এসেছিল কাঙ্ক্ষিত বিজয়। স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণের হতাশা থাকলেও এদিনে আনন্দ করতে ভুলেনি জাতি। মঙ্গলবার ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেরে বাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (পুরনো বিমানবন্দর) ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয়ের এই দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬টার পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে সেই মুক্তিসেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, যারা প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকাল ৭টা তিন মিনিটে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সাভার স্মৃতিসৌধ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সেখানে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাকে ফুল হাতে জনতার ঢল নামে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সাধারণ জনতা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিকে, জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এই কুচকাওয়াজ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেয় পতাকা বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), বিজিবি, পুলিশ বাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, মহিলা পুলিশসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার বিজয় দিবসের সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রের মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, মিষ্টি এবং ফল পাঠান। বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও তার সহধর্মিনী রাশিদা খানম। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে কেক কাটেন। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এদিকে, ঢাকার বাইরের নগরীগুলো পিছিয়ে ছিলো না বিজয় দিবস উদযাপনে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারাদেশে শহীদদের স্মৃতি প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা, বিজয় মেলা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবসে সাধারণ ছুটির দিনে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো সাজানো হয়েছে জাতীয় পতাকা ও রং-বেরংয়ের পতাকায়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় রাতে আলোকসজ্জাও হয়। এ দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। বেতার ও টেলিভিশনেও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে। মন্তব্য
Wednesday, December 17, 2014
শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় পালিত বিজয় দিবস:RTNN
শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় পালিত বিজয় দিবস নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন ঢাকা: জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর নানা আয়োজনে পালিত হলো মহান বিজয় দিবস। বিজয়ের এই দিনে স্বাধীনতার চেতনা- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাবে দেশ এমনটাই ছিল সবার প্রত্যাশা। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এক নদী রক্তের পেরিয়ে বাঙালির ঘরে
এসেছিল কাঙ্ক্ষিত বিজয়। স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণের হতাশা থাকলেও এদিনে আনন্দ করতে ভুলেনি জাতি। মঙ্গলবার ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেরে বাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (পুরনো বিমানবন্দর) ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয়ের এই দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬টার পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে সেই মুক্তিসেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, যারা প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকাল ৭টা তিন মিনিটে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সাভার স্মৃতিসৌধ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সেখানে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাকে ফুল হাতে জনতার ঢল নামে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সাধারণ জনতা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিকে, জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এই কুচকাওয়াজ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেয় পতাকা বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), বিজিবি, পুলিশ বাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, মহিলা পুলিশসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার বিজয় দিবসের সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রের মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, মিষ্টি এবং ফল পাঠান। বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও তার সহধর্মিনী রাশিদা খানম। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে কেক কাটেন। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এদিকে, ঢাকার বাইরের নগরীগুলো পিছিয়ে ছিলো না বিজয় দিবস উদযাপনে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারাদেশে শহীদদের স্মৃতি প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা, বিজয় মেলা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবসে সাধারণ ছুটির দিনে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো সাজানো হয়েছে জাতীয় পতাকা ও রং-বেরংয়ের পতাকায়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় রাতে আলোকসজ্জাও হয়। এ দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। বেতার ও টেলিভিশনেও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে। মন্তব্য
এসেছিল কাঙ্ক্ষিত বিজয়। স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণের হতাশা থাকলেও এদিনে আনন্দ করতে ভুলেনি জাতি। মঙ্গলবার ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেরে বাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (পুরনো বিমানবন্দর) ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয়ের এই দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৬টার পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে সেই মুক্তিসেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, যারা প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকাল ৭টা তিন মিনিটে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সাভার স্মৃতিসৌধ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সেখানে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাকে ফুল হাতে জনতার ঢল নামে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সাধারণ জনতা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিকে, জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এই কুচকাওয়াজ শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেয় পতাকা বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), বিজিবি, পুলিশ বাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, মহিলা পুলিশসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার বিজয় দিবসের সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রের মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, মিষ্টি এবং ফল পাঠান। বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও তার সহধর্মিনী রাশিদা খানম। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে কেক কাটেন। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এদিকে, ঢাকার বাইরের নগরীগুলো পিছিয়ে ছিলো না বিজয় দিবস উদযাপনে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারাদেশে শহীদদের স্মৃতি প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা, বিজয় মেলা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিজয় দিবসে সাধারণ ছুটির দিনে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো সাজানো হয়েছে জাতীয় পতাকা ও রং-বেরংয়ের পতাকায়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় রাতে আলোকসজ্জাও হয়। এ দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র। বেতার ও টেলিভিশনেও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment