Thursday, June 18, 2015

জোড়াখুনে রনির আরো দুই বন্ধুর জবানবন্দি:আরটিএনএন

জোড়াখুনে রনির আরো দুই বন্ধুর জবানবন্দি নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সরকার দলীয় এমপির পুত্র বখতিয়ার আলম রনির আরো দুই বন্ধু সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিচ্ছেন। এরা হলেন—জাহাঙ্গীর ও টাইগার কামাল। ঢাকার মহানগর হাকিম নুরু মিয়া বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ওই দুজনের জবানবন্দি গ্রহণ করছেন। গত ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কা
টনে একটি মাইক্রোবাস থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। কামালের জবানবন্দি একই ঘটনায় বুধবার আদালতে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন বখতিয়ারের আরেক বন্ধু আবাসন ব্যবসায়ী কামাল মাহমুদ। মামলার তদন্ত ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কামাল মাহমুদ জবানবন্দিতে বলেছেন, কল্যাণপুরে একটি জমির বেচাকেনা নিয়ে কথা বলতে তাকে বাংলামোটরে শ্যালে বারে ডেকে পাঠান রনি। তিনি সেখানে এসে দেখেন, রনি মদপান করছেন। রনির সঙ্গে আরো দুই বন্ধু জাহাঙ্গীর হোসেন ও টাইগার কামালও ছিলেন। রাত ১১টায় শ্যালে বার বন্ধ হয়ে যায়। তখন রনি তাকে সোনারগাঁও হোটেলে মদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে বন্ধু জাহাঙ্গীরকে বলেন। এতে জাহাঙ্গীর রাজি হলে তারা চারজন রনির প্রাডো গাড়িতে করে সোনারগাঁও হোটেলে আসেন। সেখানে রনি, জাহাঙ্গীর ও টাইগার কামাল আবার মদপান করেন। কামাল মাহমুদ আদালতের কাছে দাবি করেন, তার মদপানের অভ্যাস না থাকায় তিনি পান করেননি। জবানবন্দিতে কামাল মাহমুদ বলেন, রাত দেড়টার দিকে তারা সোনারগাঁও হোটেল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন। রনির গাড়িচালক ইমরান ফকির গাড়ি চালাচ্ছিলেন। রনি বসেন চালকের পাশের আসনে। বাকি তিন বন্ধু পেছনের আসনে। তারা প্রথমে জাহাঙ্গীরকে মগবাজার ডাক্তার গলির সামনে নামিয়ে দেন। পৌনে দুইটার দিকে নিউ ইস্কাটনে এলএমজি টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে গাড়ি যানজটে পড়ে। এতে বিরক্ত হয়ে রনি লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে চার-পাঁচটি গুলি ছোড়েন। এরপর মিনিট খানেক গাড়িটি সেখানে ছিল। কামাল মাহমুদ আদালতকে বলেন, গুলি করতে দেখে তিনি রনিকে বলেন, এটা কী করলা? জবাবে বখতিয়ার বলেন, কিছু হবে না, চুপ থাকো। পরে টাইগার কামালকে ঘটনাস্থলের একটু দূরে নিউ ইস্কাটনে এবং তাকে (কামাল মাহমুদ) হাতিরপুলে নামিয়ে দিয়ে বখতিয়ার ধানমন্ডির বাসায় ফিরে যান। মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment