রাগার ক্যান্টিনের সামনের রাস্তা। সময়ের অনুসন্ধানী দল দর্শনার্থী সেজে গিয়েছিলেন ক্যান্টিনে, বন্দীর সঙ্গে দেখা করার টিকিট কাটতে। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা মিললো এক কারারক্ষীর। তিনি বুঝিয়ে দিলেন কিভাবে দ্রুত বন্দীর সঙ্গে দেখা করা যায়। কিন্তু তার বিনিময়ে গুণতে হবে টাকা। সরকারি নিয়মে কোনো টাকা দেবার কথা না থাকলেও দ্রুত এবং নিভৃতে কথা বলার বিনিময়ে টাকা নেয়া হয় বলে দাবি তার। শুধু তাই নয় ঘুষের একটি লম্বা তালিকাও দিলেন এই কারারক্ষী। আর টাকা দিতে রাজি না হলে ডেকে দেয়া হবে না বন্দীকে। নিচের তলায় লাইন ধরে অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বললে ২০০ থেকে ৫০০, উপরের তলায় একই রুমে অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে বসে কথা বললে ৩০০ থেকে ৭০০, প্রধান ফটক দিয়ে সিনিয়র জেল সুপার বা জেলারের রুমে বসে নিভৃতে কথা বললে ১৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয়া হয়। যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সেই দালালের একজন নিজেই সেজে বসেন দর্শনার্থী। আর, টিকিট কাটার সময় টাকা লেনদেনের অভিযোগ প্রথমে অস্বীকারের চেষ্টা করলেও এক সময় চুপ হয়ে যান কারারক্ষী দু'জনও। কারাগারের ভেতরে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে খাবার বা টাকা পৌঁছে দেয়া দর্শনার্থীদের নানা নিয়মে নানা অজুহাত দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণে টাকা। আর এসব অভিযোগ স্বীকার করতে নারাজ জেল কর্তৃপক্ষ। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বলেন, “কখনো কোনো বন্দী আমাকে এই ধরনের অভিযোগ করেনি। এমনকি কোনো দর্শনার্থীও আমাকে এভাবে কিছু বলেনি।” আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এলে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এই সিনিয়র জেল সুপার। নতুন বার্তা/জবা
Saturday, December 13, 2014
কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রতিদিন দেড় লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্য :Natun Barta
ঢাকা: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য মতে, প্রতিদিন জেলগেটে আড়াইশ থেকে ৩০০ দর্শনার্থী আসেন কয়েদি বা হাজতির সঙ্গে দেখা করতে। এসব দর্শনার্থীর অসহায়ত্বকে জিম্মি করে কারা প্রশাসনের ছত্রছায়ায় চলছে বন্দী-দর্শনার্থী সাক্ষাৎ বাণিজ্য। জনপ্রতি গড়ে ৫০০ টাকা করে নেয়া হলেও প্রতিদিন চলে সোয়া এক থেকে দেড় লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্য। মাসে এ পরিমাণ আনুমানিক ৩৫ লাখ টাকা। খবর সময় টেলিভিশনের। ঢাকা কেন্দ্রীয় কা
রাগার ক্যান্টিনের সামনের রাস্তা। সময়ের অনুসন্ধানী দল দর্শনার্থী সেজে গিয়েছিলেন ক্যান্টিনে, বন্দীর সঙ্গে দেখা করার টিকিট কাটতে। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা মিললো এক কারারক্ষীর। তিনি বুঝিয়ে দিলেন কিভাবে দ্রুত বন্দীর সঙ্গে দেখা করা যায়। কিন্তু তার বিনিময়ে গুণতে হবে টাকা। সরকারি নিয়মে কোনো টাকা দেবার কথা না থাকলেও দ্রুত এবং নিভৃতে কথা বলার বিনিময়ে টাকা নেয়া হয় বলে দাবি তার। শুধু তাই নয় ঘুষের একটি লম্বা তালিকাও দিলেন এই কারারক্ষী। আর টাকা দিতে রাজি না হলে ডেকে দেয়া হবে না বন্দীকে। নিচের তলায় লাইন ধরে অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বললে ২০০ থেকে ৫০০, উপরের তলায় একই রুমে অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে বসে কথা বললে ৩০০ থেকে ৭০০, প্রধান ফটক দিয়ে সিনিয়র জেল সুপার বা জেলারের রুমে বসে নিভৃতে কথা বললে ১৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয়া হয়। যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সেই দালালের একজন নিজেই সেজে বসেন দর্শনার্থী। আর, টিকিট কাটার সময় টাকা লেনদেনের অভিযোগ প্রথমে অস্বীকারের চেষ্টা করলেও এক সময় চুপ হয়ে যান কারারক্ষী দু'জনও। কারাগারের ভেতরে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে খাবার বা টাকা পৌঁছে দেয়া দর্শনার্থীদের নানা নিয়মে নানা অজুহাত দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণে টাকা। আর এসব অভিযোগ স্বীকার করতে নারাজ জেল কর্তৃপক্ষ। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বলেন, “কখনো কোনো বন্দী আমাকে এই ধরনের অভিযোগ করেনি। এমনকি কোনো দর্শনার্থীও আমাকে এভাবে কিছু বলেনি।” আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এলে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এই সিনিয়র জেল সুপার। নতুন বার্তা/জবা
রাগার ক্যান্টিনের সামনের রাস্তা। সময়ের অনুসন্ধানী দল দর্শনার্থী সেজে গিয়েছিলেন ক্যান্টিনে, বন্দীর সঙ্গে দেখা করার টিকিট কাটতে। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা মিললো এক কারারক্ষীর। তিনি বুঝিয়ে দিলেন কিভাবে দ্রুত বন্দীর সঙ্গে দেখা করা যায়। কিন্তু তার বিনিময়ে গুণতে হবে টাকা। সরকারি নিয়মে কোনো টাকা দেবার কথা না থাকলেও দ্রুত এবং নিভৃতে কথা বলার বিনিময়ে টাকা নেয়া হয় বলে দাবি তার। শুধু তাই নয় ঘুষের একটি লম্বা তালিকাও দিলেন এই কারারক্ষী। আর টাকা দিতে রাজি না হলে ডেকে দেয়া হবে না বন্দীকে। নিচের তলায় লাইন ধরে অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বললে ২০০ থেকে ৫০০, উপরের তলায় একই রুমে অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে বসে কথা বললে ৩০০ থেকে ৭০০, প্রধান ফটক দিয়ে সিনিয়র জেল সুপার বা জেলারের রুমে বসে নিভৃতে কথা বললে ১৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয়া হয়। যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সেই দালালের একজন নিজেই সেজে বসেন দর্শনার্থী। আর, টিকিট কাটার সময় টাকা লেনদেনের অভিযোগ প্রথমে অস্বীকারের চেষ্টা করলেও এক সময় চুপ হয়ে যান কারারক্ষী দু'জনও। কারাগারের ভেতরে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে খাবার বা টাকা পৌঁছে দেয়া দর্শনার্থীদের নানা নিয়মে নানা অজুহাত দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণে টাকা। আর এসব অভিযোগ স্বীকার করতে নারাজ জেল কর্তৃপক্ষ। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বলেন, “কখনো কোনো বন্দী আমাকে এই ধরনের অভিযোগ করেনি। এমনকি কোনো দর্শনার্থীও আমাকে এভাবে কিছু বলেনি।” আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এলে দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এই সিনিয়র জেল সুপার। নতুন বার্তা/জবা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment