
ষ মারার রাজনীতির আহ্বান জানিয়েছেন।’ হানিফ বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় সরকারের ওপর চাপিয়ে খালেদা জিয়া ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচার’ করছেন। তিনি মানুষ হত্যার নিষ্ঠুর রাজনীতি করছেন।’ তিনি বলেন, ‘পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ মারা কী রাজনৈতিক সংকট? খালেদা জিয়া কী এগুলোকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মনে করেন? এগুলোতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিয়েছে।’ হানিফ বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক নয়। জঙ্গিবাদী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করবে। এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’ বিএনপির সভা-সমাবেশ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোথায় বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না? গত এক বছরে খালেদা জিয়া ১১টি জনসভা করেছেন।’ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে বোমাবাজি হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এজন্য আমরা বলেছি, জড়িতদের পাশাপাশি হুকুমদাতাদেরও বিচার হবে।’ নাশকতা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের জনসম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার জন্য বেরিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ মিরপুরে (গাবতলী) ১৪ দলের সমাবেশ হচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে ঢাকাসহ সারা দেশে সমাবেশ করে দেশের সাধারণ মানুষকে প্রতিরোধ করার জন্য আহ্বান জানানো হবে।’ হানিফ বলেন, ‘জাতি চায় দ্রুত সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ হোক। আমরা আশা করি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খুব দ্রুত এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমাধান করবে।’ সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেস ব্রিফিংয়ে দেওয়া বক্তব্যেরও জবাব দেন হানিফ। খালেদা জিয়া তার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি চলছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।’ লিখিত বক্তব্যে হানিফ বলেন, ‘গতকাল বিএনপির চেয়ারপারসন অবরোধের নামে মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার রাজনীতির স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। গতকাল বিফ্রিংয়ের মাধ্যমে তিনি যে অবরুদ্ধ নন, তা-ই প্রমাণ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘অবরুদ্ধ না থাকা সত্ত্বেও তিনি সেখানেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন। এটাই প্রমাণ করে এতদিন তিনি অবরুদ্ধের নাটক সাজিয়েছেন। যেটা আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম।’ হানিফ দাবি করেন, ‘আসলে আজকে জিয়া পরিবারের লোভের লেলিহান শিখায় বাংলাদেশ পুড়ছে। নারী-পুরুষ, শিশু-চিকিৎসক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য থেকে পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর, বাসযাত্রী—কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। জনগণ খালেদা জিয়ার এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করছে না বলেই তিনি জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন। এজন্য বাংলাদেশের মানুষ তার চরিত্রকে নিষ্ঠুর ডাইনি বুড়ির সঙ্গে তুলনা করেন।’ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদুরনাহার লাইলী, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আব্দুল মান্নান খান, আবদুস সাত্তার, আফজাল হোসেন, অসীম কুমার উকিল উপস্থিত ছিলেন। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment