রা এ রকম নিষ্ঠুর নির্যাতন চালায়। তাই এই নির্যাতনের সঠিক বিচার চাওয়া হয় যাতে ভবিষ্যতে কোনো প্রেসিডেন্ট এ রকম নেক্কারজনক কাজ করতে সাহস না পায়। গতকাল বুধবার বিবিসির অনলাইনের খবরে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ২০০১ সালে নাইন ইলেভেন হামলা–পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাসবাদ ও আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের ওপর সিআইএর নির্মম নির্যাতনের চিত্র উঠে আসে। নির্যাতনের ভয়ংকর সব কৌশল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরমতম সব ঘটনা। আর এসব ঘটানো হয়েছে দেশের শীর্ষকর্তাদের ‘অনুমোদন’ নিয়েই। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) ভয়ংকর সব নির্যাতনের বিষয়ে দেশটির কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ফুঁসে উঠেছে বিশ্ব। বিশেষ করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সিআইএর কর্মকর্তা ও তৎকালীন জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সংশোধন’ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন, উত্তর কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ। জেনেভা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ দূত বেন এমারসন বলেছেন, জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের যেসব জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ নির্যাতনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় কেবল সিআইএ নয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারও দায়ী। বেন এমারসন আরো বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র দায়ী লোকজনের বিচার করতে বাধ্য।মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলকেই জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনতে হবে। গত মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দাবিষয়ক কমিটি ২০০১ সালের ‘নাইন-ইলেভেন’ হামলার পর আটক আল-কায়েদার বন্দীদের সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সিআইএ বন্দীদের ওপর ‘নিষ্ঠুর নির্যাতন’ চালিয়েছিল। আর এভাবে ভয়ংকর কৌশলের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া ভুল তথ্য দিয়ে আল-কায়েদা ও সন্ত্রাসী হুমকি সম্পর্কে হোয়াইট হাউস ও মার্কিন কংগ্রেসকে বিভ্রান্ত করেছিল সিআইএ। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রোথ বলেন, সিআইএ যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এটি কোনোভাবেই ন্যায্যতা পেতে পারে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে সিআইএ যে গোপন কার্যক্রম চালিয়েছিল, এ প্রতিবেদন তার একটি মারাত্মক প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে।তাই কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দিকে না গড়ায়, তবে ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টরাও নির্যাতনকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ২০০১ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর হাতে গ্রেফতারকৃত আল-কায়েদার ১০০ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াটারবোর্ডিংসহ বিভিন্ন ধরনের নিষ্ঠুর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল। ওয়াটারবোর্ডিং হচ্ছে কাপড়ে মুখ বেঁধে ব্যক্তির ওপর পানি ঢেলে শ্বাস-প্রশ্বাস কষ্টকর করে তোলা, যাতে নির্যাতিত ব্যক্তির মনে হয়, তিনি পানিতে ডুবে যাচ্ছেন। বারাক ওবামা ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতি বাতিল করেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নির্বাহী পরিচালক স্টিভেন ডব্লিউ হকিনস বলেন, এই প্রতিবেদন আরেকবার পানির মতো পরিষ্কার করে দিল, মার্কিন সরকার নির্যাতনকে ব্যবহার করে থাকে। নির্যাতন সব সময়ই অপরাধ। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমেরিকান সিভিল রাইটস ইউনিয়ন বলেছে, অ্যাটর্নি জেনারেলের উচিত একজন বিশেষ প্রসিকিউটর নিযুক্ত করা। তিনি বুশ প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা ওই নির্যাতনমূলক কর্মসূচি তৈরি করেছেন, অনুমোদন দিয়েছেন, পরিচালনা করেছেন ও ঢেকে রেখেছেন, তাঁদের বিষয়ে একটি স্বাধীন ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালাবেন। তবে বুশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার সম্ভাবনা খুব কমই বলে মনে করা হচ্ছে। এর একটি কারণ, মার্কিন বিচার বিভাগের একটি পর্যবেক্ষণ। বিচার বিভাগ বলেছে, তারা ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বন্দীদের সঙ্গে অসদাচরণের দুটি ঘটনার তদন্ত এরই মধ্যে করেছে। তবে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।খবর এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি ও গার্ডিয়ানের। ইআর
Thursday, December 11, 2014
সিআইএ'র নির্যাতনে যুক্তরাষ্ট্র দায়ী, বিচার দাবি জাতিসংঘের:Time News
সিআইএ'র নির্যাতনে যুক্তরাষ্ট্র দায়ী, বিচার দাবি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০৯:৫৬:১২ আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ‘বর্বরোচিত’ নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেছে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ইঙ্গিতেই সাবেক সিআএ কর্মকর্তা
রা এ রকম নিষ্ঠুর নির্যাতন চালায়। তাই এই নির্যাতনের সঠিক বিচার চাওয়া হয় যাতে ভবিষ্যতে কোনো প্রেসিডেন্ট এ রকম নেক্কারজনক কাজ করতে সাহস না পায়। গতকাল বুধবার বিবিসির অনলাইনের খবরে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ২০০১ সালে নাইন ইলেভেন হামলা–পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাসবাদ ও আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের ওপর সিআইএর নির্মম নির্যাতনের চিত্র উঠে আসে। নির্যাতনের ভয়ংকর সব কৌশল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরমতম সব ঘটনা। আর এসব ঘটানো হয়েছে দেশের শীর্ষকর্তাদের ‘অনুমোদন’ নিয়েই। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) ভয়ংকর সব নির্যাতনের বিষয়ে দেশটির কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ফুঁসে উঠেছে বিশ্ব। বিশেষ করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সিআইএর কর্মকর্তা ও তৎকালীন জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সংশোধন’ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন, উত্তর কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ। জেনেভা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ দূত বেন এমারসন বলেছেন, জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের যেসব জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ নির্যাতনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় কেবল সিআইএ নয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারও দায়ী। বেন এমারসন আরো বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র দায়ী লোকজনের বিচার করতে বাধ্য।মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলকেই জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনতে হবে। গত মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দাবিষয়ক কমিটি ২০০১ সালের ‘নাইন-ইলেভেন’ হামলার পর আটক আল-কায়েদার বন্দীদের সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সিআইএ বন্দীদের ওপর ‘নিষ্ঠুর নির্যাতন’ চালিয়েছিল। আর এভাবে ভয়ংকর কৌশলের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া ভুল তথ্য দিয়ে আল-কায়েদা ও সন্ত্রাসী হুমকি সম্পর্কে হোয়াইট হাউস ও মার্কিন কংগ্রেসকে বিভ্রান্ত করেছিল সিআইএ। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রোথ বলেন, সিআইএ যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এটি কোনোভাবেই ন্যায্যতা পেতে পারে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে সিআইএ যে গোপন কার্যক্রম চালিয়েছিল, এ প্রতিবেদন তার একটি মারাত্মক প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে।তাই কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দিকে না গড়ায়, তবে ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টরাও নির্যাতনকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ২০০১ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর হাতে গ্রেফতারকৃত আল-কায়েদার ১০০ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াটারবোর্ডিংসহ বিভিন্ন ধরনের নিষ্ঠুর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল। ওয়াটারবোর্ডিং হচ্ছে কাপড়ে মুখ বেঁধে ব্যক্তির ওপর পানি ঢেলে শ্বাস-প্রশ্বাস কষ্টকর করে তোলা, যাতে নির্যাতিত ব্যক্তির মনে হয়, তিনি পানিতে ডুবে যাচ্ছেন। বারাক ওবামা ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতি বাতিল করেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নির্বাহী পরিচালক স্টিভেন ডব্লিউ হকিনস বলেন, এই প্রতিবেদন আরেকবার পানির মতো পরিষ্কার করে দিল, মার্কিন সরকার নির্যাতনকে ব্যবহার করে থাকে। নির্যাতন সব সময়ই অপরাধ। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমেরিকান সিভিল রাইটস ইউনিয়ন বলেছে, অ্যাটর্নি জেনারেলের উচিত একজন বিশেষ প্রসিকিউটর নিযুক্ত করা। তিনি বুশ প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা ওই নির্যাতনমূলক কর্মসূচি তৈরি করেছেন, অনুমোদন দিয়েছেন, পরিচালনা করেছেন ও ঢেকে রেখেছেন, তাঁদের বিষয়ে একটি স্বাধীন ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালাবেন। তবে বুশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার সম্ভাবনা খুব কমই বলে মনে করা হচ্ছে। এর একটি কারণ, মার্কিন বিচার বিভাগের একটি পর্যবেক্ষণ। বিচার বিভাগ বলেছে, তারা ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বন্দীদের সঙ্গে অসদাচরণের দুটি ঘটনার তদন্ত এরই মধ্যে করেছে। তবে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।খবর এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি ও গার্ডিয়ানের। ইআর
রা এ রকম নিষ্ঠুর নির্যাতন চালায়। তাই এই নির্যাতনের সঠিক বিচার চাওয়া হয় যাতে ভবিষ্যতে কোনো প্রেসিডেন্ট এ রকম নেক্কারজনক কাজ করতে সাহস না পায়। গতকাল বুধবার বিবিসির অনলাইনের খবরে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ইনটেলিজেন্স কমিটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে ২০০১ সালে নাইন ইলেভেন হামলা–পরবর্তী সময়ে সন্ত্রাসবাদ ও আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের ওপর সিআইএর নির্মম নির্যাতনের চিত্র উঠে আসে। নির্যাতনের ভয়ংকর সব কৌশল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরমতম সব ঘটনা। আর এসব ঘটানো হয়েছে দেশের শীর্ষকর্তাদের ‘অনুমোদন’ নিয়েই। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) ভয়ংকর সব নির্যাতনের বিষয়ে দেশটির কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ফুঁসে উঠেছে বিশ্ব। বিশেষ করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত সিআইএর কর্মকর্তা ও তৎকালীন জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সংশোধন’ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন, উত্তর কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ। জেনেভা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ দূত বেন এমারসন বলেছেন, জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের যেসব জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ নির্যাতনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, নির্যাতনের ঘটনায় কেবল সিআইএ নয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারও দায়ী। বেন এমারসন আরো বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র দায়ী লোকজনের বিচার করতে বাধ্য।মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলকেই জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনতে হবে। গত মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দাবিষয়ক কমিটি ২০০১ সালের ‘নাইন-ইলেভেন’ হামলার পর আটক আল-কায়েদার বন্দীদের সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সিআইএ বন্দীদের ওপর ‘নিষ্ঠুর নির্যাতন’ চালিয়েছিল। আর এভাবে ভয়ংকর কৌশলের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া ভুল তথ্য দিয়ে আল-কায়েদা ও সন্ত্রাসী হুমকি সম্পর্কে হোয়াইট হাউস ও মার্কিন কংগ্রেসকে বিভ্রান্ত করেছিল সিআইএ। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রোথ বলেন, সিআইএ যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এটি কোনোভাবেই ন্যায্যতা পেতে পারে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় বন্দীদের জিজ্ঞাসাবাদে সিআইএ যে গোপন কার্যক্রম চালিয়েছিল, এ প্রতিবেদন তার একটি মারাত্মক প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে।তাই কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দিকে না গড়ায়, তবে ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টরাও নির্যাতনকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ২০০১ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর হাতে গ্রেফতারকৃত আল-কায়েদার ১০০ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে ওয়াটারবোর্ডিংসহ বিভিন্ন ধরনের নিষ্ঠুর পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল। ওয়াটারবোর্ডিং হচ্ছে কাপড়ে মুখ বেঁধে ব্যক্তির ওপর পানি ঢেলে শ্বাস-প্রশ্বাস কষ্টকর করে তোলা, যাতে নির্যাতিত ব্যক্তির মনে হয়, তিনি পানিতে ডুবে যাচ্ছেন। বারাক ওবামা ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতি বাতিল করেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নির্বাহী পরিচালক স্টিভেন ডব্লিউ হকিনস বলেন, এই প্রতিবেদন আরেকবার পানির মতো পরিষ্কার করে দিল, মার্কিন সরকার নির্যাতনকে ব্যবহার করে থাকে। নির্যাতন সব সময়ই অপরাধ। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমেরিকান সিভিল রাইটস ইউনিয়ন বলেছে, অ্যাটর্নি জেনারেলের উচিত একজন বিশেষ প্রসিকিউটর নিযুক্ত করা। তিনি বুশ প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা ওই নির্যাতনমূলক কর্মসূচি তৈরি করেছেন, অনুমোদন দিয়েছেন, পরিচালনা করেছেন ও ঢেকে রেখেছেন, তাঁদের বিষয়ে একটি স্বাধীন ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালাবেন। তবে বুশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার সম্ভাবনা খুব কমই বলে মনে করা হচ্ছে। এর একটি কারণ, মার্কিন বিচার বিভাগের একটি পর্যবেক্ষণ। বিচার বিভাগ বলেছে, তারা ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বন্দীদের সঙ্গে অসদাচরণের দুটি ঘটনার তদন্ত এরই মধ্যে করেছে। তবে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।খবর এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি ও গার্ডিয়ানের। ইআর
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment