
বন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে ভূক্তভোগী বক্তারা বলেন, টেকনাফ থেকে দালালচক্র এসব নারী-পুরুষকে ”ট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপজেলার প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে কালীপুর ইউনিয়নের গুনগরি এলাকায় দিশারী ক্যাম্প নামে একটি সংস্থায় নিয়ে গিয়ে বনী ঈসরাঈলসহ ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাতের পর কিতাবুল মোকাদ্দস নামে একটি গ্রন্থ ধরিয়ে দেয়। এছাড়া চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা খ্রিষ্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল পরিচালিত প্রতিষ্ঠান দিশারী এনজিও। দিশারী এনজিও পরিচালক রুবেল তালুকদার বলেন, বাঁশখালীর দিশারী ক্যাম্পটি হিউম্যান রাইটস কাজ করে, এ কাজ সংস্থার একটি অংশ। বাইবেল পিপলস ফাউন্ডেশন ও ওয়ে ইজ ট্রাস্টের পরিচালক মারটিন আবদুল মান্নান মৃধা নেতৃত্বে ধর্মান্তরিত করার প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। অপরদিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোজাহিদ উদ্দিন উক্ত ঘটনার ভিকটিমদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সত্যতার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গত ১৮ মার্চ টেকনাফ থেকে দালালচক্র বেকারত্ব দুরীকরন নামে একটি প্রশিক্ষন দেয়ার প্রলোভন দিয়ে নিয়ে গিয়ে এইসব রোহিঙ্গা মুসলিমকে ‘চট্রগ্রামের বাঁশখালীর উপজেলার গুনগরি এলাকায় দিশারী মিশনারী ক্যাম্প’ নামে একটি সংস্থায়ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাতের পর কিতাবুল মোকাদ্দস নামে একটি গ্রন্থ ধরিয়ে দেয়। ৩দিন তাদেরকে সেখানে রেখে উক্ত ধর্মের আচার্য্য শিখনো হয়। পরে তারা টেকনাফে ফিরে আসার পর এক পর্যায়ে এঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। টেকনাফের পুরান পল্লান পাড়া এলাকায় বসবাসকারী মোমেনা, বেলুজা,সনজিদা সাথে কথা বলে জানা যায়, একই এলাকার জাহেদ হোসেনের ছেলে নুরুল আলম, ছৈয়দ আলমের স্ত্রী নুরুনী টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৩ রোহিঙ্গা মুসলিম নারী-পুরুষকে হাঁস-মুরগীর প্রশিক্ষনের নামে বাঁশখালীর ঐ স্থানে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে ৫ জনকে কানাডায় নেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়। এছাড়া ও তাদের প্রত্যেকে বাড়ী তৈরীসহ মাসিক উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেওয়া হয়। ৪২ জন এই রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে টেকনাফের কায়ুকখালীপাড়া থেকে ১৭ জন, নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৯ জন, বাহারছড়ার শামলাপুর এলাকার থেকে ৭ জনকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে টেকনাফ পুরান পল্লানপাড়ার বসবাসকারী ছৈয়দ আলম ও তার স্ত্রী মোমেনা (২৮), মো: হারুনের ছেলে বাইলা (৩৫), ইয়াছিনের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন ময়ুরী (৫০), আবদুর রশিদের স্ত্রী সনজিদা (৪০), সালেহ আহমদের স্ত্রী বেলুজা (৬০),কালা মিয়ার ছেলে বাইলা (৩৫), কাদের হোছনের স্ত্রী ফিরোজা (৫০), হাফেজ আহমদ (৫০), মো: আলম (১৫), বেগনী (৫০), নুর জাহান (৪৫) এর নাম পাওয়া যায়। কিতাবুল মোকাদ্দস গ্রন্থ খানার উপরে তোরাত শরীফ, জবুর শরীফ, নবীদের কাহিনী ও ইঞ্জিল কিতাব লিখা রয়েছে। মোঃ হারুন বাইলা নামে সেখানে যাওয়া এক ব্যক্তি জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে চাইলে তাকে বকাসকা করা হয় এবং ঐ ক্যাম্প থেকে তাদের কাউকে বের হতে দেওয়া হতো না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহীন নামের এক ব্যক্তি মালয়েশিয়া বসবাসকারী নুরুনীর মেয়ে লেদা রোহিঙ্গা বস্তির আসমার স্বামী নাজির হোসেনের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে টেকনাফে লেদা রোহিঙ্গা বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে ধর্মান্তরের এ প্রক্রিয়া শুরু করেন। এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এলাকার লোকজন। এঘটনায় তারা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে কৌশলে ধর্মান্তরিত চেষ্টার প্রতিবাদে ২৯ মার্চ সকালে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে। এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোজাহিদ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। (সূত্র: নয়াদিগন্ত) এআর
No comments:
Post a Comment