রুদ্ধ হয়ে আছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া চাইলে তার বাসায় যেতে পারেন। ওদিকে, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা একের পর এক গ্রেপ্তার হচ্ছেন। পাশাপাশি চলছে বিএনপি অবরোধ এবং বিভিন্ন জেলায় নানা ঘটনায় দেয়া হচ্ছে হরতাল। এরই মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় এক সমাবেশে বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে, সেই মূল্য বিএনপিকেই দিতে হবে, জনগণকে নয়। তাহলে এই অবস্থায় চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান কোন পথে? এ নিয়ে বিবিসির সঙ্গে আলোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সরকারের অবস্থান কঠোর বলেই মনে হচ্ছে। কাল যারা সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন তাদের কথা শুনে মনে হয়েছে যে তারা দল, দেশ ও সরকারকে একটা হার্ডলাইনে নিয়ে যেতে যান এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও তাদের কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।’ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, সরকার একেবারেই কঠোর অবস্থানে চলে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ছাড় দেয়ার মানসিকতাতে নেই। প্রধানমন্ত্রীও বলে দিয়েছেন ২০১৯ সালের আগে সংলাপের সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, ‘যেটুকু সংলাপের সম্ভাবনা ছিল সেটুকু তিরোহিত হয়ে গেছে। ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন না হলে সংলাপ হবে না এবং সংলাপ কার সঙ্গে এমন কথাও বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের সমাবেশ থেকে।’ বিএনপির ছাড় দেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে মনজুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপিরও ছাড় দেয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই তিনি মনে করেন। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তারা যে ভাষা ব্যবহার করেছে তাতেও মনে হচ্ছে তারাও হার্ডলাইনে যাচ্ছে।’ ঢাবির ইংরেজীর এই অধ্যাপক বলেন, ‘অবরোধ কোনো সমাধান নয়। জনসম্পৃক্ততা সেখানে নেই। ১৮/১৯ জন মারা গেছে অকারণে। বিএনপির পক্ষ থেকেও বড় অবস্থানে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’ তিনি মনে করেন, সংলাপের শুরু হলে একটা সমাধান আসতো। মনজুরুল ইসলাম বলেন, সামনের চিত্র ভয়াবহ। মানুষ উদ্বেগের মধ্যে আছে। যেভাবে চোরাগোপ্তা হামলা, সে কারণে মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা মন্তব্য
Tuesday, January 13, 2015
সংকটের সমাধান কোন পথে?:RTNN
সংকটের সমাধান কোন পথে? নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন ঢাকা: বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিন থেকেই রাজনৈতিক অবস্থা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। চলছে বিএনপির লাগাতার অবরোধ। কিন্তু সরকার সংকট নিরসনে কোনো ধরনের সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুপক্ষের কঠোর অবস্থানে উদ্বেগ বাড়ছে। বিএনপি বলছে, ৩ জানুয়ারি থেকে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার গুলশানের কার্যালয়ে অব
রুদ্ধ হয়ে আছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া চাইলে তার বাসায় যেতে পারেন। ওদিকে, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা একের পর এক গ্রেপ্তার হচ্ছেন। পাশাপাশি চলছে বিএনপি অবরোধ এবং বিভিন্ন জেলায় নানা ঘটনায় দেয়া হচ্ছে হরতাল। এরই মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় এক সমাবেশে বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে, সেই মূল্য বিএনপিকেই দিতে হবে, জনগণকে নয়। তাহলে এই অবস্থায় চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান কোন পথে? এ নিয়ে বিবিসির সঙ্গে আলোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সরকারের অবস্থান কঠোর বলেই মনে হচ্ছে। কাল যারা সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন তাদের কথা শুনে মনে হয়েছে যে তারা দল, দেশ ও সরকারকে একটা হার্ডলাইনে নিয়ে যেতে যান এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও তাদের কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।’ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, সরকার একেবারেই কঠোর অবস্থানে চলে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ছাড় দেয়ার মানসিকতাতে নেই। প্রধানমন্ত্রীও বলে দিয়েছেন ২০১৯ সালের আগে সংলাপের সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, ‘যেটুকু সংলাপের সম্ভাবনা ছিল সেটুকু তিরোহিত হয়ে গেছে। ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন না হলে সংলাপ হবে না এবং সংলাপ কার সঙ্গে এমন কথাও বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের সমাবেশ থেকে।’ বিএনপির ছাড় দেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে মনজুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপিরও ছাড় দেয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই তিনি মনে করেন। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তারা যে ভাষা ব্যবহার করেছে তাতেও মনে হচ্ছে তারাও হার্ডলাইনে যাচ্ছে।’ ঢাবির ইংরেজীর এই অধ্যাপক বলেন, ‘অবরোধ কোনো সমাধান নয়। জনসম্পৃক্ততা সেখানে নেই। ১৮/১৯ জন মারা গেছে অকারণে। বিএনপির পক্ষ থেকেও বড় অবস্থানে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’ তিনি মনে করেন, সংলাপের শুরু হলে একটা সমাধান আসতো। মনজুরুল ইসলাম বলেন, সামনের চিত্র ভয়াবহ। মানুষ উদ্বেগের মধ্যে আছে। যেভাবে চোরাগোপ্তা হামলা, সে কারণে মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা মন্তব্য
রুদ্ধ হয়ে আছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া চাইলে তার বাসায় যেতে পারেন। ওদিকে, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা একের পর এক গ্রেপ্তার হচ্ছেন। পাশাপাশি চলছে বিএনপি অবরোধ এবং বিভিন্ন জেলায় নানা ঘটনায় দেয়া হচ্ছে হরতাল। এরই মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় এক সমাবেশে বলেছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে, সেই মূল্য বিএনপিকেই দিতে হবে, জনগণকে নয়। তাহলে এই অবস্থায় চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান কোন পথে? এ নিয়ে বিবিসির সঙ্গে আলোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সরকারের অবস্থান কঠোর বলেই মনে হচ্ছে। কাল যারা সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন তাদের কথা শুনে মনে হয়েছে যে তারা দল, দেশ ও সরকারকে একটা হার্ডলাইনে নিয়ে যেতে যান এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও তাদের কথাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।’ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, সরকার একেবারেই কঠোর অবস্থানে চলে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ছাড় দেয়ার মানসিকতাতে নেই। প্রধানমন্ত্রীও বলে দিয়েছেন ২০১৯ সালের আগে সংলাপের সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, ‘যেটুকু সংলাপের সম্ভাবনা ছিল সেটুকু তিরোহিত হয়ে গেছে। ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না, নির্বাচন না হলে সংলাপ হবে না এবং সংলাপ কার সঙ্গে এমন কথাও বলা হয়েছে আওয়ামী লীগের সমাবেশ থেকে।’ বিএনপির ছাড় দেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে মনজুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপিরও ছাড় দেয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই তিনি মনে করেন। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তারা যে ভাষা ব্যবহার করেছে তাতেও মনে হচ্ছে তারাও হার্ডলাইনে যাচ্ছে।’ ঢাবির ইংরেজীর এই অধ্যাপক বলেন, ‘অবরোধ কোনো সমাধান নয়। জনসম্পৃক্ততা সেখানে নেই। ১৮/১৯ জন মারা গেছে অকারণে। বিএনপির পক্ষ থেকেও বড় অবস্থানে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’ তিনি মনে করেন, সংলাপের শুরু হলে একটা সমাধান আসতো। মনজুরুল ইসলাম বলেন, সামনের চিত্র ভয়াবহ। মানুষ উদ্বেগের মধ্যে আছে। যেভাবে চোরাগোপ্তা হামলা, সে কারণে মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না।’ সূত্র: বিবিসি বাংলা মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment