেই চলবে না, সবার আগে পুরুষের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করতে হবে। নারীকে মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে। পুরুষ যা পারে নারীও যে তা পারে সেই মর্মে স্বীকৃতি দিতে হবে। অনুষ্ঠানে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যেসব নারী এরই মধ্যে স্ব স্ব অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তাদেরও উচ্চস্বরে বলতে হবে, তাদের এই প্রতিষ্ঠার পেছনে বাবা, ভাই বা স্বামীসহ কোন পুরুষের ভূমিকা ছিল কিনা যাতে অন্যরাও আগ্রহী হয়। তিনি বলেন, নারীর অগ্রগতির পথে যেসব অবিচার, অনাচার, অসাম্য বা বৈষম্য কাজ করে তা দূরীকরণে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। নারীদের পিছিয়ে রেখে কোন দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে না এমন মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় এই মর্মে অঙ্গীকার করেন, দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা তুলে ধরে তিনি তথ্য-উপাত্ত প্রদান করবেন। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, পুরুষরা এগিয়ে না আসলে কখনোই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফলতার মুখ দেখতে পাবে না, বরং তা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। এ সময় তিনি তার পত্রিকায় নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে প্রতি মাসে অন্তত ২৪টি বিশেষ প্রতিবেদন, ২৪টি ফিচার, ১২টি সম্পাদকীয় এবং ১/২ পৃষ্ঠার সাপ্লিমেন্টারি প্রকাশের অঙ্গীকার করেন। এছাড়া, আগামী ১ বছরে ১ পৃষ্ঠার বিশেষ সাপ্লিমেন্টারিসহ ১০টি রাউন্ডটেবিল, ৬টি বিশেষ ইন্টারভিউ এবং একটি সেমিনার আয়োজনেরও প্রতিশ্রুতি দেন প্রথম আলোর সম্পাদক। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জাতীয় সংসদের অন্তত ১০০ পুরুষ সদস্যের কাছ থেকে তিনি নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করার অঙ্গীকার আদায় করবেন। নারী-পুরুষেরা কে কী কাজ করছে সেটাই বড় কথা নয়; বরং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারী কতটা স্বাধীনতা ভোগ করছেন সেটাই এই মুহুর্তে বড় বিবেচ্য বিষয় বলেও জানান সাবের হোসেন চৌধুরী। উল্লেখ্য, হিফরসি (নারীর জন্য পুরুষ)-এই জেন্ডার সমতা অর্জন ইউএন উইমেন এর একটি সংহতিমূলক আন্দোলন যা সমাজে পুরুষ ও ছেলেদের নারী অধিকার অর্জন ও জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণে সংযুক্ত করে। এই ক্যাম্পেইনের যাত্রা শুরু হয় জাতিসংঘ সদর দপ্তর নিউইয়র্কে এবং এর সুচনা করেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, ইউএন উইমেন এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফুমজিলে মিয়াবো নকুকা এবং ইউএন ইউমেন গুডউইল এ্যামবাসেডর ইমা ওয়াটসন। কেবি
Monday, March 9, 2015
নারীর জন্য পুরুষ-ক্যাম্পেইনের যাত্রা শুরু:Time News
নারীর জন্য পুরুষ-ক্যাম্পেইনের যাত্রা শুরু কুটনৈতিক রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ০৯ মার্চ, ২০১৫ ১৯:২২:৫৬ জাতিসংঘের উদ্যোগে শুরু হওয়া “নারীর জন্য পুরুষ” (HeForShe) প্রচারাভিযানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো বাংলাদেশে। আজ (সোমবার) বিকেলে ঢাকার হোটেল সোনারগাওয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রচারাভিযানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জোহান ফ্রাইসেল। অনুষ্ঠানে ৯ জন বিশিষ্ট পুরুষ
ব্যক্তিত্ব জেন্ডার সমতার পক্ষে তাদের অঙ্গীকার ও অবস্থান তুলে ধরেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী (এমপি), গলফার সিদ্দিকুর রহমান, চলচিত্র প্রযোজক খালিদ মাহমুদ মিঠু, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্ড, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, জাতিসংঘ রেসিডেন্ট কোওর্ডিনেটর ও ইউএনডিপি রিপ্রেজেনটিটিভ রবার্ট ডি. ওয়াটকিনস এবং ব্যবসায়ী সংগঠন বিজিএমইএ-র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আজিম। অনুষ্ঠানে বক্তারা স্ব স্ব অবস্থানে থেকে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণ এবং নিজের কাছের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি আদায়েরও অঙ্গীকার করেন। এ সময় ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তির প্রত্যেকে এরই মধ্যে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করবেন-এই মর্মে তাদের প্রত্যেকের ঘনিষ্ঠ যেই তিন ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন তার মৌখিক প্রতিবেদন পেশ করেন। এ সময় বক্তারা বলেন, শুধু এ ধরনের অনুষ্ঠান করলেই চলবে না, সবার আগে পুরুষের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করতে হবে। নারীকে মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে। পুরুষ যা পারে নারীও যে তা পারে সেই মর্মে স্বীকৃতি দিতে হবে। অনুষ্ঠানে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যেসব নারী এরই মধ্যে স্ব স্ব অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তাদেরও উচ্চস্বরে বলতে হবে, তাদের এই প্রতিষ্ঠার পেছনে বাবা, ভাই বা স্বামীসহ কোন পুরুষের ভূমিকা ছিল কিনা যাতে অন্যরাও আগ্রহী হয়। তিনি বলেন, নারীর অগ্রগতির পথে যেসব অবিচার, অনাচার, অসাম্য বা বৈষম্য কাজ করে তা দূরীকরণে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। নারীদের পিছিয়ে রেখে কোন দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে না এমন মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় এই মর্মে অঙ্গীকার করেন, দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা তুলে ধরে তিনি তথ্য-উপাত্ত প্রদান করবেন। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, পুরুষরা এগিয়ে না আসলে কখনোই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফলতার মুখ দেখতে পাবে না, বরং তা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। এ সময় তিনি তার পত্রিকায় নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে প্রতি মাসে অন্তত ২৪টি বিশেষ প্রতিবেদন, ২৪টি ফিচার, ১২টি সম্পাদকীয় এবং ১/২ পৃষ্ঠার সাপ্লিমেন্টারি প্রকাশের অঙ্গীকার করেন। এছাড়া, আগামী ১ বছরে ১ পৃষ্ঠার বিশেষ সাপ্লিমেন্টারিসহ ১০টি রাউন্ডটেবিল, ৬টি বিশেষ ইন্টারভিউ এবং একটি সেমিনার আয়োজনেরও প্রতিশ্রুতি দেন প্রথম আলোর সম্পাদক। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জাতীয় সংসদের অন্তত ১০০ পুরুষ সদস্যের কাছ থেকে তিনি নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করার অঙ্গীকার আদায় করবেন। নারী-পুরুষেরা কে কী কাজ করছে সেটাই বড় কথা নয়; বরং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারী কতটা স্বাধীনতা ভোগ করছেন সেটাই এই মুহুর্তে বড় বিবেচ্য বিষয় বলেও জানান সাবের হোসেন চৌধুরী। উল্লেখ্য, হিফরসি (নারীর জন্য পুরুষ)-এই জেন্ডার সমতা অর্জন ইউএন উইমেন এর একটি সংহতিমূলক আন্দোলন যা সমাজে পুরুষ ও ছেলেদের নারী অধিকার অর্জন ও জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণে সংযুক্ত করে। এই ক্যাম্পেইনের যাত্রা শুরু হয় জাতিসংঘ সদর দপ্তর নিউইয়র্কে এবং এর সুচনা করেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, ইউএন উইমেন এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফুমজিলে মিয়াবো নকুকা এবং ইউএন ইউমেন গুডউইল এ্যামবাসেডর ইমা ওয়াটসন। কেবি
ব্যক্তিত্ব জেন্ডার সমতার পক্ষে তাদের অঙ্গীকার ও অবস্থান তুলে ধরেন। এদের মধ্যে রয়েছেন, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী (এমপি), গলফার সিদ্দিকুর রহমান, চলচিত্র প্রযোজক খালিদ মাহমুদ মিঠু, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্ড, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, জাতিসংঘ রেসিডেন্ট কোওর্ডিনেটর ও ইউএনডিপি রিপ্রেজেনটিটিভ রবার্ট ডি. ওয়াটকিনস এবং ব্যবসায়ী সংগঠন বিজিএমইএ-র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আজিম। অনুষ্ঠানে বক্তারা স্ব স্ব অবস্থানে থেকে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণ এবং নিজের কাছের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে এই মর্মে প্রতিশ্রুতি আদায়েরও অঙ্গীকার করেন। এ সময় ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তির প্রত্যেকে এরই মধ্যে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করবেন-এই মর্মে তাদের প্রত্যেকের ঘনিষ্ঠ যেই তিন ব্যক্তির প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন তার মৌখিক প্রতিবেদন পেশ করেন। এ সময় বক্তারা বলেন, শুধু এ ধরনের অনুষ্ঠান করলেই চলবে না, সবার আগে পুরুষের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করতে হবে। নারীকে মানুষ হিসেবে ভাবতে হবে। পুরুষ যা পারে নারীও যে তা পারে সেই মর্মে স্বীকৃতি দিতে হবে। অনুষ্ঠানে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যেসব নারী এরই মধ্যে স্ব স্ব অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তাদেরও উচ্চস্বরে বলতে হবে, তাদের এই প্রতিষ্ঠার পেছনে বাবা, ভাই বা স্বামীসহ কোন পুরুষের ভূমিকা ছিল কিনা যাতে অন্যরাও আগ্রহী হয়। তিনি বলেন, নারীর অগ্রগতির পথে যেসব অবিচার, অনাচার, অসাম্য বা বৈষম্য কাজ করে তা দূরীকরণে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। নারীদের পিছিয়ে রেখে কোন দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে না এমন মন্তব্য করে ড. দেবপ্রিয় এই মর্মে অঙ্গীকার করেন, দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা তুলে ধরে তিনি তথ্য-উপাত্ত প্রদান করবেন। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, পুরুষরা এগিয়ে না আসলে কখনোই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সফলতার মুখ দেখতে পাবে না, বরং তা অসম্পূর্ণই থেকে যাবে। এ সময় তিনি তার পত্রিকায় নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে প্রতি মাসে অন্তত ২৪টি বিশেষ প্রতিবেদন, ২৪টি ফিচার, ১২টি সম্পাদকীয় এবং ১/২ পৃষ্ঠার সাপ্লিমেন্টারি প্রকাশের অঙ্গীকার করেন। এছাড়া, আগামী ১ বছরে ১ পৃষ্ঠার বিশেষ সাপ্লিমেন্টারিসহ ১০টি রাউন্ডটেবিল, ৬টি বিশেষ ইন্টারভিউ এবং একটি সেমিনার আয়োজনেরও প্রতিশ্রুতি দেন প্রথম আলোর সম্পাদক। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জাতীয় সংসদের অন্তত ১০০ পুরুষ সদস্যের কাছ থেকে তিনি নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করার অঙ্গীকার আদায় করবেন। নারী-পুরুষেরা কে কী কাজ করছে সেটাই বড় কথা নয়; বরং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারী কতটা স্বাধীনতা ভোগ করছেন সেটাই এই মুহুর্তে বড় বিবেচ্য বিষয় বলেও জানান সাবের হোসেন চৌধুরী। উল্লেখ্য, হিফরসি (নারীর জন্য পুরুষ)-এই জেন্ডার সমতা অর্জন ইউএন উইমেন এর একটি সংহতিমূলক আন্দোলন যা সমাজে পুরুষ ও ছেলেদের নারী অধিকার অর্জন ও জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণে সংযুক্ত করে। এই ক্যাম্পেইনের যাত্রা শুরু হয় জাতিসংঘ সদর দপ্তর নিউইয়র্কে এবং এর সুচনা করেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, ইউএন উইমেন এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফুমজিলে মিয়াবো নকুকা এবং ইউএন ইউমেন গুডউইল এ্যামবাসেডর ইমা ওয়াটসন। কেবি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment