ঢাকায় মিন্টু ও আব্বাস, চট্টগ্রামে মনজুর ২০ দলের প্রার্থী মোজাম্মেল হক তুহিন টাইম নিউজ বিডি, ২৯ মার্চ, ২০১৫ ০৯:৫৩:১৭ চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে মাঠে আন্দোলনরত তৃণমূল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক মনোভাব আসায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড। এরইমধ্যে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের। দলটির গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,গত কয়েকদিনে দলের বিশ্বস্ত ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপরেই তিনি তিন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীতাও প্রায় চূড়ান্ত করে দেন। দলের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বর্তমান মেয়র মনজুর আলমকেই বিএনপি হাইকমান্ডের পছন্দ। এজন্য তাকে সমর্থন জানিয়ে ইতিমধ্যে দল ও জোটের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঢাকার উত্তরে দলের আরেক উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগরীর প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল মিন্টু একপ্রকারে চূড়ান্ত। তবে ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থীতা নিয়ে কিছুটা সমস্য ছিল।শেষ পর্যন্ত ৪জন মনোনয়নপত্র কিনলেও দল ও জোটের সমর্থন পাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মহানগরীর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস। দলের নির্দেশ পেয়েই শুক্রবার তার পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে মামলার কারণে তার প্রচার-প্রচারণায় সমস্যা হলে বিকল্প হিসেবে দলের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম বা আন্তর্জাতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনকে সমর্থন দেয়া হতে পারে। তবে সরকারের অবস্থান ও নির্বাচনী পরিবেশ প্রতিকূল হলে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার পথও খোলা রাখছে আন্দোলনরত ২০ দলীয় জোট। সেক্ষেত্রে আবারো সর্বশক্তি নিয়োগ করা হবে রাজপথের আন্দোলনে। এদিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গতকাল (শুক্রবার) শত নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কৌশল হিসেবেই আওয়ামী লীগ যেভাবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, বিএনপি ও ২০ দল সেভাবে দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দিতে চায় না। সেক্ষেত্রে চট্টগ্রামে যেভাবে নগর উন্নয়ন আন্দোলনের ব্যানারে সমর্থন দেয়া হয়েছে ঢাকায় ২ সিটিতেও তেমনি নাগরিক সমাজের ব্যানারে সমর্থন দেয়া হবে। এক্ষেত্রে দল ও জোটের বাইরের ভোটারদেরও সমর্থন পাওয়া যাবে। তবে বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে, দল ও জোট সমর্থিত ভোটাদের অহেতুক হয়রানি করলে নির্বাচন থেকে সরে আসবেন। বিএনপি ও জোটের প্রার্থী সমর্থনের বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে.(অব.)মাহবুবুর রহমান টাইমনিউজকে বলেন, 'চট্টগ্রামে আমাদের দল ও জোটের পক্ষ থেকে নগর উন্নয়ন আন্দোলনের পক্ষ থেকে মনজুর আলমকে সমর্থন দেয়া হয়েছে। ঢাকার উত্তরেও আব্দুল আউয়াল মিন্টু আমাদের একক প্রার্থী রয়েছেন। আর দক্ষিণে ৪জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও দল ও জোটের সমর্থিত প্রার্থীর নাম খুব শিগগিরই জানানো হবে। দলের সমর্থনের বিষয়ে মির্জা আব্বাসের একজন রাজনৈতিক অনুসারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানিয়ে বলেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মির্জা আব্বাস সাহেব পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। তার পরেও দলের নির্দেশ হিসেবেই বিভক্ত সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। দলের স্বার্থেই তার নির্বাচনে অংশ নেয়া। সুষ্ঠু পরিবেশে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। প্রসঙ্গত, আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কমিশনের বৈঠক শেষে (১৮ মার্চ) বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ তিন সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ মার্চ। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ২ এপ্রিল। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ এপ্রিল। এই তিনটি সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১০ এপ্রিল। এমএইচ, জেএ
No comments:
Post a Comment