নেকে এজাহারে আসামি করা হয়েছে। গতরাতেই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।’ তিনি জানান, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল আলমকে এ মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, অনন্ত বিজয় দাশের হত্যাকারীদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালানো হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘চারজন মুখোশধারী এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ তাদের ধরার চেষ্টা করছে।’ এর আগে গতকাল সকাল নয়টার দিকে সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকায় ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী অনন্ত বিজয় দাশকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডের পরপরই আনসার বাংলা ৮ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, ‘আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা একিউআইএস এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’ গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের পরও একিউআইএস দায়িত্ব স্বীকার করেছিল। তবে গোয়েন্দাদের ভাষ্যে, আল-কায়েদার কোনো তৎপরতা বাংলাদেশে নেই। নিহত অন্তত বিজয় দাশ মুক্তমনা ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী। তিনি বিজ্ঞানবিষয়ক ছোট কাগজ ‘যুক্তি’র সম্পাদক ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি মুক্তমনা র্যা শনালিস্ট অ্যাওয়ার্ড পান। তার বিষয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমরান এইচ সরকার বার্তাসংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, ‘নিহত ব্লগার অন্তত বিজয় দাশ নাস্তিক ছিলেন। তিনি মুক্তমনা ব্লগে লেখালেখি করতেন।’ বিজয় দাশের বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে—পার্থিব (সহ-লেখক সৈকত চৌধুরী), ডারউইন: একুশ শতকে প্রাসঙ্গিকতা এবং ভাবনা (সম্পাদিত), সোভিয়েত ইউনিয়নে বিজ্ঞান ও বিপ্লব: লিসেঙ্কো অধ্যায়, জীববিবর্তন সাধারণ পাঠ (মূল: ফ্রান্সিসকো জে. আয়াল, অনুবাদ: অনন্ত বিজয় দাশ ও সিদ্ধার্থ ধর)। পরিবারের সদস্যরা জানান, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কর্ম বিষয়ে মাস্টার্স করার পর সুনামগঞ্জের জাউয়াবাজারে পূবালী ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে যোগ দেন। মন্তব্য
Wednesday, May 13, 2015
বিজয় দাশ হত্যায় মামলা দায়ের, আসামি অজ্ঞাত ৪:আরটিএনএন
নেকে এজাহারে আসামি করা হয়েছে। গতরাতেই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।’ তিনি জানান, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল আলমকে এ মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, অনন্ত বিজয় দাশের হত্যাকারীদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালানো হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘চারজন মুখোশধারী এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ তাদের ধরার চেষ্টা করছে।’ এর আগে গতকাল সকাল নয়টার দিকে সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকায় ব্লগার ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী অনন্ত বিজয় দাশকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডের পরপরই আনসার বাংলা ৮ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, ‘আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা একিউআইএস এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’ গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের পরও একিউআইএস দায়িত্ব স্বীকার করেছিল। তবে গোয়েন্দাদের ভাষ্যে, আল-কায়েদার কোনো তৎপরতা বাংলাদেশে নেই। নিহত অন্তত বিজয় দাশ মুক্তমনা ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী। তিনি বিজ্ঞানবিষয়ক ছোট কাগজ ‘যুক্তি’র সম্পাদক ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি মুক্তমনা র্যা শনালিস্ট অ্যাওয়ার্ড পান। তার বিষয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমরান এইচ সরকার বার্তাসংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, ‘নিহত ব্লগার অন্তত বিজয় দাশ নাস্তিক ছিলেন। তিনি মুক্তমনা ব্লগে লেখালেখি করতেন।’ বিজয় দাশের বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে—পার্থিব (সহ-লেখক সৈকত চৌধুরী), ডারউইন: একুশ শতকে প্রাসঙ্গিকতা এবং ভাবনা (সম্পাদিত), সোভিয়েত ইউনিয়নে বিজ্ঞান ও বিপ্লব: লিসেঙ্কো অধ্যায়, জীববিবর্তন সাধারণ পাঠ (মূল: ফ্রান্সিসকো জে. আয়াল, অনুবাদ: অনন্ত বিজয় দাশ ও সিদ্ধার্থ ধর)। পরিবারের সদস্যরা জানান, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কর্ম বিষয়ে মাস্টার্স করার পর সুনামগঞ্জের জাউয়াবাজারে পূবালী ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে যোগ দেন। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment