Saturday, February 28, 2015

শ্বাসরুদ্ধকর জয় কিউইদের:Time News

শ্বাসরুদ্ধকর জয় কিউইদের স্পোর্টস ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ১২:৩৩:১০ দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল নিউজিল্যান্ড। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে কার্ডিফে জয়ের পর বিশ্বকাপে টানা তিনবার অসিদের কাছে হেরেছিল তারা। অবশেষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে হারের রাজ্য থেকে বেরিয়ে এসে জয় আনন্দে ভাসল কিউরা। শনিবার নিজেদের মাঠ অকল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ১৫১ রানের জবাবে ২৩ ওভারে ১ উইকেটে জ
িতেছে নিউজিল্যান্ড। অকল্যান্ডের মাঠে ২৩ বছর আগে সুখস্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে ব্রেন্ডন ম্যাককালামরা। ১৯৯২ বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করেছিল অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। সেবার অকল্যান্ডে মুখোমুখি হয়েছিল দুই স্বাগতিক দল। নিজেদের মাটিতে ৩৭ রানে জিতে প্রথমবারের মতো কাঙ্গারুদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে জয়ের রেকর্ড গড়েছিল তারা। এবারও বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজকরা সেই অকল্যান্ডের মাটিতে মুখোমুখি। অস্ট্রেলিয়া প্রতিশোধ নিতে মাঠে নামলেও অকল্যান্ডের সম্মান অক্ষুন্ন রেখেছে ব্লাক ক্যাপসরা। এদিন অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমেও প্রায় হারতে বসেছিল নিউজিল্যান্ড। অবশেষে কেন উইলিয়ামসন ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। জবাবে খেলতে নেমে মিচেল স্ট্যার্কের বলে মিডঅফে প্যাট কামিন্সের তালুবন্দি হয়ে মার্টিন গাপটিল বিদায় নিলে শেষ হয়ে যায় তাদের ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি। ম্যাককালাম দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। করে ফেলেন হাফ-সেঞ্চুরি। ২৪ বলে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫০ রান পূর্ণ করেই প্যাট কামিন্সের বলে মিচেল স্ট্যার্কের হাতে ধরা পড়েন তিনি। দলীয় ৭৮ রানে দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাককালামের বিদায়ের পর ৭৯ রানেই হারায় আরো দুটি উইকেট। টেইলর (১) ও ইলিয়ট(০) বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান স্ট্যার্ক। তবে তার হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেন কোরি অ্যান্ডারসন। উইলিয়ামসন ও অ্যান্ডারসন দলকে জয়ের বন্দরের কাছাকাছি নিয়ে যান। কিন্তু দলীয় ১৩৪ রানে অ্যান্ডারসন (২৫) সাজঘরে ফিরলে ২২ গজের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকেন উইলিয়ামসন। অন্য প্রান্তে একে একে মাঠ থেকে বিদায় নেন লুক রঞ্চি (৬), ভেট্টরি (২), মিলনি (০) ও সাউদি (০)। ২১‌তম ওভারের শেষ বলে রঞ্চিকে সাজঘরে পাঠানো অসি বোলার স্টার্ক ২৩তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে মিলনি ও সাউদিকে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়ে আবার হ্যাটট্রিকের সুযোগ পান। এবার তাকে বঞ্চিত করেন ট্রেন্ট বোল্ট। চার উইকেটে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড ১৪৬ রানেই হারায় ৯ উইকেট। অবশেষে ২৪তম ওভারের কামিন্সের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন উইলিয়ামসন (৪৫)। ৯ ওভারে ২৮ রানে ৬ উইকেট শিকার স্টার্ক অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার। এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। শুরুটা দারুণ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দলকে। টিম সাউদির করা প্রথম ওভারেই ১৫ রান নেয় অতিথিরা। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই লংঅন দিয়ে ছক্কা হাকান ফিঞ্চ। পরের বলেই তাকে বোল্ড করে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেন সাউদি। তবে তাতেও কমেনি অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি। শেন ওয়াটসনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ওয়ার্নার। দ্বিতীয় উইকেট জুটির ৫০ রানের প্রতিরোধ ভাঙেন ড্যানিয়েল ভেট্টরি। ১ উইকেটে ৮০ রানে পৌঁছে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপর্যয়ের শুরু তার বলে ওয়াটসনের বিদায়ে। সীমানায় ওয়াটসনের ক্যাচ নিয়ে বল করতে এসেই ওয়ার্নারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাউদি। রিভিউ নিয়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু বদলায়নি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। দলীয় ৯৫ রানে ভেট্টরির বলে লুক রঞ্চির হাতে স্টিভেন স্মিথ ক্যাচ আউট হলে আর ভাঙন থামাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। প্রথম স্পেলে ৫ ওভারে ২৪ রান দেয়া ট্রেন্ট বোল্ট দ্বিতীয় স্পেলে ৫ ওভারে ৩ মেডেনে ৩ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল মার্শকে বোল্ড করে দেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি মাইকেল ক্লার্ক। শর্ট কাভারে কেন উইলিয়ামসনকে ক্যাচ দিয়ে বোল্টের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। পরের ওভারে ফিরে মিচেল জনসন ও মিচেল স্ট্যার্ককে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেন বোল্ট। জনসন শর্ট কাভারে উইলিয়ামসনের ক্যাচে পরিণতত হন আর স্ট্যার্ক বোল্ড হয়ে যান। ১ উইকেটে ৮০ থেকে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর পরিণত হয় ৯ উইকেটে ১০৬ রানে। অর্থাৎ ২৬ রান যোগ করতে ৮ উইকেট হারায় দলটি। বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা থেকে অস্ট্রেলিয়াকে বাঁচানোর কৃতিত্ব ব্র্যাড হ্যাডিনের। পাল্টা আক্রমণে ৪৩ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। দশম উইকেটে প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। এতে ৩২.২ ওভারে ১৫১ রান সংগ্রহ করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন রান ১২৯। ১৯৮৩ সালের আসরে ভারতের বিপক্ষে এই রান করেছিল তারা। ১০ ওভারে ২৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার ট্রেন্ট বোল্ড। জেডআই


No comments:

Post a Comment