
করতে হবে আগে। চলমান সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে।’ সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রাজনৈতিক সহিংসতায় দগ্ধদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমান সঙ্কটটা ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে, জনগণের সমর্থন নিয়ে নয়। সহিংসতা করে কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায় এটাই সঙ্কট।’ প্রতিবেশী দেশ ভারতের উদাহরণ দিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা পার্শ্ববর্তী দেশে দেখেছি সেখানে নির্বাচন হয়েছে, তারা কাউকে জেলেও পাঠায়নি, ফাঁসিও দেয়নি। আগুনে পুড়েও মারেনি। তাদের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ। বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপূর্ণ একটি দেশ। তাই আশা করি এ উদ্ভুত পরিস্থিতি একদিন শেষ হবে। আমরা সবাই শান্তিতে থাকতে পারবো।’ দুই দলকে সহিংসতা বন্ধ করে আলোচনায় বসার জন্য নিজেই আহ্বান করবেন জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘আমি ডাকবো সবাইকে। আমি যেহেতু এখন সবচেয়ে বয়ো:জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ। আমি তাদেরকে একসঙ্গে বসার আহ্বান জানাবো। কবে নির্বাচন হয় সেটা নিয়ে এখন আলোচনা করবো না, কিভাবে রাজনীতি সংস্কৃতি ভবিষ্যতে আমরা গড়ে তুলবো সেটাই আলোচনার বিষয়।’ ২০ দলীয় জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে তিনি খুব জনপ্রিয়। ডাক দিয়ে ঘরে বসে থাকেন তবে মানুষ রাস্তায় নামতো না। আমরা মানুষকে ভালোবাসি। মানুষকে পুড়িয়ে ক্ষমতায় যাবো না। মানুষ তা সমর্থন করেও না।’ এর আগে ১১টা ৪০ মিনিটে ঢামেকে আসেন এরশাদ। এ সময় তিনি আহতদের খোঁজখবর নেন। তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা প্রমুখ। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment