কানের ছেঁদুর এখনো আমার ঘরে পাওয়া যাবে চন্দনের শলা, ধ্রুপদের আলাপনে অকস্মাৎ ধরেছি খেউড় ক্ষমা করো হে অবলা, ক্ষিপ্ত এই কোকিলের গলা। তোমার দুধের বাটি খেয়ে যাবে সোনার মেকুর না দেখার ভান করে কতকাল দেখবে, চঞ্চলা? দুই. অঘোর ঘুমের মধ্যে ছুঁয়ে গেছে মনসার কাল লোহার বাসরে সতী কোন ফাঁকে ধুকেছে নাগিনী, আর কোনদিন বলো দেখব কি নতুন সকাল? উষ্ণতার অধীশ্বর যে গোলক ওঠে প্রতিদিনই। বিষের আতপে নীল প্রাণাধার করে থরো থরো আমারে উঠিয়ে নাও হে বেহুলা, শরীরে তোমার, প্রবল বাহুতে বেঁধে এ-গতর ধরো, সতী ধরো, তোমার ভাসানে শোবে দেবদ্রোহী ভাটির কুমার। কুটিল কালের বিষে প্রাণ যদি শেষ হয়ে আসে, মৃত্যুর পিঞ্জর ভেঙ্গে প্রাণপাখি ফিরুক তরাসে জীবনের স্পর্ধা দেখে নত হোক প্রাণাহারী যম, বসন বিদার করে নেচে ওঠো মরণের পাশে নিটোল তোমার মুদ্রা পাল্টে দিক বাঁচার নিয়ম। হেলাল হাফিজের ৪টি কবিতা প্রস্থান এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷ এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো৷ ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷ কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো৷ আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷ গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে? আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি, নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়? এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে, এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে অনির্ণীত নারী নারী কি নদীর মতো নারী কি পুতুল, নারী কি নীড়ের নাম টবে ভুল ফুল। নারী কি বৃক্ষ কোনো না কোমল শিলা, নারী কি চৈত্রের চিতা নিমীলিত নীলা। অমিমাংসিত সন্ধি তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো? পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো। ইচ্ছে হলে দেখতে দিও, দেখো হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিও, রেখো অপূরণতায় নষ্টে-কষ্টে গেলো এতোটা কাল, আজকে যদি মাতাল জোয়ার এলো এসো দু’জন প্লাবিত হই প্রেমে নিরাভরণ সখ্য হবে যুগল-স্নানে নেমে। থাকবো ব্যাকুল শর্তবিহীন নত পরস্পরের বুকের কাছে মুগ্ধ অভিভূত। ইচ্ছে ছিলো ইচ্ছে ছিলো তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো ইচ্ছে ছিলো তোমাকেই সুখের পতাকা করে শান্তির কপোত করে হৃদয়ে উড়াবো। ইচ্ছে ছিলো সুনিপূণ মেকআপ-ম্যানের মতো সূর্যালোকে কেবল সাজাবো তিমিরের সারাবেলা পৌরুষের প্রেম দিয়ে তোমাকে বাজাবো, আহা তুমুল বাজাবো। ইচ্ছে ছিলো নদীর বক্ষ থেকে জলে জলে শব্দ তুলে রাখবো তোমার লাজুক চঞ্চুতে, জন্মাবধি আমার শীতল চোখ তাপ নেবে তোমার দু’চোখে। ইচ্ছে ছিল রাজা হবো তোমাকে সাম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো, আজ দেখি রাজ্য আছে রাজা আছে ইচ্ছে আছে, শুধু তুমি অন্য ঘরে।
Saturday, February 14, 2015
আল মাহমুদ ও হেলাল হাফিজের ভালোবাসার কবিতা :Natun Barta
আল মাহমুদের ‘সোনালি কাবিন’র দু’টি কবিতা এক. হারিয়ে কানের সোনা এ-বিপাকে কাঁদো কি কাতরা? বাইরে দারুন ঝড়ে নুরে পড়ে আনাজের ডাল, তস্করের হাত থেকে জেয়র কি পাওয়া যায় ত্বরা – সে কানেট পরে আছে হয়তো বা চোরের ছিনাল ! পোকায় ধরেছে আজ এ দেশের ললিত বিবেকে মগজ বিকিয়ে দিয়ে পরিতৃপ্ত পন্ডিত সমাজ। ভদ্রতার আবরণে কতদিন রাখা যায় ঢেকে যখন আত্মায় কাঁদে কোনো দ্রোহী কবিতার কাজ? ভেঙ্গোনা কাঁচের চুড়ি, ভরে দেবো
কানের ছেঁদুর এখনো আমার ঘরে পাওয়া যাবে চন্দনের শলা, ধ্রুপদের আলাপনে অকস্মাৎ ধরেছি খেউড় ক্ষমা করো হে অবলা, ক্ষিপ্ত এই কোকিলের গলা। তোমার দুধের বাটি খেয়ে যাবে সোনার মেকুর না দেখার ভান করে কতকাল দেখবে, চঞ্চলা? দুই. অঘোর ঘুমের মধ্যে ছুঁয়ে গেছে মনসার কাল লোহার বাসরে সতী কোন ফাঁকে ধুকেছে নাগিনী, আর কোনদিন বলো দেখব কি নতুন সকাল? উষ্ণতার অধীশ্বর যে গোলক ওঠে প্রতিদিনই। বিষের আতপে নীল প্রাণাধার করে থরো থরো আমারে উঠিয়ে নাও হে বেহুলা, শরীরে তোমার, প্রবল বাহুতে বেঁধে এ-গতর ধরো, সতী ধরো, তোমার ভাসানে শোবে দেবদ্রোহী ভাটির কুমার। কুটিল কালের বিষে প্রাণ যদি শেষ হয়ে আসে, মৃত্যুর পিঞ্জর ভেঙ্গে প্রাণপাখি ফিরুক তরাসে জীবনের স্পর্ধা দেখে নত হোক প্রাণাহারী যম, বসন বিদার করে নেচে ওঠো মরণের পাশে নিটোল তোমার মুদ্রা পাল্টে দিক বাঁচার নিয়ম। হেলাল হাফিজের ৪টি কবিতা প্রস্থান এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷ এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো৷ ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷ কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো৷ আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷ গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে? আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি, নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়? এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে, এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে অনির্ণীত নারী নারী কি নদীর মতো নারী কি পুতুল, নারী কি নীড়ের নাম টবে ভুল ফুল। নারী কি বৃক্ষ কোনো না কোমল শিলা, নারী কি চৈত্রের চিতা নিমীলিত নীলা। অমিমাংসিত সন্ধি তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো? পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো। ইচ্ছে হলে দেখতে দিও, দেখো হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিও, রেখো অপূরণতায় নষ্টে-কষ্টে গেলো এতোটা কাল, আজকে যদি মাতাল জোয়ার এলো এসো দু’জন প্লাবিত হই প্রেমে নিরাভরণ সখ্য হবে যুগল-স্নানে নেমে। থাকবো ব্যাকুল শর্তবিহীন নত পরস্পরের বুকের কাছে মুগ্ধ অভিভূত। ইচ্ছে ছিলো ইচ্ছে ছিলো তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো ইচ্ছে ছিলো তোমাকেই সুখের পতাকা করে শান্তির কপোত করে হৃদয়ে উড়াবো। ইচ্ছে ছিলো সুনিপূণ মেকআপ-ম্যানের মতো সূর্যালোকে কেবল সাজাবো তিমিরের সারাবেলা পৌরুষের প্রেম দিয়ে তোমাকে বাজাবো, আহা তুমুল বাজাবো। ইচ্ছে ছিলো নদীর বক্ষ থেকে জলে জলে শব্দ তুলে রাখবো তোমার লাজুক চঞ্চুতে, জন্মাবধি আমার শীতল চোখ তাপ নেবে তোমার দু’চোখে। ইচ্ছে ছিল রাজা হবো তোমাকে সাম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো, আজ দেখি রাজ্য আছে রাজা আছে ইচ্ছে আছে, শুধু তুমি অন্য ঘরে।
কানের ছেঁদুর এখনো আমার ঘরে পাওয়া যাবে চন্দনের শলা, ধ্রুপদের আলাপনে অকস্মাৎ ধরেছি খেউড় ক্ষমা করো হে অবলা, ক্ষিপ্ত এই কোকিলের গলা। তোমার দুধের বাটি খেয়ে যাবে সোনার মেকুর না দেখার ভান করে কতকাল দেখবে, চঞ্চলা? দুই. অঘোর ঘুমের মধ্যে ছুঁয়ে গেছে মনসার কাল লোহার বাসরে সতী কোন ফাঁকে ধুকেছে নাগিনী, আর কোনদিন বলো দেখব কি নতুন সকাল? উষ্ণতার অধীশ্বর যে গোলক ওঠে প্রতিদিনই। বিষের আতপে নীল প্রাণাধার করে থরো থরো আমারে উঠিয়ে নাও হে বেহুলা, শরীরে তোমার, প্রবল বাহুতে বেঁধে এ-গতর ধরো, সতী ধরো, তোমার ভাসানে শোবে দেবদ্রোহী ভাটির কুমার। কুটিল কালের বিষে প্রাণ যদি শেষ হয়ে আসে, মৃত্যুর পিঞ্জর ভেঙ্গে প্রাণপাখি ফিরুক তরাসে জীবনের স্পর্ধা দেখে নত হোক প্রাণাহারী যম, বসন বিদার করে নেচে ওঠো মরণের পাশে নিটোল তোমার মুদ্রা পাল্টে দিক বাঁচার নিয়ম। হেলাল হাফিজের ৪টি কবিতা প্রস্থান এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পত্র দিয়ো৷ এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালী তাল পাখাটা খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পত্র দিয়ো৷ ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পত্র দিয়ো৷ কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে পত্র দিয়ো, পত্র দিয়ো৷ আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেয়ো, আপত্তি নেই৷ গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে? আমি না হয় ভালোবেসেই ভুল করেছি ভুল করেছি, নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি, কী আসে যায়? এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে, এক মানবী কতোটা আর কষ্ট দেবে অনির্ণীত নারী নারী কি নদীর মতো নারী কি পুতুল, নারী কি নীড়ের নাম টবে ভুল ফুল। নারী কি বৃক্ষ কোনো না কোমল শিলা, নারী কি চৈত্রের চিতা নিমীলিত নীলা। অমিমাংসিত সন্ধি তোমাকে শুধু তোমাকে চাই, পাবো? পাই বা না পাই এক জীবনে তোমার কাছেই যাবো। ইচ্ছে হলে দেখতে দিও, দেখো হাত বাড়িয়ে হাত চেয়েছি রাখতে দিও, রেখো অপূরণতায় নষ্টে-কষ্টে গেলো এতোটা কাল, আজকে যদি মাতাল জোয়ার এলো এসো দু’জন প্লাবিত হই প্রেমে নিরাভরণ সখ্য হবে যুগল-স্নানে নেমে। থাকবো ব্যাকুল শর্তবিহীন নত পরস্পরের বুকের কাছে মুগ্ধ অভিভূত। ইচ্ছে ছিলো ইচ্ছে ছিলো তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো ইচ্ছে ছিলো তোমাকেই সুখের পতাকা করে শান্তির কপোত করে হৃদয়ে উড়াবো। ইচ্ছে ছিলো সুনিপূণ মেকআপ-ম্যানের মতো সূর্যালোকে কেবল সাজাবো তিমিরের সারাবেলা পৌরুষের প্রেম দিয়ে তোমাকে বাজাবো, আহা তুমুল বাজাবো। ইচ্ছে ছিলো নদীর বক্ষ থেকে জলে জলে শব্দ তুলে রাখবো তোমার লাজুক চঞ্চুতে, জন্মাবধি আমার শীতল চোখ তাপ নেবে তোমার দু’চোখে। ইচ্ছে ছিল রাজা হবো তোমাকে সাম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো, আজ দেখি রাজ্য আছে রাজা আছে ইচ্ছে আছে, শুধু তুমি অন্য ঘরে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment