Monday, February 9, 2015

ক্রসফায়ারসহ সারাদেশে নিহত ৫:Time News

ক্রসফায়ারসহ সারাদেশে নিহত ৫ টাইম ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ১৪:৪৩:৪৯ পুলিশের বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন ঘটনায় সারাদেশে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন।  শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবক নিহত হয়েছেন। ক্যান্টনম্যান্টের কালশী থেকে অজ্ঞাত যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে নিখোঁজের দু'দিন পর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার করে
ছে দাউদকান্দি পুলিশ। অপরদিকে নোয়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। একই ঘটনা ঘটেছে বগুড়ায়। ‘বন্দুকযুদ্ধে’অজ্ঞাত পরিচয়ের যুবক নিহত রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক (২৮)নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর রাতে যাত্রবাড়ীর মাতুয়াইলেকাঠেরপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যাত্রাবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই যুবক টহলরত গোয়েন্দা পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে মারে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোর ৪টার দিকে ডাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।লাশটি বর্তমানে ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে দাবি করলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে চাননি এসআই। নিহতের পরনে হলুদ রংয়ের গেঞ্জি, নীল জিন্স প্যান্ট ও জলপাই কালারের জ্যাকেট রয়েছে। কালশীতে গুলিবিদ্ধ যুবকের লাশ রাজধানীর ক্যান্টনম্যান্ট থানার কালশী থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারনা যুবকের বয়স আনুমানিক ৩৩ বছর। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারনা নিহতের ঘটনাটি কথিত বন্দুকযুদ্ধ হতে পারে। ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই বেনজির আহমেদ জানান, ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কালশী এলাকার নতুন রাস্তা সংলগ্ন মোটর কার ওয়ার্কশপের দক্ষিণ পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের ডান কানের উপরে গুলির চিহ্ন ও মাথার পেছনে রক্তাক্ত যখম রয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেখা গেছে, নিহতের পরনে সবুজ রঙের স্যান্ডো গেঞ্জির ওপরে চেক শার্ট ও অ্যাশ কালারের জাকেট ও ঘিয়া রঙের ফুলপ্যান্ট পরা রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি আতিকুর রহমান টাইম নিউজ বিডিকে জানান, নিহতের লাশের পাশ থেকে ৭ পেট্রলবোমা ও ৭টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। চৌদ্দগ্রামের ছাত্রদল নেতা সোহেলের লাশ উদ্ধার নিখোঁজের দু'দিন পর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ছাত্রদল নেতা সোহেলের লাশ উদ্ধার করেছে দাউদকান্দি পুলিশ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে দাউদকান্দি উপজেলার হাসানপুর কলেজের সামনে থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার গভীররাত থেকে সোহেল নিখোঁজ ছিলেন। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে নিয়েছে পুলিশ। নিহত সোহেল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকার জগমোহনপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল্লাহ জানান, হাসানপুর রাস্তার পাশ থেকে একটি লাশ উদ্ধার করেছি। সড়ক দুঘর্টনায় নিহত হয়েছে শুনেছি। লাশ মর্গে পাঠিয়েছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না। কুমেক হাসপাতাল মর্গের দায়িত্বে থাকা হোসেন জানান, পুলিশ আমাদের জানিয়েছে লাশটি সড়ক দুর্ঘটনার। কুমেক হাসপাতালে অবস্থানরত নিহতের এক আত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাদা পোষাকে ১০/১২ জন লোক বাড়ি থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোন খবর পাওয়া যায়নি। নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবুল মেম্বারকে (৫৫) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি চরমটুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য। সোমবার ভোরে চরমটুয়া ইউনিয়নের খালিসাতোলা গ্রামে নিজ বাড়ির পাশ থেকে তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার দিবাগত গভীর রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা পুলিশের। স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকালে এলাকার লোকজন কাজে বের হলে পথিমধ্যে চরমটুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের লেদু মিয়া বাড়ির পাকা রাস্তার পাশে বাবুল মেম্বারের গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বগুড়ারয় আওয়ামী লীগ নেতাকে গলাকেটে হত্যা বগুড়া : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সামছুল হক নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গলাকেটে হত্যা করেছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর তাকে হত্যা করা হয়। নিহত সামছুল হক রাঙ্গামাটি দিদার পাড়া গ্রামের মোজাহার আলী মণ্ডলের ছেলে। তিনি ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। স্থানীয়রা জানান, সামছুল হকের জামাই মাসুদ রানার ৬১ শতাংশ জমি নিয়ে তার শরিকদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সামছুল হক তার জামাইয়ের পক্ষ নিয়ে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করে আসছিলেন। রোববার এলাঙ্গী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ তারেকের উপস্থিতিতে গ্রামে শালিস বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ আপোস মীমাংসা করা হয়। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সামছুল হক রাঙ্গামাটি বাজারে চায়ের দোকানে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েককজন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী তাকে গলাকেটে হত্যার পর পালিয়ে যায়। এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ তারেক জানান, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আপোস মীমাংসার পর বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি দলিল করার কথা ছিল। কিন্তু এর আগে সন্ত্রাসীরা সামছুল হককে হত্যা করে। চেয়ারম্যানের ধারণা নিহতের জামাই মাসুদ রানার বিপক্ষের লোকজন সামছুল হককে খুন করেছে। ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান, সামছুল হকের বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে রাস্তার পার্শ্বে ধানক্ষেতে লাশ পড়ে ছিল। নিহতের গলা কাটা ছাড়া ও বুকে ও পেটে তিনটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। এএইচ


No comments:

Post a Comment